ঢাকা, শনিবার ২০, ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:৩৯:২৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নির্বাচনের বাকি ৫৩ দিন, সামনের প্রতিটি দিনই গুরুত্বপূর্ণ! ‘সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি’ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক আজ ট্রাভেল পাস হাতে পেয়েছেন তারেক রহমান উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অফিসে আগুন

দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি: আইএমএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:০০ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ রবিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

করোনা মহামারির একাধিক ঢেউ আঘাত করলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

শনিবার সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোভিড সংক্রমণের হার কমে আসায় ও সরকারের অনুকূল নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকায় চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৬ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেতে পারে।

বাংলাদেশ মিশনের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছে। এই সফরে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় তাদের এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়। 

আন্তর্জাতিক এই ঋণদাতা সংস্থা বলছে, খাদ্যবহির্ভূত পণ্য, বিশেষ করে জ্বালানির দাম বাড়ায় অর্থবছর শেষে সার্বিক মূল্যস্ফীতি সরকারের হিসাবের চেয়ে কিছুটা বেশি হবে। স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে মহামারির কারণে ব্যয় বাড়ায় এ অর্থবছরে সরকারের বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে জিডিপির ৬.১ শতাংশ। তবে মূলধনী যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল এবং ভোগ্যপণ্যের আমদানি বাড়ায় চলতি হিসাবের ঘাটতি এ অর্থবছর আরও বাড়বে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত হবে মূল্যস্ফীতির দিকে নজর রাখা এবং প্রয়োজনে বাজারে মুদ্রাপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা। মহামারির মধ্যে গত দুই বছরে সরকারের ধার বেড়ে গেলেও আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি এবং দেশে টিকাদান পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ঋণের বোঝা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে খুব বেশি ঝুঁকি দেখছে না আইএমএফ। 

আইএমএফ আরও জানায়, বাংলাদেশের অর্থনীতি এই গতিপথ ধরে রাখতে পারলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৭ দশমিক ১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি পেতে পারে। তবে সার্বিক বিবেচনায় সামনের দিনগুলোতে যে বেশ কিছু অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকি রয়েছে। 

রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর পাশাপাশি উৎপাদনমুখী বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করতে সরকারের নীতি কাঠামো সংস্কারের পরামর্শ দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্ষত সারিয়ে অর্থনীতি যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সে জন্য সরকারের সহযোগিতা দিয়ে যাওয়া জরুরি। সেই সঙ্গে বিদ্যমান দুর্বলতাগুলোও কাটিয়ে উঠতে হবে। 

সেই সঙ্গে রাজস্ব খাতের আধুনিকায়ন, রাজস্ব ব্যয়ের যৌক্তিকীকরণ, সঞ্চয়পত্রকে বাজেটের সরাসরি অর্থায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত না রাখা এবং জ্বালানির দাম নির্ধারণে একটি আধুনিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক এই ঋণদাতা সংস্থা।