ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৪:৫৬:৫৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

নরসিংদী দুই ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধ*র্ষ*ণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:০০ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০২৫ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

নরসিংদীর রায়পুরায় বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রী দলবদ্ধ ধ*র্ষ*ণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার চরআড়ালিয়া ইউনিয়নের বাঘাইকান্দী গ্রামে এ দলবদ্ধ ধ*র্ষ*ণের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সোমবার বিকেলে বাঘাইকান্দী গ্রামের কাইয়ুম (২১) ও মুন্নার (২২) সঙ্গে নৌকাযোগে ঘুরতে যায় ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রী। নৌকা দিয়ে ঘুরে নদীতে সময় কাটিয়ে কৌশলে কাইয়ুম ও মুন্না বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যায় নৌকা তীরে ভিড়ায় এবং তাদের পূর্ব বাঘাইকান্দি এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে কাইয়ুম ও মুন্না তাদের আরও ছয় বন্ধুকে ডেকে আনে। বন্ধুরা সবাই মিলে ভয়ভীতি দেখিয়ে দুজনকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায়। এখান থেকে তারা নিজ বাড়ি ফিরলে দেখে পরিবারের সদস্যরা ঘটনা জানতে চাইলে ধ*র্ষ*ণের ঘটনা প্রকাশ পায়।

অভিযুক্ত কাইয়ুম চরআড়ালিয়া গ্রামের সেন্টু মিয়ার ছেলে এবং মুন্না একই গ্রামের শাহ মিয়ার ছেলে। অন্যরা হলো- বাঘাইকান্দী গ্রামের কাদির মিয়ার ছেলে সাইফুল মিয়া, একই গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে রমজান মিয়া ও অজ্ঞাত আরও চারজন।

ভুক্তভোগী দুই ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত আটজন এলাকায় প্রভাবশালী এবং তাঁদের পূর্বপরিচিত। তাঁদের মামলার করার মতো সামর্থ্য নেই। তাই থানায় না গিয়ে তাঁরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চেয়েছেন।

ভুক্তভোগী এক ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘ঘটনা জানার পরই চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে বিচার চেয়েছি। তিনি আমাদের বলেছেন, বিচার করে দেবেন। মেয়ের ভবিষ্যতের চিন্তা থেকে থানা-পুলিশের ঝামেলায় যেতে চাই না।’

ভুক্তভোগী আরেক ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘রাতে বাড়িতে ফেরার পর ঘটনা শুনে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। তারা খুবই প্রভাবশালী। আমরা কি আর তাদের সঙ্গে পারব? আমরা গরিব মানুষ, দিন আনি দিন খাই, থানা-পুলিশ করার মতো সামর্থ্য আমার নেই। মেয়েকে ভবিষ্যতে বিয়ে দিতে হবে, এই চিন্তায় এলাকার চেয়ারম্যানের কাছেই বিচার দিয়েছি।’

এ বিষয়ে ওই ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভুক্তভোগী দুই ছাত্রীর পরিবার ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছে। তারা থানা-পুলিশ চায় না, আমার কাছেই বিচার চায়। বিস্তারিত জানার জন্য আমি লোক পাঠিয়েছি। এলাকার গণ্যমান্যদের নিয়ে দ্রুতই বিচারে বসব।’ ধর্ষণের ঘটনা গ্রাম আদালতে মীমাংসাযোগ্য কি না, তা জানতে চাইলে চেয়ারম্যান কোনো মন্তব্য করেননি।

এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল মাহমুদ বলেন, ধ*র্ষ*ণের ঘটনা জানা নেই। কেউ থানায় এসে লিখিত অভিযোগও দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।