ঢাকা, শনিবার ২৭, জুলাই ২০২৪ ১৬:৪১:২৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও সেতু ভবন পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী দেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করতেই এই তাণ্ডব: প্রধানমন্ত্রী মোবাইল ইন্টারনেট কখন চালু হচ্ছে, জানাল বিটিআরসি পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহিংসতায় আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী ৬ দিন পর ঢাকা-বরিশাল রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু আজও বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি মান্দিসা মায়া

নারী সাংবাদিকতার অগ্রদূত নূরজাহান বেগমের মৃত্যুবার্ষিকী আজ 

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৫০ এএম, ২৩ মে ২০২৩ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের নারী সাংবাদিকতার অগ্রদূত ও ‘বেগম’ পত্রিকার সম্পাদক নূরজাহান বেগমের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৩ মে। ২০১৬ সালের এই দিনে ৯১ বছর বয়সে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘ ছয় দশক ধরে উপমহাদেশে নারীদের প্রথম সাপ্তাহিক ‘বেগম’ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

নূরজাহান বেগম ১৯২৫ সালের ৪ জুন চাঁদপুরের চালিতাতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪২ সালে পশ্চিমবঙ্গের ভাগলপুরে বেগম রোকেয়া প্রতিষ্ঠিত সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাসের পর কলকাতার লেডি ব্রাবোর্ন কলেজ থেকে উচ্চশিক্ষা নেন। সাহিত্যচর্চায় মেয়েদের জায়গা করে দিতে তার বাবা সওগাত পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন ১৯৪৭ সালে ‘বেগম’ পত্রিকা চালু করেন।

তিনি কেবল ‘বেগম’ পত্রিকার সম্পাদকই ছিলেন না, তিনি বাংলাদেশের সমাজ, সংস্কৃতি ও সাংবাদিকতার জগতে আন্দোলনের অগ্রসেনানী, নারী সাংবাদিকদের পথপ্রদর্শক।

নারী শিক্ষা ও সাহিত্য ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১৯৯৭ সালে রোকেয়া পদকে ভূষিত হন নূরজাহান বেগম। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ মহিলা সমিতি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, লেখিকা সংঘ, কাজী জেবুন্নেসা-মাহবুবউল্লাহ ট্রাস্ট, রোটারি ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন তাকে সম্মাননা দিয়েছে। ১৯৫২ সালে কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলার প্রতিষ্ঠাতা রোকনুজ্জামান খানের (দাদাভাই) সঙ্গে বিয়ে হয় নূরজাহান বেগমের। ১৯৯৯ সালে রোকনুজ্জামান খান মৃত্যুবরণ করেন।

নূরজাহান বেগম ১৯৯৬ সালে ‘নন্দিনী সাহিত্য পুরস্কার’, ১৯৯৭ সালে ‘রোকেয়া পদক’ অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি ২০০২ সালে অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার, ২০১০ সালে ইনার হুইল ডিস্ট্রিক্ট সম্মাননা এবং ২০১১ সালে একুশে পদক পেয়েছেন।

এছাড়াও তিনি সংবর্ধিত হয়েছেন বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ, চট্রগ্রাম লেডিজ ক্লাব, চট্রগ্রাম লেখিকা সংঘ, ঢাকা লেডিজ ক্লাব, ঋষিজ শিল্প গোষ্ঠী, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র প্রভৃতি সংগঠনের মাধ্যমে। স্বর্ণপদক পেয়েছেন বাংলাদেশ মহিলা সমিতি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, লেখিকা সংঘ, কাজী জেবুনন্নেসা মাহাবুবুল্লাহ ট্রাষ্ট, বাংলাদেশ সাংবাদিক ফোরাম, রোটারি ক্লাব প্রভৃতি সংগঠন থেকে।