ঢাকা, সোমবার ২২, ডিসেম্বর ২০২৫ ২২:০৪:১৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নিরাপত্তা, অস্ত্রের লাইসেন্স চেয়ে আবেদন ১৫ রাজনীতিবিদের ‘ভোটের গাড়ি’র প্রচার শুরু আজ আগামী বাজেটের রূপরেখা দিয়ে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার গণভোট নিয়ে নানা শঙ্কা পশ্চিম তীরে নতুন ১৯টি বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিল ইসরায়েল

বাজারে লাগামহীন মাছ ও ডিমের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০১:৩২ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৮ মঙ্গলবার

গেল সপ্তাহে বাজারে সব পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও নতুন সপ্তাহের শুরু থেকেই মাছ ও ডিমের দাম রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ছোট মাছ থেকে শুরু করে বড় মাছের দাম বেড়েই চলেছে। আর ডিমের দামও বাড়ছে।

 

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে মাছের পর্যাপ্ত সরবরাহ দেখা গেলেও দাম অনেক বেশি। দাম বৃদ্ধির কোন অকাট্য যুক্তি দিতে পারছেনা বিক্রেতারা।

 

গত ৭ অক্টোবর থেকে ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ হয়ে গেছে। এর আগে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ বিক্রি হয়েছে। অন্য মাছের বিক্রি কম হয়েছিল। বিক্রেতারা বলছে, ইলিশ বিক্রি বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অন্য মাছের দাম বাড়ছে। কিন্তু বাজারে মাছের সরবরাহ মোটেও খারাপ না।

 

আজ রোববার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, হাতিরপুল, শান্তিনগর, মানিকনগর, গোপীবাগ ও মতিঝিলসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়,রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। প্রতি কেজি পাবদা মাছ ৫০০-৫৫০ টাকা ,টেংরা মাছ মানভেদে ৪৮০-৬০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৪০-২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। অথচ তেলাপিয়া মাছ সাধারণত ১৩০-১৪০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হয়। কই মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকায়, সরপুঁটি আকারভেদে ১৮০-২০০ টাকা কেজি, পাঙ্গাশ প্রতি কেজি ১৩০-১৬০ টাকা, ছোট মলা মাছ ৩৫০-৪৫০ টাকা কেজি, চাষের শিং ও মাগুর মাছ ৫০০-৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

 

রাজধানীর মধ্যবাড্ডা বাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা মামুনুর রশীদ বলেন, বাসার সবাই টেংরা মাছ খেতে পছন্দ করে। এ মাছ প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা চাচ্ছে। অথচ মাসের শুরুতেও দাম ছিল ৩৫০- ৪০০ টাকা কেজি। কথা নাই,বার্তা নাই ১৫০ টাকা বেড়ে গেল। বাজার মনিটরিংয়ের কোন ব্যবস্থা নেই। ভুক্তভোগী হচ্ছি আমরা। এভাবে আর কতদিন। তাই টেংরা মাছ না কিনেই ফিরে যাচ্ছি। অন্য মাছ কিনব।

 

অন্যদিকে ডিমের দামও বাড়ছে। তিন মাস আগেও এক ডজন পোল্ট্রির ডিমের দাম ছিল ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা, এরপর কয়েক ধাপে দাম বৃদ্ধি পেয়ে এখন তা দাঁড়িয়েছে ১১৫ টাকা বা তার বেশি। রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে এখন এই দামে ক্রেতাকে ডিম কিনতে হচ্ছে।


রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১০৫-১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি মুরগির ডিম এক ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। এছাড়া হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা দরে।

 

ডিমের বাড়তি দরের কারণ প্রসঙ্গে রাজধানীর গোপীবাগ বাজারের ব্যবসায়ী বোরহান বিশ্বাস বলেন, আমাদেরকেই বেশি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামে বিক্রিও করতে হচ্ছে। এখানে আমাদের কোন হাত নেই। করারও কিছু নেই।

 

ডিম ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতি ডজন ডিম (১২টি) ১০৫-১১৫ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। এক সপ্তাহ আগেও ৯৫-১০৫ টাকা ডজনে ডিম বিক্রি করেছেন।

 


তারা বলছেন, এখন ডিমের চাহিদা বেশি। সে অনুযায়ী খামারিরা সরবরাহ করতে পারছেন না। ফলে দাম কিছু বাড়তির দিকে। তবে দাম বাড়লেও আমাদের বিক্রি কমেনি। আবার লাভও বাড়েনি।

 

এছাড়া বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪২০ টাকা, খাসি ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা, দেশি মুরগি প্রতিটি সাড়ে তিনশ থেকে চারশ টাকা আর প্রতিকেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৩০ -১৪০ টাকায়।