ঢাকা, শনিবার ২০, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:৪৭:২৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নির্বাচনের বাকি ৫৩ দিন, সামনের প্রতিটি দিনই গুরুত্বপূর্ণ! ‘সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি’ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক আজ ট্রাভেল পাস হাতে পেয়েছেন তারেক রহমান উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অফিসে আগুন

বাবা-মায়ের বদভ্যাস সন্তানের ডায়াবেটিসের কারণ

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:১১ পিএম, ৮ মে ২০১৯ বুধবার

ছবি: ইন্টারনেট

ছবি: ইন্টারনেট

অতিরিক্ত ওজন ও ডায়াবেটিস বর্তমান প্রজন্মের জন্য একটা বড় সমস্যা৷ কিন্তু এর জন্য কি খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারাই দায়ী? নাকি সেই সমস্যা কেউ উত্তরাধিকারসূত্রে জিনের মাধ্যমেও পেতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন জার্মান বিজ্ঞানীরা।

এটা একটা মহামারির মতো৷ গোটা বিশ্বে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন টাইপ-টু ডায়াবেটিসে ভুগছে৷ এই প্রবণতা দ্রুত বেড়ে চলেছে৷ অতিরিক্ত ওজন ও অনিয়মিত জীবনযাত্রা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷ তবে বিজ্ঞানীদের অনুমান, এর পেছনে অন্য কারণও কাজ করছে৷

মিউনিখ শহরে হেল্মহলৎস সেন্টারে গবেষকরা সেই রহস্য সমাধানের চেষ্টা করছেন৷ তার জন্য এমন এক পরীক্ষা চালাতে হবে, যার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে৷ এমন পরীক্ষার জন্য ইঁদুর সবচেয়ে উপযুক্ত প্রাণী৷ তাদের মেটাবলিজম অনেকটা মানুষের মতোই কাজ করে৷

মোটা ও রোগা ইঁদুর ঠিক মানুষের মতোই রোগে ভোগে৷ এমনকি তাদের ডায়াবেটিসও হয়৷ কিছু মোনোভুলার যমজের মতো এই ইঁদুরদের শরীরে একই জিন রয়েছে৷ অর্থাৎ তাদের মধ্যে পার্থক্য থাকলে তার কারণ জেনেটিক হতে পারে না৷

গবেষকরা ৬ সপ্তাহ ধরে ইঁদুরদের হাই-ক্যালোরি খাদ্য দিচ্ছেন৷ মানুষের মতই এমন ত্রুটিপূর্ণ খাদ্য খেয়ে তারা মোটা হয়ে যাচ্ছে এবং ডায়াবেটিসের আগের পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে৷ অনুমান করা হচ্ছে, ইঁদুররা এই বৈশিষ্ট্য পরবর্তী প্রজন্মের ঘাড়ে চাপিয়ে দেবে৷

জিনের মাধ্যমে এমন হস্তান্তর একমাত্র ডিম্বাণু ও বীর্যের মাধ্যমে ঘটতে পারে৷ স্থূলকায় বাবা-মার অন্য সব প্রভাব এড়াতে কৃত্রিম প্রজননের জন্য বিজ্ঞানীরা তাদের ডিম্বাণু ও শুক্রাণু সংগ্রহ করছেন৷

২৪ ঘণ্টা পর ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন প্রক্রিয়ায় ডিম্বকোষের বিভাজন ঘটে গেছে৷ গবেষকরা ইঁদুরের ভ্রূণ সারোগেট মায়ের শরীরে প্রতিস্থাপন করছেন৷এই সারোগেট মায়েদের স্বাস্থ্য যথেষ্ট ভালো এবং তারা রোগা৷ তারা শুধু তাদের গর্ভে ইঁদুরশিশু ধারণ করে না, জন্মের পর শিশুদের দেখাশোনাও করে৷ ইঁদুর শিশুদের প্রতিপালনের কাজে তাদের মোটা বাবা-মায়েদের আর কোনো ভূমিকা থাকে না৷ এমনকি খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রেও তারা ভুল আদর্শ হয়ে উঠতে পারে না৷

এ বিষয়ে ইয়োহানেস বেকার্স বলেন, ‘বাবা-মার সঙ্গে সামাজিক স্তরে যোগাযোগের কারণে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের সম্ভাবনা যে নেই, সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পারলাম৷ জরায়ু অথবা মায়ের দুধ পান করার প্রক্রিয়াও কোনো প্রভাব ফেলে না৷ পাকস্থলির ব্যাকটেরিয়াও এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে হস্তান্তর হয় না৷ অর্থাৎ এ সব থেকে বোঝা যাচ্ছে, যে পরবর্তী প্রজন্মে যে পরিবর্তন ঘটছে, তা জার্ম ট্র্যাক সেল এর তথ্যের উপর নির্ভর করে৷’

গবেষকরা এই ইঁদুর শিশুদের বিকাশের উপর কড়া নজর রাখছেন এবং রোগা বাবা-মায়েদের সন্তানদের সঙ্গে তাদের তুলনা করছেন৷ সব শিশুদেরই একই খাবার দেওয়া হচ্ছে৷

এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, এই ইঁদুরদের জিনগতভাবে প্রায় একই কাঠামো রয়েছে৷ একই পরিবেশে তারা বড় হয়েছে৷ একমাত্র তফাত হলো, তাদের আসল বাবা-মায়েরা হয় মোটা অথবা রোগা৷ অথচ এই বিষয়টিই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ মোটা ইঁদুরদের বংশধররা রোগা ইঁদুরদের বংশধরদের তুলনায় অনেক দ্রুত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছে৷ অর্থাৎ বংশানুক্রমেই তারা এই প্রবণতা পেয়েছে৷ কিন্তু বাবা-মায়েরা ভুল খাবার খেয়ে এমন সমস্যা সৃষ্টি করেছে৷ বাবা এবং মা ডায়াবেটিস ও অতিরিক্ত ওজনের প্রবণতা তাদের সন্তানদের শরীরে হস্তান্তর করেছে৷ ত্রুটিপূর্ণ খাদ্য জিনের রেগুলেশন পরিবর্তন করে পরবর্তী প্রজন্মের শরীরে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে৷

-জেডসি