ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৮:৪৩:৩১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো নিয়ে কেউ আলাপ করছে না: প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:২৮ পিএম, ২১ জুন ২০২৫ শনিবার

সংগ্রহিত ছবি।

সংগ্রহিত ছবি।

সবাই এখন শুধু রোহিঙ্গাদের খাবার ও অন্যান্য সহায়তা নিয়েই ব্যস্ত, কিন্তু এদের নিজ দেশে কীভাবে ফেরত পাঠানো নিয়ে কেউ আলাপ করছে না বলে হতাশা ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যুক্তরাজ্য সফরে গত ১২ জুন তিনি ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড নিতে যাওয়ার আগে বিবিসির সাংবাদিক রাজিনি বৈদ্যনাথন প্রধান উপদেষ্টার এ সাক্ষাৎকার নেন। ওই সময় তিনি এ কথা বলেন। 

প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন,  আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমি জাতিসংঘের মহাসচিবের সাথে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গার সাথে দেখা করেছি। কী করা উচিত সে বিষয়ে আলোচনা করেছি এবং এদের ফেরার জন্যে সহায়তা চেয়ে বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। সেক্ষেত্রে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান। সবাই এখন শুধু খাবার ও অন্যান্য সহায়তা নিয়েই ব্যস্ত, কিন্তু এদের নিজ দেশে কীভাবে ফেরত পাঠানো যাবে, সে বিষয়ে কেউ আলাপ করছে না।

মিয়ানমারের সামরিক সরকারের কারণে রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছে। তাহলে আপনারা কেন রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে একীভূত করার চেষ্টা করছেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সেটা কোনো সমাধান হবে না। কারণ ক্যাম্পের আশপাশে থাকা মানুষ রোহিঙ্গাদের প্রতি বিরূপ। কারণ তারা দেখছে আন্তর্জাতিক সাহায্য কেবল রোহিঙ্গাদের জন্য আসছে, আর রোহিঙ্গারা যেন সহজেই বেঁচে আছে, যেখানে বাইরের লোকদের কঠোর পরিশ্রম করতে হচ্ছে। বাংলাদেশের নীতিই হলো, তাদের ক্যাম্পের বাইরে স্থায়ী হতে না দেওয়া। আমাদের নিজেদেরই অনেক সমস্যা আছে। আমরা নতুন আরেকটা জনগোষ্ঠীর বোঝা বইতে পারবো না।

তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের জায়গা দিয়েছি। আমরা তো বলিনি যে তোমরা আসতে পারবে না। আমরা তো সীমান্ত আটকে দেইনি। আমরা তাদের গ্রহণ করেছি। তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আশ্বাস দিয়েছিল, তারা দেখভাল করবে, তারা তাদের নিজেদের দেশে নেবে। এমনকি কোন দেশ কতজন নেবে, সেই সংখ্যাও ভাগ করা হয়েছিল।


 

এই বিভাগের জনপ্রিয়