ঢাকা, শুক্রবার ১৯, ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:৫৩:০৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করেছেন তারেক রহমান আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান ডিএমপি কমিশনারের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আবারো আগুন-ভাঙচুর প্রথম আলো-ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ভাঙচুর-আগুন

সন্তানের বৈধতা নিরূপণ আইনের ধারা চ্যালেঞ্জে রিট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৪২ পিএম, ৯ মার্চ ২০২০ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সন্তানের বৈধতা ও অবৈধতা নিরূপণ সংক্রান্ত সাক্ষ্য আইনের ১১২ ধারা অসাংবিধানিক ঘোষণা করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং বিভাগের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

সোমবার (০৯ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান রিটটি করেন।

ওই সাক্ষ্য আইনের ১১২ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির মাতার সঙ্গে এক ব্যক্তির আইনসিদ্ধ বিবাহ চালু থাকাকালে অথবা বিবাহ বিচ্ছেদের পর ২৮০ দিনের মধ্যে তার মাতা অবিবাহিত থাকাকালে যদি তার জন্ম হয়ে থাকে এবং যদি প্রতীয়মান না হয় যে, ওই ব্যক্তি যখন মাতৃগর্ভে এসে থাকতে পারে অনুরূপ কোনো সময়ে বিবাহিত পক্ষদ্বয়ের পরস্পরের মধ্যে মিলনের পথ উন্মুক্ত ছিল না, তবে জন্মের বিষয় দ্বারা অবশ্যই চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হবে যে সে তার মাতার সঙ্গে বিবাহিত উক্ত ব্যক্তির সন্তান।

আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, সন্তানের পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব পরীক্ষা হতেই পারে। কিন্তু বৈধতা বা অবৈধ ঘোষণা দেয়ার ব্যাপারটি একেবারেই অবান্তর। এর মাধ্যমে বৈধ ও অবৈধ সন্তানের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি হয়। কোনো সন্তান যদি আদালতের মাধ্যমে বৈধ প্রমাণিত না হয় তবে তাকে সারাজীবন অবৈধ সন্তানের উপাধি নিয়ে নিগৃহীত হতে হবে, সমাজের কাছে ছোট হতে হবে, যা একেবারেই কাম্য নয়। ধর্ষণের ফলে সন্তান জন্মগ্রহণ করতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এরকম অসংখ্য ঘটনার নজির রয়েছে। এ ছাড়া বাবা-মায়ের সিদ্ধান্তের জন্য একটি নিষ্পাপ শিশুকে অপমান করা যেতে পারে না।

তিনি আরো বলেন, ১৮৭২ সালের পুরাতন আইন, যা ব্রিটিশ আমলে করা হয়েছে এবং তা বর্তমান যুগের জন্য একেবারেই অনুপযুক্ত। যেখানে বর্তমানে ডিএনএ টেস্টের সুযোগ রয়েছে। এই আইন সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এটি অদ্ভুত ও বৈষম্যমূলক। এ ছাড়া ইউনিভার্সেল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটসের পরিপন্থী। এ কারণেই রিট করেছি।

-জেডসি