ঢাকা, শনিবার ২০, ডিসেম্বর ২০২৫ ১:৩৮:২৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করেছেন তারেক রহমান আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান ডিএমপি কমিশনারের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আবারো আগুন-ভাঙচুর প্রথম আলো-ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ভাঙচুর-আগুন

সরকার ৬৫৩ কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে ফ্যামিলি কার্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:০৩ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০২২ সোমবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সারা দেশে এক কোটি পরিবারকে বাজারের তুলনায় কম দামে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করছে সরকার। প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে রয়েছে সয়াবিন তেল, চিনি, মসুর ডাল, ছোলা ও খেজুর। এতে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে প্রায় ৬৫৩ কোটি টাকা।

সরকারি বাণিজ্যিক সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে বর্তমান বাজার দামে এসব পণ্য কিনতে মোট খরচ হয়েছে ১ হাজার ৫৪২ কোটি ৪৯ লাখ ৬৭ হাজার ৪৪০ টাকা।

অন্যদিকে এই পাঁচ পণ্য বিক্রি থেকে টিসিবির আয় হবে ৯৪৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪ হাজার ১০ টাকা। এতে সংস্থাটির তহবিলে ঘাটতি দাঁড়াবে ৬৫৩ কোটি ৭৯ লাখ ৬৩ হাজার ৪৩০ টাকা। এ ঘাটতি সরকার ভর্তুকি হিসেবে বহন করবে।

গত ২০ মার্চ থেকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি পরিবারের মাঝে পণ্য বিক্রি শুরু হওয়ার পর টিসিবির সার্বিক আর্থিক ব্যয়সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন থেকে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।

গত ৪ এপ্রিল টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান স্বাক্ষরিত এই হিসাব বিবরণী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা প্রতিবেদনটি পেয়েছেন। ভর্তুকির পরিমাণ কী দাঁড়াবে, সেটি যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ন কবির ভূঁইয়া বলেন, ‘এটা একটা প্রাথমিক হিসাব। পুরো হিসাব পেতে আরও পাঁচ থেকে ছয় মাস লাগবে। চূড়ান্ত হিসাবে ভর্তুকির পরিমাণ আরও বাড়তে বা কমতে পারে।’

দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় টিসিবির মাধ্যমে ফ্যামিলি কার্ডের ভিত্তিতে ভর্তুকি দামে প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছাতে সারা দেশে এক কোটি উপকারভোগী পরিবার বাছাই করে।

এ কার্যক্রমের আওতায় ২০ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রথম পর্বে এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের মাঝে ১১০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি চিনি, ৬৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল বিক্রি করা হয়।

দ্বিতীয় ধাপে ৩ এপ্রিল থেকে এসব পণ্যের সঙ্গে ৫০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি ছোলা যুক্ত হয়, যা ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।

এর আওতায় দুই দফায় প্রত্যেক পরিবার সুলভ মূল্যে চার লিটার সয়াবিন ছাড়াও চার কেজি করে চিনি, মসুর ডাল ও ছোলা কেনার সুযোগ পাচ্ছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, এক কোটি পরিবারের জন্য দুই দফায় চার লিটার সয়াবিন সরবরাহের জন্য টিসিবিকে ৩ কোটি ৯৪ লাখ ৫৯ হাজার ৫৬২ লিটার সয়াবিন কিনতে হয়েছে। প্রচলিত বাজারের দাম ১৬০ টাকা হারে এতে মোট খরচ পড়েছে ৬২৯ কোটি ৬৮ লাখ ৯ হাজার ৪৪০ টাকা। কিন্তু এই সয়াবিন বিক্রি করে উপকারভোগীদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থের পরিমাণ হলো মাত্র ৪১৪ কোটি ৩২ লাখ ৫৪ হাজার ১০ টাকা। এতে ভর্তুকি গুনতে হচ্ছে ২১৫ কোটি ৩৫ লাখ ৫৫ হাজার ৪৩০ টাকা।

একইভাবে ৪০ হাজার টন চিনি কেনায় খরচ পড়েছে ৩১৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। ভোক্তা পর্যায়ে পাওয়া বিক্রীত অর্থের পরিমাণ ২০০ কোটি টাকা। এতে ভর্তুকি যাচ্ছে ১১৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

৪০ হাজার টন মসুর ডাল কেনায় খরচ ৪৩১ কোটি ৫৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। বিক্রীত অর্থের পরিমাণ ২৪০ কোটি টাকা। এতে ভর্তুকি দিতে হবে ১৯১ কোটি ৫৮ লাখ ১০ হাজার টাকা।

২০ হাজার টন ছোলা কেনায় খরচ পড়েছে ১৫৫ কোটি ৬১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। বিক্রি করে পাওয়া অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে মাত্র ৯০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ছোলায় ভর্তুকি যাবে ৬৫ কোটি ৬১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।

এ ছাড়া কার্যক্রমের আওতায় খেজুর কেনা হয়েছে ৭৫০ টন। এতে খরচ হয়েছে ৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। উপকারভোগীর কাছে বিক্রি থেকে পাওয়া অর্থের পরিমাণ ৫ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। খেজুরে ভর্তুকি যাচ্ছে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

এ ছাড়া টিসিবির মাধ্যমে সারা দেশে পণ্য বিক্রির জন্য উপকারভোগী বাছাইয়ে স্থানীয়ভাবে জরিপ পরিচালনা করা হয়। এই জরিপকাজে মোট খরচ পড়েছে ১০ কোটি টাকা। এরপর উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয় ফ্যামিলি কার্ড। এক কোটি পরিবারের জন্য এই ফ্যামিলি কার্ড তৈরিসহ জেলা প্রশাসনের গুদামে পণ্য প্যাকেজিংয়ে খরচ হয়েছে মোট ২৫ কোটি টাকা। আন্তগুদাম পরিবহনে খরচ হয়েছে ১০ কোটি টাকা।

কার্যক্রম শুরুর পর থেকে শেষ হওয়া পর্যন্ত তিন মাসের গুদাম ভাড়াজনিত খরচ ধরা হয়েছে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। গুদাম থেকে ট্রাক এবং ট্রাক থেকে গুদামে পণ্য লোড-আনলোড করতে খরচ ধরা হয়েছে আরও ১৩ কোটি টাকা।