ঢাকা, সোমবার ২২, ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:৩৬:৫৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নিরাপত্তা, অস্ত্রের লাইসেন্স চেয়ে আবেদন ১৫ রাজনীতিবিদের ‘ভোটের গাড়ি’র প্রচার শুরু আজ আগামী বাজেটের রূপরেখা দিয়ে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার গণভোট নিয়ে নানা শঙ্কা পশ্চিম তীরে নতুন ১৯টি বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিল ইসরায়েল

সুপ্রিম কোর্ট থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি সরানোর দাবি হেফাজতের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত : ০৯:৫১ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ রবিবার

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। গতকাল রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে হেফাজতের মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এ দাবি জানান।
 
বিবৃতিতে বলা হয়, মুসলমানরা স্থাপত্যকলা ও শিল্পকলার বিরুদ্ধে নয়, কিন্তু গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপনপূর্বক আমাদের জাতীয় মন ও মানসে বিজাতীয় কৃষ্টির অনুপ্রবেশ আমরা বরদাশত করব না। গ্রিকপুরাণের কল্পিত দেবী থেমিস রোমানদের কাছে ন্যায়ের প্রতীক হতে পারে, কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা তাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য থেকে ধার করে কেন হীন ঔপনিবেশিক ধ্যানধারণা লালন করব? আমরা ভূইফোঁড় কোনও জাতি নই যে, পরজীবিতার আশ্রয় নিতে হবে।
 
বিবৃতিতে বলা হয়, রোমানদের কাছে ন্যায়ের প্রতীক কল্পিত গ্রিক দেবীর সঙ্গে এই দেশের ঐতিহ্য, ইতিহাস ও ভাব-সম্পদের ন্যূনতম সম্পর্ক নেই। এরপরও কিভাবে আমাদের হাইকোর্টের সামনে এ রকম অগ্রহণযোগ্য ও বিজাতীয় মূর্তিকে স্থাপন করা হলো? কারা, কী উদ্দেশ্যে এটি করার সুযোগ পেলো কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে দেশের মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। দেশের ৯২ ভাগ মুসলমানের চিন্তা চেতনার পরিপন্থি গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।
 
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার সর্বোচ্চ স্থান সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে কথিত ন্যায়ের প্রতীক নগ্ন-অশ্লীল দেবী থেমিসের মূর্তি স্থাপন হচ্ছে চরম ধৃষ্টতা এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের অবমাননা। স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের নিজস্ব ইতিহাস, কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও আত্মমর্যাদাবোধেরও সম্পূর্ণ বিপরীত ও সাংঘর্ষিক। গ্রিক দেবীর মূর্তি নয়, মুসলমানদের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতীক হলো মহাগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআন। মহান আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ইসলামে মূর্তি স্থাপন হারাম।
 
সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, অবিলম্বে এই মূর্তি অপসারণ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ তৌহিদি জনতার ক্ষোভ প্রশমিত করতে হবে। অন্যথায় ধর্মপরায়ন জনগণের সমর্থন হারালে এবং তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে আপনারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।