ঢাকা, শনিবার ২০, ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:৫০:৪৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নির্বাচনের বাকি ৫৩ দিন, সামনের প্রতিটি দিনই গুরুত্বপূর্ণ! ‘সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি’ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক আজ ট্রাভেল পাস হাতে পেয়েছেন তারেক রহমান উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অফিসে আগুন

স্পা সেন্টারের আড়ালে ‘পতিতাবৃত্তি’ : ১৬ নারী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:০০ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার

গুলশানের স্পা সেন্টার থেকে গ্রেপ্তার নারীরা। গতকালের ছবি

গুলশানের স্পা সেন্টার থেকে গ্রেপ্তার নারীরা। গতকালের ছবি

রাজধানীর গুলশান এলাকার তিনটি স্পা সেন্টার অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার ১৮ জনের মধ্যে দুজনকে মানবপাচার আইনে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে স্পা সেন্টারের আড়ালে ‘পতিতাবৃত্তি’র কথা স্বীকার করায় ১৬ নারীর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

আজ সোমবার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইমলাম এই আদেশ দেন। বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান নিশ্চিত করেছেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন, লালমনিরহাটের সদর থানার গোবাই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আসাদুজ্জামান (৩২) ও চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থানার কাবিলা গ্রামের রবিউল আলমের ছেলে রুহে আলম (৩৮)। তাদের মধ্যে প্রথমজনের দুদিন এবং অপরজনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন, মোসা. মাহফুজা সাথী (২২), লিলি রেমা (২৫), সাহিদা (২৫), মোসা. হাওয়া আক্তার (২৫),  শারমীন আক্তার (২৫),  মাধবী চিরং (২৫), কলি হক (২৪), সুমা সাংমা (২৭), টিনা খাতুন (২৬), মোসা. রুবি (২৮), মোসা. লাকী (২৮),  মোসা. সাদিয়া (২৮), রুমানা আক্তার (২০), হীরা মনি (২০), মমতাজ বেগম (৩৫) ও লাকী আক্তার মিম (২০)। 

মামলার আসামিদের মধ্যে আসাদুজ্জামানের সাত দিনের এবং রুহে আলমের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল গুলশান থানা পুলিশ। আর অন্য আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয়।

মামলার অসামিদের মধ্যে একটি মামলায় ১১ জন, অরেক মামলায় দুজন এবং অপর মামলায় পাঁচজন আসামি ছিল।

একটি মামলার রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ‘নাভানা টাওয়ারের ম্যাংগো স্পা’, ‘রেসিডেন্স সেলুন অ্যান্ড স্পা’ ও ‘লাইফ স্টাইল স্পা’ পতিতালয় হিসেবে ব্যবহার করা হতো। সেখানে আসামিরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উঠতি বয়সী যুবতী ও নারীদের একত্রিত করে অবৈধভাবে দেহব্যবসা পরিচালনা করে যৌন শোষণ ও নিপীড়ন মূলক কাজ পরিচালনা করে আসছিল।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা পতিতাবৃত্তির কথা স্বীকার করেছে। পলাতক আসামি সুমন কিং খান ও রায়হানের নির্দেশে আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে এই কাজ করে আসছে। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য আসামিরা পতিতালয় পরিচালনা করে অন্যায়ভাবে লাভবান হয়ে আসছিল। আসামিরা বিভিন্ন বয়সের যুবতী ও নারীদের দিয়ে পতিতাবৃত্তি করত। তারা উঠতি বয়সী ছেলেদের অসামাজিক কাজে লিপ্ত করে সামাজিক অবক্ষয় ঘটায় ও আইনশঙ্খলা বহির্ভূত কাজ করছে।

এর আগে গতকাল রোববার রাতে পুলিশ গুলশানে অভিযান চালিয়ে ওই ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করে।