ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:২০:২৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তরুণী

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৪৯ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মাত্র ১২০ টাকায় বাংলাদেশ পুলিশে চাকরি  পেলেন গোপালগঞ্জের ১৬ তরুণ-তরুণী। শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে  নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তারা প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে।

শুক্রবার  (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকেই।

গত ১৭ আগস্ট সকাল ৮টায় পুলিশ লাইন্স মাঠে শুরু হয় নিয়োগ কার্যক্রম। প্রথম ধাপে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই, শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা ও অন্যান্য পরীক্ষা শেষে অনুষ্ঠিত হয় লিখিত পরীক্ষা। এতে অংশগ্রহণ করেন মোট ২৮৪ জন চাকরিপ্রত্যাশী তরুণ-তরুণী। পরীক্ষার ফলাফলে উত্তীর্ণ হন ৪০ জন পুরুষ ও ৭ জন নারীসহ মোট ৪৪ জন প্রার্থী।

পরবর্তীতে তারা মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। ধাপে ধাপে কঠোর যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে অবশেষে নির্বাচিত হন ১৪ জন তরুণ এবং ২ জন তরুণী। এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন চাকরি পাওয়া তরুণ তরুণীরা।

চাকরি পাওয়ার খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়া লোপা বিশ্বাস বলেন, ‘আমার বাড়ি মুকসুদপুরে। আমার বাবা একজন দিনমজুর, মা ও কাজ করে। আমার বাবা আর মা যখন কাজ শেষ করে দিনশেষে বাড়ি ফিরে তখন তাদের মুখের দিকে তাকাতে পারি না। আমার খুব কষ্ট হয়। চাকরিটা পেয়ে আমার খুব উপকার হলো। আমার বাবা - মাকে এখন একটু শান্তিতে রাখতে পারবো। আমি এর আগেও দুইবার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। তখন আমার চাকরি হয়নি। তবে আমি মনোবল হারাইনি। অবশেষে তৃতীয় বার আমার চাকরিটা হলো।’

গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা শতভাগ স্বচ্ছতার মধ্যে দিয়ে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করেছি। যারা চাকরি পেয়েছে তারা তাদের  মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পেয়েছে। নিয়োগ পরিক্ষার শুরু থেকে আমরা বিভিন্ন ভাবে পরিক্ষার্থীদের সতর্ক করে আসছি। যেন তারা কোনভাবে দালাল চক্রের খপ্পরে না পড়ে।