ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, এপ্রিল ২০২৪ ২১:০৮:২৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস

অস্বাস্থ্যকর বাতাসের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০৭ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ বায়ু মানের তালিকায় আবারও শীর্ষে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকা। মঙ্গলবার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) রেকর্ড করা হয়েছে ২৬৯। যা ‘অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয়।

একই সময়ে ভারতের মুম্বাই এবং চীনের শেনিয়াং যথাক্রমে ১৮৮ এবং ২৪২ এর স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।


প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

জাতিসংঘের তথ্য মতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়। 

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা অনুসারে, এক বছরে বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে পিএম ২. ৫ (২. ৫ মাইক্রোমিটার বা এর চেয়ে ছোট ব্যাসের বস্তুকণা) ১৫ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত অনুমোদিত। কিন্তু শীতে ঢাকার কিছু অঞ্চলে বাতাসে স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ গুণ ধুলাও পাওয়া গেছে।

ঢাকার ১০টি অঞ্চলে কোন ঋতুতে ধুলাদূষণ কেমন, তা ১০ মাস ধরে পরীক্ষা করছে স্টামফোর্ড বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)। আবহাওয়াবিদদের কাছে ঋতু মূলত চারটি, প্রাক্-বর্ষা, বর্ষা, বর্ষ—পরবর্তী ও শীত (ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি)।

ক্যাপসের উপাত্ত অনুসারে, সবচেয়ে বেশি ধুলাদূষণ হয়েছে শীতে। 

গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ধুলা এমনিতে বেশি। এরপর কয়েক বছর ধরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে উন্মুক্ত পরিবেশে নতুন নতুন নির্মাণযজ্ঞ বাড়িয়েছে ধুলাদূষণ। মেট্রোরেলের মতো বড় প্রকল্প, পূর্বাচল সিটি ও বছিলার মতো কিছু অঞ্চল এবং অজস্র ছোট আবাসন প্রকল্প এর মধ্যে রয়েছে। 

এ ছাড়াও রাজধানীর প্রবেশমুখ গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, পূর্বাচল, কেরানীগঞ্জ, টঙ্গীসহ আরও কিছু এলাকায় ধুলার আধিক্য দেখা যায়।

বেশ কয়েকটি গবেষণা অনুসারে, বায়ু দূষণ ক্রমাগত বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও অক্ষমতার জন্য ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে একটি৷ দীর্ঘদিন দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেয়ার ফলে একজন ব্যক্তির হৃদরোগ, শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ ও ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর মূলত স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী পালমোনারি রোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও তীব্র শ্বাসকষ্টের ফলে আনুমানিক ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।