ঢাকা, সোমবার ২২, ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩:৫৯:৪৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নিরাপত্তা, অস্ত্রের লাইসেন্স চেয়ে আবেদন ১৫ রাজনীতিবিদের ‘ভোটের গাড়ি’র প্রচার শুরু আজ আগামী বাজেটের রূপরেখা দিয়ে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার গণভোট নিয়ে নানা শঙ্কা পশ্চিম তীরে নতুন ১৯টি বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিল ইসরায়েল

আজ বাজারে সবকিছুর দাম লাগামছাড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০৭:১৫ পিএম, ৬ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার

আজ শুক্রবার বাজারে দামদরের পার্থক্য লক্ষ্য করা গেল। সব কিছুর দাম বেড়েছে আগে থেকেই। তবে আজ সবকিছুর দাম লাগামছাড়া। তারপরেও ক্রেতারা ভিড় করছেন বাজারে।



আজ বাজার সকাল থেকেই সরগরম। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, একেক বাজারভেদে সব কিছুর দামের পার্থক্য ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি। বিক্রেতারা বরাবরের মত নিজেদের পক্ষেই সাফাই গাইলেন। তবে বিভিন্ন এলাকায় দামভেদের পার্থক্য নিয়ে তারা কোন সদোত্তর দিতে পারেনি। 


সব্জির দাম : বৃষ্টি বাদল-বৈরি আবহাওয়াকে দাম বাড়ার হেতু হিসেবে বলছেন ব্যবসায়ীরা। সব্জি উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ থেকে কমও আসছে বলে জানান তারা। অথচ বাজারে পর্যাপ্ত সব্জির মজুদ দেখা গেল। আবার এগুলোর দাম বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম দেখা গেল। কাঁচা মরিচের দাম মাংসের দামকেও ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া কাঁকড়ল ৫০ টাকা থেকে ৫৫, বেগুন ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, শসা ৫০ টাকা, ঢেঁড়স, পটল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, করল্লা ৫০ থেকে ৫৫, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। আমদানিকৃত পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। এছাড়া লাউ প্রতিপিস ৪০ থেকে ৪৫, লেবু হালি ৩০ থেকে ৪০, লাল শাক, পালং শাক ও ডাটা শাক ৩ আঁটি ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পুঁই শাক এক আঁটি ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এরকম দাম সম্বন্ধ্যে খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের ব্যবসায়ী তৌফিক বলেন,সব্জির ট্রান্সপোর্ট খরচ অনেক বেড়ে গেছে। এ আবহাওয়ায় পিকআপের ভাড়া হয়েছে ডাবল। তাই সব্জির দাম অটো বেড়ে যাচ্ছে।


চালের দাম : চালের বাজারও সব্জির বাজারের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। রাজধানীর খুচরাবাজারে মোটা চাল ইরি/স্বর্ণা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, মাঝারি মানের চাল পাইজাম/লতা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা ও সরু চাল নাজিরশাইল/মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। কিন্তু গত সপ্তাহে মোটা চাল ইরি/স্বর্ণা প্রতি কেজি ৩৮ থেকে ৪২ টাকা, মাঝারি মানের চাল পাইজাম/লতা ৪৭ থেকে ৫৪ টাকা ও সরু চাল নাজিরশাইল/মিনিকেট ৫৮ থেকে ৬৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। কাওরানবাজারের চাল ব্যবসায়ী রুম্মন বলেন বাজারে চালের সরবরাহ কম। তাই দাম বাড়তি।


মাংস ও ডিমের দাম : ফার্মের লাল ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৪ টাকায়। হাঁসের ডিম পাওয়া যাচ্ছে ৪০ টাকায়। ৪৯০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৪০ থেকে ৭৫০ টাকায়। লাল কক মুরগির ২০০-২২০ টাকায়, ব্রয়লার মুরগি ১৫০ -১৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

 
মাছের দাম : মাছের বাজারে ক্রেতার ভিড়টাই বেশি। আর সব ধরনের মাছের দামই আগুন। প্রতিকেজি রুই ও কাতলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০-১৬০ টাকা, শিং মাছ আকারভেদে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা, পাঁচমিশালী ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা , কাচকি মাছ ২৪০ -২৫০ টাকা,টাকি মাছ ৩৫০ টাকা,চিংড়ি মাছ আকারভেদে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছ ব্যবসায়ী রতন বলেন এ সময়ে মাছের দাম একটু বাড়তিই থাকে। আর তাজা মাছ খাইতে গেলে টাকা বেশিই লাগে। মালিবাগ বাজারে বাজার করতে আসা হামিদা খানম বলেন,আমরা মাছই বেশি খেয়ে থাকি। বাসায় মাছ আছে। আজকে ছোট মাছ কিনতে এসেছি। পাঁচমিশালী মাছের দাম ৫০০ টাকা কেজি চাইছে। অথচ গত সপ্তাহে কিনেছি ৩৫০ করে। কিভাবে এত তাড়াতাড়ি এত দাম বেড়ে গেল।



ক্ষেত্র বিশেষে, এলাকা ভেদে বাজারদরে তারতম্য থাকাটাই স্বাভাবিক। কারণ অভিজাত এলাকায় জিনিসপত্রের মূল্য একটু বেশিই হাকায় খুচরা ব্যবসায়ীরা। আবার ঢাকার বাইরে দাম তুলনামুলক কমই থাকে।