ঢাকা, শুক্রবার ১৯, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:১১:১১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করেছেন তারেক রহমান আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান ডিএমপি কমিশনারের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আবারো আগুন-ভাঙচুর প্রথম আলো-ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ভাঙচুর-আগুন

উখিয়া থানার ওসি মর্জিনাসহ ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:২৬ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০২০ মঙ্গলবার

কক্সবাজারের উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্জিনা আকতার (ডানে)

কক্সবাজারের উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্জিনা আকতার (ডানে)

কক্সবাজারের উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্জিনা আকতারসহ চারজনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার অন্য তিন আসামি হলেন-পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. শামীম ও কনস্টেবল মো. সুমন।

আজ মঙ্গলবার কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ এক নারী মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের তদন্ত ব্যুরোর (পিবিআই) অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট একরামুল হুদা।

তিনি জানান, মামলার বাদী মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার নয়াপাড়ার বাসিন্দা নুরুচ্ছবির মেয়ে। তিনি কক্সবাজারের একটি বেসরকারি কলেজের ছাত্রী।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কনস্টেবল মো. সুমনের (বর্তমানে রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কর্মরত) সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল ওই নারীর। এ সুবাদে বিয়ের কাবিনের কথা বলে গত ৭ জুলাই বেলা দুইটার দিকে ওই নারীকে রামুর খুনিয়াপালং চেকপোস্ট সংলগ্ন তার কক্ষে নিয়ে যায় সুমন। কাজী আসার অপেক্ষার অজুহাতে তাকে কক্ষে বসিয়ে রাখেন সুমন। পরে সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এরপর চেকপোস্টের পার্শ্ববর্তী একটি দোকানে বসিয়ে রেখে জরুরি কাজের বাহানা দিয়ে পালিয়ে যায় কনস্টেবল সুমন।  ঘটনার দিন রাত ১১টার দিকে বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ফোনে জানান ওই ভুক্তভোগী নারী। তার কথামতো উখিয়া থানায় গেলে ভুক্তভোগীকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেন ওসি মর্জিনা আকতার। পরে অভিযুক্ত ওসিসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তাকে থানার একটি কক্ষে আটকে রেখে ব্যাপক মারধর ও নির্যাতন চালানো হয়। এমনকি পায়ে রশি ও পরনের হিজাব দিয়ে চোখ বেঁধে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে রাখারও অভিযোগ এনেছেন ভুক্তভোগী। মামলার আরজির সঙ্গে নির্যাতনের কিছু ছবিও যোগ করেন তিনি।