ঢাকা, বুধবার ২৪, এপ্রিল ২০২৪ ৭:০৮:৩৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘পদ্মশ্রী’ গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা কাতার-বাংলাদেশ ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই কয়েক ঘণ্টায় ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল মাকে অভিভাবকের স্বীকৃতি দিয়ে নীতিমালা করতে হাইকোর্টের রুল আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি

একই গাছে মিলবে ২০০ জাতের আম

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৩০ এএম, ২০ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

একটি বা দুটি নয়, ২০০ জাতের আম মিলবে একই গাছে। এ অসম্ভবকে সম্ভব করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে। 

অবশ্য আমবিজ্ঞানীরা বলছেন, এতে জটিল কোনো সমীকরণ নেই। একটি গাছে যত ধরনের কলম করা হবে, ঠিক তত ধরনের বা জাতের আম ধরবে। আগামী মৌসুম থেকেই এ গাছে ফলন আসবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সার্কিট হাউসে ঢুকতেই মূল ফটক পেরিয়ে বাম দিকেই একটি আমগাছ। কয়েক মাস আগে বিশাল বড় আমগাছটি কেটে ছোট করা হয়েছে। সেখান থেকে বের হওয়া নতুন কচি ডালে করা হয়েছে ২০০ জাতের কলম। ইতোমধ্যে গ্রাফটিং বা কলম থেকেও বের হয়েছে হরেকরকম জাতের কচি ডালপালা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কয়েক দশকের একটি বড় ও পুরাতন গাছে দুইশ জাতের আমের বিশাল সংগ্রহশালা বানানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব (আম) গবেষণা কেন্দ্র, মনামিনা কৃষি খামার ও বিভিন্ন এলাকার কৃষকের থেকে সায়ন সংগ্রহ করা হয়েছে এ ২০০ জাতের। এ উদ্যোগের ফলে একদিকে যেমন প্রায় সব আমের সংগ্রহশালা তৈরি হবে, তেমনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আমের রাজধানী হিসেবে পর্যটন খাতেও ভূমিকা রাখবে। ফলন এলে গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকেও রেকর্ড করবে এ আমগাছ- এমন আশাবাদ সংশ্লিষ্টদের।

সূত্র আরও জানায়, প্রচলিত বা পরিচিত জাতগুলো ছাড়াও জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সম্প্রতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নাম দেওয়া প্রায় ১০০ জাতের আম থাকবে এ গাছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো- ফজলি, বোম্বাই ফজলি, সুরমা ফজলি, গোপালভোগ, লক্ষণভোগ, লখনা, আশ্বিনা, ল্যাংড়া, রানী পছন্দ, ক্ষীরসাপাত, হিমসাগর, হাঁড়িভাঙা, বারি আম-২, বারি-৩, মোহনভোগ, ক্ষীরমন, দুধস্বর, গৌড়মতি, সুন্দরী, সুবর্ণরেখা, কালাপাহাড়, বউ ভুলানী, জমরুদ, অরুনা, চৌষা, রাজভোগ, কোহিতুর, বিলু পছন্দ, কাগরী, চিনিবাসা, দুধকুমার, সীতাভোগ, শোভা পছন্দ, লতিকা, রহনপুরি, হরমতি, ইলামতি, রানিভোগ, দিলখোস, তরুলতা, জৈষ্ঠ্যিভোগ, লাবণ্য, চাঁপাই সুন্দরী, মনময়ূরী, মধুমতি, ফুলকি প্রভৃতি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব (আম) গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান, তিনি প্রায় ২০টি দুর্লভ জাতের সায়ন দিয়েছেন এ গাছে গ্রাফটিং করার জন্য। 

তিনি আরও বলেন, একটি গাছে ২০০ জাতের আম হবে কিনা, এটা নিয়ে জটিল কোনো সমীকরণ নেই। কারণ একটি গাছে যতগুলো গ্রাফটিং করা হবে, তত জাতের আম ধরবে। সায়ন সংগ্রহ করে সঠিক উপায়ে গ্রাফটিং বা কলম করার বিষয়টিই এখানে মুখ্য। এ উদ্যোগের ফলে অনেক জাতের জামপ্লাজম একটি গাছে সংগ্রহীত থাকবে। আম গবেষক ও শিক্ষার্থীরা তাদের চাহিদামতো খুব সহজেই সংগ্রহ ও গবেষণা করতে পারবেন। তবে এ ধরনের উদ্যোগের ব্যবসায়িক সম্ভাবনা খুবই কম।