ঢাকা, বুধবার ০১, মে ২০২৪ ১৬:৩৯:০৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
মহান মে দিবসে মেহনতি মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা মদিনায় ভারি বৃষ্টিতে বন্যা, রেড অ্যালার্ট জারি দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরা শুরু ভর্তি পরীক্ষায় ব্যর্থ, পদ্মায় ঝাঁপ দিয়ে তরুণীর আত্মহত্যা মহান মে দিবস আজ ক্যারিয়ার সেরা র‍্যাংকিংয়ে জ্যোতি চুয়াডাঙ্গায় আজ ৪৩.৭ ডিগ্রি, ২৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

কন্যাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:১৬ পিএম, ২২ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

‘বাল্যবিয়ের কারণ ও সামাজিক অভিঘাত’ বিষয়ক সমীক্ষার তথ্য নীতি নির্ধারক ও অন্যান্য অংশীদারদের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় ডেইলি স্টার ভবনের- আজিমুর রহমান কনফারেন্স হলে সমীক্ষার তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আব্দুল আজিজ এমপি, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরীএবং অ্যাম্বাসী অব সুইডেন, বাংলাদেশ এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার রেহানা খান। সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইজিডির প্রাকটিস অ্যান্ড হেড অব জেন্ডার অ্যান্ড সোশ্যাল ট্রান্সফরমেশন ক্লাস্টার এর সিনিয়র ফেলো; কেয়ার বাংলাদেশ-এর উইমেন এন্ড গার্লস এমপাওয়ারমেন্ট প্রোগ্রামের অ্যাক্টিং ডিরেক্টর রওনক জাহান; জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাসিমা আক্তার জলি।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। সমীক্ষার প্রেক্ষাপট আলোচনা করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম ও অ্যাড. মাসুদা রেহানা বেগম। সমীক্ষার তথ্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের অ্যাডভোকেসি ও লবি পরিচালক জনা গোস্বামী ও আইনজীবী অ্যাড. ফাতেমা খাতুন। সভাপতিত্ব করেন  বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম।

সমীক্ষার তথ্য উপস্থাপনে বলা হয়  ৮টি বিভাগের ৩৭ টি জেলা এবং সিটিকর্পোরেশন, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, থানা এবং ইউনিয়ন পর্যায় থেকে ২০৬০ জনের নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।  তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় বাল্যবিয়ে দেয়া পরিবারগুলোর মধ্যে নিম্ন বিত্তের হার সবচেয়ে বেশি। তবে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতেও বাল্যবিয়ের হার প্রায় এক চতুর্থাংশ, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে সাথে শিক্ষাও এ ক্ষেত্রে বড় প্রভাব বিস্তার করে। বাল্যবিয়ে দেওয়া অভিভাবকদের মধ্যে প্রায় ৩১% (২৬০ জন) নিরক্ষর, ৪১% (৩৪৭ জন) অক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন, ২৬% (২১৭জন) স্বল্প শিক্ষিত এবং শিক্ষিত ৪% (৩৩ জন)। এই জরীপের অভিভাবকদের দেয়া তথ্যে দেখা গেছে ১৩-১৫ বছর বয়সী কন্যাশিশুরা বাল্যবিয়ের শিকার হয়, যা মোট বাল্যবিয়ের ৭২%। অন্যদিকে বাল্য বিয়ের শিকার ৫৭% কন্যাশিশুর বিয়ে ১২-১৫ বছরের মধ্যে হয়েছে। জরীপে প্রাপ্ত তথ্যে আরো দেখা গেছে, ৫৬% অভিভাবক বাল্যবিয়ের আইন সম্পর্কে অবগত হয়েও আইন অমান্য করে নানাভাবে তাদের কন্যাশিশুর বিয়ে দিয়েছেন। এ বিয়েগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ অর্থাৎ ৫৮% বিয়েই রেজিষ্ট্রি ছাড়া সম্পন্ন করা হয়েছে এবং বিয়ের সময় কাজীকে জন্মসনদ প্রদান করার কথা থাকলেও শতকরা ৫৪% অভিভাবক কাজীকে তার মেয়ের জন্মসনদ প্রদান করেনি। জরিপকালে ৩৬% ম্যারেজ রেজিষ্ট্রার  জানিয়েছেন সমাজে বাল্য বিয়ের হার মাত্র ১০%। মাত্র ৩% ম্যারেজ রেজিষ্ট্রার বলেছেন দেশে বাল্য বিয়ের হার ৫০%. যা সমাজের বাস্তব চিত্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সমীক্ষায় বাল্যবিয়ের কারণ ও সামাজিক অভিঘাত  হিসেবে নারীর প্রতি পুরুষতান্ত্রিক অধ:স্তন গৎবাধা দৃষ্টিভঙ্গী যেমন: কন্যা সন্তানকে বোঝা মনে করা, বিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে কন্যার প্রতিদায়িত্ব পালন ; বাল্যবিয়ের ফলে কন্যাশিশুর উপর আসা অভিঘাত সারজীবন বয়ে বেড়ানো; মৌলিক অধিকার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়া, স্বাস্থ্য অধিকার ক্ষুণœ এবং জীবনভর নির্যাতনের শিকার হতে থাকা; বাল্যবিবাহ বিষয়ক তথ্যের অভাব এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কাজের পরিবীক্ষণ না করা মিথ্যা সনদপত্র প্রদান করা; বাল্যবিয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের দায়িত্বহীনতা এবং জবাবদিহিতা সর্বোপরি সুশাসনের অভাব; বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সমূহের সমন্বয়হীনতার বড় প্রতিফলন; আইন থাকা সত্ত্বেও এই দায়িত্বহীনতা অপরাধ হিসেবে গণ্য না হওয়া; মিথ্যা জন্মসনদ দিয়ে বিয়ে সম্পন্নকারীদের আইনের আওতায়  না নিয়ে আসা; কন্যাশিশুর গর্ভকালীন এবং  প্রজনন স্বাস্থ্য সেবার অধিকার  থেকে বঞ্চিত; দেশের অর্থনীতি অর্ধেক মানব সম্পদের শ্রমশক্তি থেকে বঞ্চিত; অর্থনৈতিক অবস্থানের সাথে বাল্যবিয়ের সম্পর্ক রয়েছে।সমাজে কন্যাশিশুর নিরপত্তাহীনতা; সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি  এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকে গুরুত্বপূর্ণদিক  হিসেবে উপস্থাপন করা হয় এবং  এ প্রেক্ষিতে কয়েকটি সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব মো. আব্দুল আজিজ এমপি বলেন, ‘অনেক আইন থাকলেও বাস্তব অবস্থার কারণে তা প্রয়োগ করা যায়না। গ্রামে অত্যন্ত দরিদ্রদের মধ্যে বাল্যবিয়ের প্রবণতা বেশি। বংশানুক্রমে কাজীর ছেলে কাজী হয়, এটা বন্ধ করা গেলে বাল্যবিয়ে বন্ধে সুফল আসত; কাজীরা তাদের সুযোগ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে; এজন্য প্রশাসনকে জোরালো ভূমিকা পালনে জনপ্রতিনিধিদের তৎপর হতে হবে। কিশোরী ক্লাবগুলোর মাধ্যমে বাল্যবিয়ে বন্ধে  কিশোরীদের সচেতন করতে হবে।’ তিনি বাল্যবিয়ে বন্ধে কিশোর-কিশোরী, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করে সরকারি  ও বেসরকারি সংস্থাকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ও সচেতনমূলক কর্মসূচী গ্রহনের আহ্বান জানান।  

গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘বাল্যবিয়ের প্রবণতায় জেলাভিত্তিক কোন পার্থক্য আছে কীনা এটা মূল রিপোর্টে আনা যেতে পারে, পালিয়ে বিয়ে করায় বাল্যবিয়ে বাড়ছে –এটাকে জনপ্রতিনিধিদের অজুহাত হিসেবে দেখানো বন্ধ করতে হবে। বাল্যবিয়ে দিলে কন্যা উপবৃত্তি পাবেনা এমন শর্ত আরোপ করা যেতে পারে ; শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে সমন্বয় করে কিশোরী ক্লাব মনিটরিং করতে হবে ; বাল্যবিয়ে বন্ধে তথ্য-উপাত্তের ঘাটতি দূর করতে সরকারি সংস্থাকে উদ্যোগ নিতে হবে।’

অ্যাম্বাসী অব সুইডেন,বাংলাদেশ এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার রেহানা খান বলেন, ‘বাল্যবিয়ের মূল কারণগুলো এ সমীক্ষায় সুস্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। বাল্যবিয়ে একটি অভিশাপ  আমরা জানি। কন্যাদের তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা জরুরি। নারী ও কন্যাদের সিদ্ধান্ত ও পছন্দের সুযোগ কম।’

আলোচক হিসেবে উপস্থিত বিআইজিডির প্রাকটিস অ্যান্ড হেড অব জেন্ডার অ্যান্ড সোশ্যাল ট্রান্সফরমেশন ক্লাস্টার এর সিনিয়র ফেলো মাহিন সুলতান; কেয়ার বাংলাদেশ-এর উইমেন এন্ড গার্লস এমপাওয়ারমেন্ট প্রোগ্রামের অ্যাক্টিং ডিরেক্টর রওনক জাহান এবং  জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাসিমা আক্তার জলি বলেন, এভিডেন্স বেসড অ্যাডভোকেসি খুবই গুরুত¦পূর্ণ। এই সমীক্ষায় আসা তথ্য গুলো বাস্তবসম্মত। কোভিডের পর ঝরে পড়া শিশুদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ কতটা কার্যকর তা এখন দেখতে হবে; দারিদ্রতাই বিয়ের মূল কারণ কিনা দেখতে হবে ; জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে; কাজীদের মানসিকতা পরিবর্তনে আরো কাজ করতে হবে; কিভাবে একজন কিশোরীর জন্য বিনিয়োগ করলে উপকার হবে সেবিষয়ে আরো কাজ করতে হবে, তাদের প্রায়োরিটি কে গুরুত্ব দিতে হবে ।সরকারি পর্যায় থেকে বাল্যবিয়ের কথা কম বলা হচ্ছে। এখানে তথ্যগত বিভ্রান্তি রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে। বাল্যবিয়ের সাথে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি অনেকাংশে জড়িত, এমতাবস্থায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে মিটিং করার জন্য পর্যাপ্ত বাজেট, সরকারের সাথে কাঠামোগতভাবে সমন্বয় করতে হবে; সরকারি তথ্য হালনাগাদ করতে হবে এবং এর মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে; গণমাধ্যমকে বাল্যবিয়ের প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করতে হবে; যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট আইন থাকতে হবে; সিদ্ধান্তগ্রহণ বিষয়ে কন্যাশিশুদের সুযোগ দিতে হবে,

স্বাগত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, ‘বাল্যবিয়ে নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় এখনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে আছে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বহুমুখী পদক্ষেপ থাকা স্বত্তেও কেন বাল্যবিয়ে বাড়ছে এবং বাল্যবিয়ের কারণে তৈরি হওয়া অভিঘাতগুলোকে সমাজ কিভাবে দেখছে তা পর্যালোচনার জন্য আজকের সভার আয়োজন।’

সমীক্ষার প্রেক্ষাপট আলোচনায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম বলেন, ‘নারীর মানবাধিকার নিয়ে কাজ করতে গেলে নানা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে আসে। এর প্রেক্ষিতে  সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করে থাকে। করোনাকালে  ‘বাল্যবিয়ের কারণ ও সামাজিক অভিঘাত’- বিষয়ক সমীক্ষার জন্য মাঠ পর্যায়ে নারীর সহিংসতার অবস্থানের দিকটি জেলায় ও তৃণমূলে  থাকা সংগঠনের পাঠ্যচক্রের সদস্যরা তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে তুলে এনেছে।’

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদা রেহানা বেগম বলেন, ‘তৃণমূলের সাধারণ নারীরা তথ্য সংগ্রহের কাজ এটা করেছে। চার দশকের কাজের আলোকে দেখা গেছে নারীর প্রতি সহিংসতায়  বাল্যবিয়ে মূল কারণ হিসেবে এসেছে।’

সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা  নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বড় বাধা। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কিশোরীরা ভ’মিকা পালন করছে  রাখছে যা অত্যন্ত সীমিত। শিক্ষার মান উন্নত করার সাথে সাথে শিক্ষাকে পণ্য হওয়া থেকে মুক্ত করে একটি মানবিক শিক্ষা  কিশোর কিশোরীদের দিতে হবে। তিনি আরো বলেন নারীর ক্ষমতায়নের সাথে তার  সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়া  জোরালো ভ’মিকা পালন করে। নারীর রাজনীতিতে অধিকার, সম্পদ-সম্পত্তিতে নারীর সমান অধিকার এবং নারীর অবৈতনিক গৃহশ্রম বন্ধ করার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।’ এই তিনটি বিষয় নারীর ক্ষমতায়নের জন্য আবশ্যক। পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়নের সাথে সাথে বাল্যবিয়ে বন্ধে বহমান সংস্কৃতি, দৃষ্টিভঙ্গি এবং প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে জনপ্রতিনিধিসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন নেটওয়ার্কস ফর এনশিউরিং এডলোসেন্ট রিপ্রোডাকটিভ হেলথ রাইটস এন্ড সার্ভিসেস( নিয়ারস) এর মেম্বার সেক্রেটারী মো: শওকত হোসেন; একশন এইডের নুরুন্নাহার বেগম; ই্উএনএফপিএ-এর রাজু দাস; বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নিগার সুলতানা; এডাবের পরিচালক একে এম জসীমউদ্দিন, আইন ও শালিস কেন্দ্রের রাখী জামান, ব্লাষ্টএর প্রমা ইশরাত; কেয়ার বাংলাদেশ-এর সুমাইয়া সিদ্দিকী।

কর্মসূচিতে সংগঠনের কেন্দ্র ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ, সম্পাদকমন্ডলী, সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সংগঠনের মধ্যে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ, ঢাকা ওয়াই ডব্লিউ সিএ,এফপিএবি,ভিএসও বাংলাদেশ, অভিযান এবং বাউশি এর  প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ ৯০ জন উপস্থিত ছিলেন।