ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১৭:৩১:৩৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫ রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া

কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সৎ বাবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০৩ পিএম, ১৯ মে ২০২২ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ঘটনাটি ভারতের। সেখানে কিশোরী সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অপরাধে বাবাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দিল্লির দায়রা আদালত। একই সঙ্গে ভিকটিমের শিক্ষা ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য সাড়ে ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এই রায় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দু ও দ্য ওয়াল।

তিন বছর আগের এই ধর্ষণের ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া ভিকটিম একটি শিশুর জন্ম দিয়েছেন। অ্যাডিশনাল সেশন জাজ রায় দিতে গিয়ে জানিয়েছেন, একজন বাবা হয়ে আসামির এই আচরণ কিশোরী মেয়েটির জীবনে এমন বাজে প্রভাব ফেলবে যে- সারাজীবন যে কোনও সম্পর্কের প্রতি তার বিতৃষ্ণা জন্মাতে পারে।

রায় ঘোষণার সময় বিচারক আরও বলেন, অভিযুক্ত ওই বাবা শুধু তার মেয়ের নয়, স্ত্রীরও বিশ্বাস ও সম্মান সব ভেঙে দিয়েছে। সমাজের চোখে নিচে নেমে গেছে তার অবস্থান। এটা কেবল ধর্ষণ নয়, এটা একটা ভয়ানক ট্রমা। নিকটতম সম্পর্কে এই ধাক্কা আশাতীত। 
মামলা সূত্রে জানা যায়, বছর তিনেক আগের ঘটনা। নাবালিকা মেয়েটি পেটে ব্যথার কথা বলেছিল। হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডাক্তার দেখালে জানা যায়, সে ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। এর পরেই মাকে সে খুলে বলে, সৎ বাবার নির্যাতনের কথা। সে জানায়, কাউকে জানালে তাকে এবং তার মাকেও মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। 

যদিও অভিযুক্ত সৎ বাবার আইনজীবী আদালতকে বলেন, মেয়েটি কিশোরী নয়, তার বয়স ১৮ হয়েছে। সে এবং তার সৎ বাবার মধ্যে সম্মতিক্রমে সম্পর্ক তৈরি হয়। অভিযুক্ত আসলে কেবলই মেয়েটির সৎ বাবা ছিলেন না, প্রেমিকও ছিলেন। মেয়েটির মাও এসব জানতেন বলেই দাবি করেন ওই আইনজীবী। 

তবে আদালতে প্রমাণিত হয়, মেয়েটির বয়স ১৮ হয়নি। সে কিশোরী। ফলে ঘটনাটি ধর্ষণ হিসেবেই দেখা হয় আইনের চোখে। ভারতীয় আইন বলছে, আক্রান্ত যদি ১৮ বছরের নীচে হয়, তাহলে তার সঙ্গে যদি অভিযুক্তর কোনও সম্পর্কও থাকে, তাহলেও শারীরিক সম্পর্কের অধিকার নেই আইনত। এক্ষেত্রে কিশোরীর সম্মতি গ্রাহ্য হবে না। মেয়েটির মা-ও অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধেই সাক্ষ্য দেন। শেষমেশ যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা ঘোষণা হয়েছে সৎ বাবার বিরুদ্ধে।