ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ১৬:২৮:০৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

খালেদা জিয়ার মেডিকেল প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৫২ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কিত মেডিকেল প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দিয়েছে কতৃপক্ষ। এরআগে গত রবিবার আজকের মধ্যে আদালতে এ প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ঠ সাখায় এই প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।

এর আগে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার সর্বশেষ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর ওই প্রতিবেদন দাখিল এবং পাশাপাশি মামলার শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করা হয়েছিল। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালত তার আদেশে বলেছিলেন−খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য পূর্বে যে বোর্ড গঠিত হয়েছিল, সেই বোর্ডের অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্টের সুপারিশ অনুসারে খালেদা জিয়া তার চিকিৎসা করাতে সম্মতি দিয়েছেন কিনা, যদি সম্মতি দিয়ে থাকেন তাহলে সুপারিশ অনুসারে তার চিকিৎসা শুরু হয়েছিল কিনা এবং তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা কী তা জানাতে বলা হয়েছে বিএসএমএমইউ উপাচার্যকে।

তার আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। জামিন আবেদনের যুক্তিতে বলা হয়, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ এবং তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তার উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না। তাই জামিন পেলে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য যাবেন।

তবে এর আগেও চ্যারিটেবল মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন।

এরপর ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর হাইকোর্টের খারিজাদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ১৪শ’ ১ পৃষ্ঠার ওই আপিল আবেদন দাখিল করা হয়। ওই আপিলের শুনানি নিয়ে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন চেয়ে আদেশ দেন আপিল আদালত। তবে শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার জামিন দেননি আপিল বিভাগ।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে দুই মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করা হয়েছিল। এরপর ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয় এবং ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করা হয়।

এর আগে, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন।

-জেডসি