ঢাকা, সোমবার ২২, ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩:৫৯:৪৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নিরাপত্তা, অস্ত্রের লাইসেন্স চেয়ে আবেদন ১৫ রাজনীতিবিদের ‘ভোটের গাড়ি’র প্রচার শুরু আজ আগামী বাজেটের রূপরেখা দিয়ে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার গণভোট নিয়ে নানা শঙ্কা পশ্চিম তীরে নতুন ১৯টি বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিল ইসরায়েল

গরম আর দামের উত্তাপে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ১০:৩০ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার

প্রচন্ড গরমে যখন পুরো রাজধানীবাসী অতিষ্ঠ তখন রাজধানীর বাজারগুলোতে দামের উত্তাপে আরও নাজেহাল সবাই। আজ শুক্রবার ছুটির দিনে এত গরমেও বাজারে ক্রেতার ভিড় দেখা গেল।

 

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ বাজার, শান্তিনগর কাঁচা বাজার, মীরপুর-১ নম্বর বাজার, কাঠালবাগান বাজার, খিলগাঁও তালতলা মার্কেট বাজার ঘুরে দেখা যায় সবজির দামের পার্থক্য বাজারভেদে ৫ থেকে ১০ টাকা। সবজি বিক্রেতাদের দামের এ হেরফেরকে স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন।

 

খিলগাঁও তালতলা মার্কেট বাজারের সবজি ব্যবসায়ী তৌফিক বলেন, এক একেক এলাকা ভেদে দামের হেরফের হতেই পারে। সব মালামাল এক জায়গা থেকে আসেনা। তাই দরের এ তারতম্য।


বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা,শসা ৫৫ থেকে ৫৫ টাকা, গাজর ৬০-৬৫ টাকা, বেগুন মান ও বাজার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা, করলা ৫৫-৬০ টাকা, লাউ ৫০ - ৬০ টাকা, ফুলকপি ৬০ ও বাঁধাকপি ৭০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ -১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০-৫৫ টাকা, আকার ভেদে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৪০-৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০-৫০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ আকার ভেদে ৪০-৪৫ টাকা, আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০ টাকা। আদা ১০০-১১০ টাকা ও রসুন ৮০-১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

 

রাজধানীর মালিবাগ কাঁচা বাজারে সবজি কিনতে আসা রাব্বী ইসলাম বলেন, সব কিছুর দাম বাড়তি। সবজির দামের ঠিক নাই। রেললাইনের মেইন রোডের পাশের বাজারে সবজির দাম বেশি। তাই রেললাইনের নামার বাজার থেকে সবজি কিনছি। এখানে দাম ৫ থেকে ১০ টাকা কম। এগুলোর কোন অর্থ হয় না।

 


বাজারে হঠাৎ করে সব ধরনের মসলার দাম বেড়ে গেছে। এলাচ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯২০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায়। দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা, জয়ফল ৬০০-৬৫০ টাকা, জিরা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩৫ টাকা, সিরিয়া থেকে আমদানি করা জিরা ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, চীন থেকে আমদানি করা জিরা বিক্রি হচ্ছে ৩৯৫ টাকা, মিষ্টি জিরা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। এ ছাড়া কালো গোলমরিচ ৯৫০, সাদা গোলমরিচ এক হাজার ২০০ টাকা, জয়ত্রী ২ হাজার ১০০ টাকা, ধনিয়া ১০০-১২০ টাকা, ভারতীয় হলুদ ২১৫ টাকা, ভারতীয় মরিচ ১৫০ টাকা, দেশি শুকনা মরিচ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। 

 


মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। মিনিকেট ও নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

 

বাজারে রুই ও কাতলা প্রতি কেজি ২৪০-৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, বড় আকারের চিংড়ি প্রতি কেজি এক হাজার, মাঝারি ৭০০ টাকা ও সরপুঁটি ১৪০ টাকা ,ছোট আকারের চিংড়ি ৫১০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০-১৫০ টাকা, কই ১৪৫-১৫৫ টাকা, সিলভার কার্প ১০০-১৩০ টাকা, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১১০-১৩০ টাকা, নলা ১৩০-১৪০ টাকা,শিং মাছ ৪০০ -৬০০ টাকা,পাচমিশালী মাছ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 


ডিম বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। ডিম ভেদে প্রতি ডজনের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাকিস্তানি মুরগি আকারভেদে ১৫০-৩০০ টাকা, লেয়ার প্রতি কেজি ২০০ টাকা এবং গরুর মাংস ৪৮০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।