ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ৪:৪৭:৫৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

ঢাকায় কর্মরত গৃহশ্রমিকদের নিয়ে জরিপ প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:১৬ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ সোমবার

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

রাজধানী ঢাকায় গৃহশ্রমিকদের ৬৪ শতাংশ সাপ্তাহিক কিংবা মাসিক কোনো ছুটি নেই। এছাড়া রাজধানীতে গৃহশ্রমিকদের ১৪ শতাংশই পেটে-ভাতে থাকেন, তাদের মাসিক কোনো বেতন দেয়া হয় না। তবে যারা মাসিক বেতন পান তাদের গড়ে ৪ হাজার ৬২৯ টাকা দেয়া হয়। এছাড়াও করোনা মহামারিতে গৃহশ্রমিকদের ২৮ শতাংশ মজুরি কমেছে।

রাজধানীর গৃহশ্রমিকদের নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) পরিচালিত এক জরিপ প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি তাদের জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

অপফ্যাম ইন বাংলাদেশ ও গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার সহায়তায় 'সুনীতি' প্রকল্পের আওতায় জরিপটি পরিচালনা করা হয়। গণসাক্ষরতা অভিযান, হ্যালোটাস্ক, নারী মৈত্রী, রেড অরেঞ্জ ও ইউসেপ বাংলাদেশ জরিপ পরিচালনায় সহায়তা করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিলসের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য নইমুল আহসান জুয়েল জরিপের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের সমন্বয়কারী আবুল হোসাইন, অপফ্যাম ইন বাংলাদেশের প্রকল্প সমন্বয়কারী গীতা রাণী অধিকারী, জরিপ পরিচালনাকারী টিমের প্রধান জাকির হোসেন খান প্রমুখ।

জরিপে দেখা গেছে, আবাসিক গৃহশ্রমিকদের ৫১ শতাংশ তাদের আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে থাকেন। তাদের ৩৯ শতাংশের বয়সই ১৮ বছরের নিচে। 

মজুরি প্রসঙ্গে জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে, ৯০ শতাংশ শ্রমিকই সাত হাজার টাকার কম মজুরি পেয়ে থাকেন। তবে যাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ রয়েছে, তাদের গড় আয় ৯ হাজার টাকা। মজুরি নির্ধারণেও কোনো মানদণ্ড নেই। ৭২ শতাংশ গৃহশ্রমিকের মজুরি কাজের ধরনের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়ে থাকে। কর্মঘণ্টার ভিত্তিতে মজুরি নির্ধারিত হয় ৬ শতাংশের। গৃহশ্রমিকদের ৯৯ শতাংশের নিয়োগপত্র কিংবা নিয়োগকর্তার সঙ্গে লিখিত কোনো চুক্তি নেই।

জরিপে অংশ নেওয়া গৃহশ্রমিকদের ৩২ শতাংশ আবাসিক ও ৩৬ শতাংশ অনাবাসিক শ্রমিক জানিয়েছেন, শারীরিক ও মানসিক চাপ দিয়ে জবরদস্তিমূলক শ্রমে বাধ্য করা হচ্ছে তাদের। গালাগালের শিকার হতে হয় প্রায়ই। ৫০ শতাংশ শ্রমিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

গৃহশ্রমিকদের নিপীড়ন রোধে ২০১৫ সালে গৃহশ্রমিকদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা অনুমোদন করেছে সরকার। এতে নিয়োগকর্তা, কর্মচারী ও সরকারের দায়দায়িত্বসহ ১৬টি বিধান রয়েছে। সরকার ঘোষিত এই নীতির কথা জানে না ৮৬ শতাংশ গৃহশ্রমিক।