ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, ডিসেম্বর ২০২৫ ০:০৩:৫০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নিরাপত্তা, অস্ত্রের লাইসেন্স চেয়ে আবেদন ১৫ রাজনীতিবিদের ‘ভোটের গাড়ি’র প্রচার শুরু আজ আগামী বাজেটের রূপরেখা দিয়ে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার গণভোট নিয়ে নানা শঙ্কা পশ্চিম তীরে নতুন ১৯টি বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিল ইসরায়েল

দাম বেড়েছে ডিমের, কমছে সবজির দাম

সালেহীন বাবু | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ১২:৪৩ পিএম, ২৪ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার

রাজধানীতে আরেক দফা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির ডিমের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। এক সপ্তাহ আগেও প্রতি ডজন ডিম পাওয়া যেত ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। এখন প্রতি ডজন ডিম কিনতে হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে প্রতি ডজন হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়। ফার্মের মুরগির সাদা ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।


রোববার রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি হালি ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা দরে। কোনো কোনো দোকানে ৩৮ টাকাও বিক্রি করতে দেখা গেছে। এই হিসাবে প্রতি ডজন ডিমের দাম পড়ছে ১১৪ টাকা। তবে ডজন কিনতে গেলে দোকানি ১১০ টাকায় বিক্রি করছে। আর বেশির ভাগ খুচরা বিক্রেতা প্রতি ডজন ডিম বিক্রি করছে ১০৫ টাকায়।


ডিমের এ বাড়তি দামের কারণ কি এমন প্রশ্নের জবাবে ডিম ব্যবসায়ীরা জানান তাদের ফার্ম থেকে সরাসরি আনতেই খরচ বেড়ে গিয়েছে যার প্রভাব গিয়ে পড়ছে খুচরা বাজারে। এখন বাজারে সরবরাহের তুলনায় চাহিদা একটু বেশি। সব মিলিয়ে বাজারে ডিমের দাম বাড়ছে।


খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারিতে দাম বেড়েছে, তাই খুচরায় তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। মধ্য বাড্ডার মুদি দোকানি ইশেন বলেন, পাইকারদের কাছ থেকে আমরা বেশি দামে কিনে আনছি। আমাদেরও লাভ করতে হয়। তাই ডিমের দাম বাড়তি।


মালিবাগ রেলগেটের মুদি দোকানে ডিম কিনতে এসে শাহাবুদ্দিন বলেন, প্রতিদিনই ডিমের দাম বাড়ে। ডিম আমাদের সবারই প্রতিদিন লাগে। এভাবে ডিমের দাম বাড়তে থাকলে আমরা ডিম কিভাবে খাব।


এদিকে রাজধানীর কাঁচাবাজারে দাম কমেছে বেশিরভাগ সবজির। সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে বলে জানান বিক্রেতারা। গেলো কয়েক সপ্তাহ ধরেই কাঁচাবাজারে বিভিন্ন সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। মৌসুমি সবজি ছাড়াও অন্যান্য সবজি কিনতে ক্রেতাদের গুণতে হত কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। তবে, এ সপ্তাহে সবজির দাম কমতির দিকে দেখা গেল। পটল, ঢেঁড়স, শসা, করলা, বেগুনসহ বেশ কিছু পাওয়া যাচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকার মধ্যেই। তবে টমেটো, সিম, কাঁচামরিচ কিনতে হচ্ছে বাড়তি মূল্যে। টমেটো, গাজর কেজি প্রতি ১০০ টাকা,পুইশাক দুই আটি ৬০ টাকা। মরিচের দাম অনেক বেশি। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ সপ্তাহ দুয়েক ধরেই ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সম্প্রতি দাম বেড়ে যাওয়া দেশি পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে।


কোরবানির ঈদ আসতে এখনও প্রায় এক মাস বাকি। তবে এখন থেকেই বাড়তে শুরু করেছে সব ধরনের মসলার দাম। রোববার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের মসলার দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯২০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায়। দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকায়। জয়ফল বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬৫০ টাকায়। এছাড়া ভারত থেকে আমদানি করা জিরা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩৫ টাকায়।


গত সপ্তাহের মতো এখনও রাজধানীর বাজারগুলোয় উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়েছে চাল। গুলবাগ বাজারের রহিম রাইস এজেন্সির মালিক ও খুচরা চাল বিক্রেতা মো. রাইহান শেখ বলেন, নতুন করে চালের দাম বাড়েনি। গত সপ্তাহের দামেই চাল বিক্রি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা কেজি। মিনিকেট ও নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০-৬৫ টাকায়। এছাড়া বিআর-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকা কেজি দরে।


মাছ ও মাংসের বাজারে দাম অপরিবর্তিত আছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে রুই ও কাতলা প্রতি কেজি ২৩০-৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, বড় আকারের চিংড়ি প্রতি কেজি এক হাজার, মাঝারি ৭০০ টাকা ও ছোট আকারের চিংড়ি ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। তেলাপিয়া প্রতি কেজি ১৩০-১৪০ টাকা, কই ১৪৫-১৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। সিলভার কার্প ১০০-১৩০ টাকা কেজি, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১১০-১৩০ টাকা, নলা ১২৫-১৩৫ টাকা ও সরপুঁটি ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।

 

মাংসের বাজার ছিল স্থিতিশীল। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাকিস্তানি মুরগি আকারভেদে ১৫০-৩০০ টাকা, লেয়ার প্রতি কেজি ২০০ টাকা ও গরুর মাংস ৪৭০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।