ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ৪:৩০:৩৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস

দেশে করোনার টিকা আগে পাবেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫৫ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২০ শনিবার

ছবি: ইন্টারনেট

ছবি: ইন্টারনেট

দেশে করোনার টিকা আসার পর কাদের শরীরে প্রথম টিকা দেয়া হবে, সে তালিকা তৈরি করছে সরকার। সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ইতিমধ্যেই করোনা ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটি তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করে এনেছে। এখন শুধু নাম চূড়ান্ত করার অপেক্ষায়।

এ তালিকায় আট শ্রেণির পেশার মানুষ রয়েছেন। এদের সবাই করোনা মোকাবিলায় সম্মুখসারির যোদ্ধা। এদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী। তাদের পাশাপাশি প্রথম দফায় টিকা পাবেন মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ সদস্য, সেনাবাহিনী-র‌্যাব-আনসার-ভিডিপি-কোস্টগার্ড, সিভিল সার্জন, সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, করোনায় মৃতদের দাফনে কর্মরত কবরস্থানকর্মী ও ষাটোর্ধ্ব বয়সী মানুষ।

এদের পর কারা টিকা পাবেন সেই দ্বিতীয় সারির তালিকাও চূড়ান্ত করে এনেছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছেন সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, ক্যানসার-এইচআইভি-যক্ষ্মা রোগী এবং বিদেশগামী অদক্ষ শ্রমিক।

সরকার তৃতীয় দফার তালিকাও করছে। এ তালিকায় রয়েছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সী মানুষ, যাদের মধ্যে একাধিক রোগ আছে তারা, বিচার বিভাগ, অন্যান্য গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, পার্বত্য অঞ্চল, প্রত্যন্ত এলাকা ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ। এ দফায় পাবলিক ট্রান্সপোর্টে কাজ করেন এমন লোকজনদেরও টিকা দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ভারত থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে তিন কোটি টিকা কিনতে সরকার চুক্তি করেছে, তা দিয়ে দেশের ১০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেয়া যাবে। এই টিকার ৩ শতাংশ পাবেন প্রথম সারির তালিকায় থাকা মানুষ ও বাকি ৭ শতাংশ পাবেন দ্বিতীয় তালিকার মানুষ। আর তৃতীয় তালিকার মানুষ পাবেন টিকার আন্তর্জাতিক উদ্যোগ গ্যাভি-কোভেক্স ফ্যাসিলিটি থেকে পাওয়া ২০ শতাংশ টিকা।

এসব কর্মকর্তা আরও জানান, প্রথম মাসে আসবে ৫০ লাখ টিকা। পরের মাসে আরও ৫০ লাখ। অর্থাৎ দুই মাসে এক কোটি টিকা আসবে। সেটা দিয়ে প্রথম দফায় প্রতিজনকে দুই ডোজ করে মোট ৫০ লাখ লোককে টিকা দেয়া যাবে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার থেকে প্রথমে সরকার পাবে তিন কোটি টিকা। সেটা দেড় কোটি মানুষকে দেয়া যাবে। এরপর গ্যাভির থেকে পাবে মোট জনগোষ্ঠীর ২০ শতাংশ, অর্থাৎ ৭ কোটি ৮০ লাখ  টিকা, প্রায় আট কোটির কাছাকাছি। এটা দিয়ে ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে। প্রথম অংশ দিয়ে প্রায় ১০ শতাংশ ও পরের অংশ দিয়ে ২০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে। সবমিলে প্রথম দফায় আসা টিকা দিয়ে দেশের ৩০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেয়া যাবে। এ দুই অংশ শেষ করতে করতেই সরকার আরও ২০ শতাংশ মানুষের টিকা কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রথমদিকে চাহিদা বেশি থাকায় টিকারও দামও চড়া। পরে দাম কমতেও পারে। এমনকি আরও কম দামের টিকা চলেও আসতে পারে। যেমন চীনের সিনোফার্ম টিকা খুব এগিয়ে আছে। গত বৃহস্পতিবার আরব আমিরাত চাহিদা দিয়েছে এবং সেটি গৃহীত হয়েছে।

টিকার ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে করোনা ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির পরিচালক ডা. সামসুল হক বলেন, সরকারের যে ন্যাশনাল প্ল্যান সেখানে আমরা ঠিক করে ফেলেছি প্রথম ৩ শতাংশের মধ্যে কারা থাকবেন, পরবর্তী ৭ শতাংশের মধ্যে কারা থাকবেন এবং তারপরের ১০ শতাংশে কারা থাকবেন সেটার খসড়া একটা সংখ্যাও হয়ে গেছে। তাদের কোথায় ও কীভাবে ভ্যাকসিন দেয়া হবে, সেটাও ঠিক হয়ে গেছে। ভ্যাকসিন এলে কোথায় রাখা হবে, সেটাও ঠিক হয়ে গেছে। এখন শুধু যারা টিকা পাবে, তাদের নামের তালিকা করা বাকি আছে। এটুআইকে বলেছি, তারা আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। ইতিমধ্যে তাদের সঙ্গে সভাও হয়েছে। এখন তারা এটা অ্যাকটিভেট করে আমাদের সঙ্গে কথা বলবে। আগামী সপ্তাহে আরেকটা মিটিং আছে। সেখানে আশা করছি সব ঠিক হয়ে যাবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, তালিকা তৈরির জন্য টাস্কফোর্স কমিটির সঙ্গে কাজ করছে সরকারের ইনফরমেশন, কমিউনিকেশন অ্যান্ড টেকনোলজি (আইসিটি) ডিভিশন ও এটুআই। তাদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই প্রাথমিক একটা সভা হয়ে গেছে। তারা টাস্কফোর্সের থেকে ধারণা নিয়ে গেছে। তালিকার কাজ হচ্ছে। কীভাবে তারা এটা করবে এ সপ্তাহেই আমাদের জানাবে। সেটা জানতে পারলে মাঠপর্যায় থেকে নাম নেওয়া হবে।

এ কর্মকর্তা বলেন, আমরা যেভাবে তালিকা করছি, তাতে প্রাথমিকভাবে হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা, অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর্মীরা আগে পাবেন। সেজন্য হাসপাতাল, সিভিল সার্জন অফিস এরা মোটামুটি প্রস্তুত হয়ে গেছে। তারা সংখ্যাটা জানে। তাদের মোট কত চিকিৎসক ও স্টাফ আছে সেটা তারা জানে। এখন তারা শুধু নামের তালিকা দেবে। তালিকা হবে অনলাইনে। অনলাইনে নাম ও সংখ্যা উল্লেখ থাকলে আমরাও বুঝতে পারব কতগুলো ভ্যাকসিন লাগবে, কতজনকে দিলাম। তখন বৈজ্ঞানিক একটা ভিত্তি থাকবে। প্রত্যেক হাসপাতালে নিজস্ব ডেটাবেজ আছে। পুলিশে আমরা কথা বলেছি। তারা বলেছে তাদের ডেটাবেজ আছে। ইউএনও অফিসে ডেটাবেজ আছে। সেখানে সব শ্রেণির মানুষের ডেটাবেজ আছে। ওদের যদি বলি সেখান থেকে শুধু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তালিকা দেন, তাহলে তারা সেটা দিয়ে দেবে। যেসব চেয়ারম্যান মানুষের কাছে যাচ্ছে, তাদের তালিকা হবে। তারপর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বার। তাদের জন্য এ তালিকা করা খুবই সহজ।

তিনি আরও জানান, প্রত্যেক শ্রেণির তালিকা তাদের কাছে রয়েছে। তারা চিন্তা করছেন কোন পদ্ধতিতে তালিকা তৈরি করবেন। যারা সাংবাদিক তাদের নাম তারা প্রেস ক্লাব, সাংবাদিক সংগঠনগুলোর থেকে নেবেন। সাংবাদিকদের জেলাভিত্তিক তালিকা হবে। সবাইকে মাঠপর্যায়ে তালিকা হালনাগাদ করতে বলা হয়েছে। সেটা তৈরিও আছে। সংখ্যাটা চূড়ান্ত হয়নি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু সেই তালিকা কোন পদ্ধতিতে চূড়ান্ত ও প্রকাশ করা হবে, সেই পদ্ধতির কথা ভাবছে তারা। পদ্ধতি চূড়ান্ত হলে তারা জেলা পর্যায়ে সংগ্রহ করবেন। সেটার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষের পরামর্শের অপেক্ষা করছেন।

কমিটির সদস্যরা আরও জানান, চূড়ান্তভাবে অগ্রাধিকার তালিকা হয়ে গেছে। প্রথমেই পাবেন সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী ও সোশ্যাল ওয়ার্কাররা। স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে রয়েছে চিকিৎসক, নার্স, মিডওয়াইফ পারসোনাল, মেডিকেল ও প্যাথলজি ল্যাবের টেকনোলজিস্ট, পরিবেশকর্মী, অকুপেশনাল হেলথ অ্যান্ড হাইজিন পারসোনাল, ফিজিওথেরাপি পারসোনাল, ট্র্যাডিশনাল কমপ্লিমেন্ট পারসোনাল, কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কার, অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার। এখানে লোকসংখ্যা ৪ লাখ ৬৩ হাজার জন।

এর সঙ্গে আছেন বেসরকারি ও স্বাধীনভাবে কাজ করেন এমন স্বাস্থ্যকর্মী ও সমাজকর্মী। বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসক, নার্স, অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার যারা লাশের গাড়ি নিয়ে যান। এদেরও প্রথম ধাপেই রাখা হয়েছে। এদের সংখ্যা সাত লাখের মতো। অর্থাৎ সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী ও সমাজকর্মী মিলে প্রায় ১২ লাখ। সবচেয়ে বেশি এই শ্রেণির মানুষই। এরপর রয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। তারা যেখানেই থাকুক, সবাইকে টিকা দেওয়া হবে। এদের ৮০ শতাংশেরই বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব। প্রাথমিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে একটি তালিকা নেওয়া হয়েছে, ২ লাখ ১০ হাজার। তবে সেটা চূড়ান্ত হয়নি। তাদের থেকে চূড়ান্ত একটি তালিকা নেওয়া হবে। তবে এ তালিকা কিছুটা সংশোধন করতে হবে। সেটা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে করা হবে।

এরপরের ধাপে রয়েছে পুলিশ। পুলিশের মধ্যে সার্জেন্ট পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ, আনসার-ভিডিপি। এদের সংখ্যা ৫ লাখ ৬৩ হাজার। পুলিশকে বলা হয়েছে সম্মুখসারির তালিকা দিতে। তাদের সবাইকে প্রথম ধাপে দিতে না পারলেও দ্বিতীয় ধাপে বাকিটা দেওয়া হবে। যেসব আর্মি পারসনরা সিভিলিয়ানদের সঙ্গে কাজ করেন, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে কাজ করেন, তারাও প্রথম দফার তালিকায় আছেন। আনসার ও ভিডিপি, কোস্টগার্ড আছে। র‌্যাবও রয়েছে। এরপর সিভিল সার্জন। তাদের মধ্যে যারা সরাসরি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন, তারা। এরপর সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। এ সংখ্যাটা এখনো ঠিক করা হয়নি। জেলাপর্যায়ে এ তালিকা ঠিক করা হবে। যারা কবরস্থানে কাজ করে, তাদেরও প্রথম তালিকায় রাখা হয়েছে। সারা দেশে তাদের সংখ্যা ৭৫ হাজার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, এই যে তালিকা, তাতে দুই ডোজ করে ২৫ লাখ মানুষকে টিকা দিতে পারব। অর্থাৎ প্রথম মাসে আসা ৫০ লাখ টিকা এদের মধ্যে দেয়া হবে। এসব শ্রেণির মানুষকে টিকা দেওয়া হলে বাকি থাকে বয়স্ক মানুষ। এদের সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখ ৯৬ হাজার। ষাটোর্ধ্ব এদের জন্য ২ কোটি ৪০ লাখ ডোজ লাগবে। সেজন্য আমরা বলেছি এই প্রথম দফার তালিকার মানুষের সঙ্গে যদি এই বয়স্ক মানুষদের দিতে পারি, তাহলে প্রায় ১০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেয়া হয়ে যাবে। ৫০ লাখ টিকার হিসাবের মধ্যে অনেকটাই কাভার করা যাবে। মোট জনগোষ্ঠীর ৩ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে।

এ তালিকা থেকে যদি কিছু কমে, সেজন্য দ্বিতীয় পর্যায়ের একটি তালিকাও করা হয়েছে জানান কর্মকর্তারা। তাদের তথ্য অনুযায়ী, এদের সংখ্যা মোট জনগোষ্ঠীর ৭ শতাংশ। এর মধ্যে রয়েছেন সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধি যারা আছেন, তাদের দেয়া হবে। আরেকটা গ্রুপকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, যাদের ক্যানসার, এইচআইভি ও যক্ষ্মা আছে, সেসব রোগীকে প্রথমদিকেই টিকা দেয়া হবে। করোনা সংক্রমণের জন্য এ গ্রুপটা খুব ঝুঁকিপূর্ণ। এরপরই তালিকায় রয়েছেন বিদেশগামী অদক্ষ শ্রমিকরা। এদের সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার। এসব শ্রমিক করোনার জন্য দেশে ফিরে এসেছেন এবং নতুন করে যারা যাবেন। যারা বিদেশে যাবেন, তাদের টিকা ছাড়া ঢুকতে দেয়া হবে না। তারা টিকা ছাড়া যেতে পারবেন না। সেজন্য অদক্ষ শ্রমিকদের রাখা হয়েছে। প্রথম মাসের মধ্যেই তাদের দিয়ে দেয়া হবে। তবে দক্ষ শ্রমিকরা এ তালিকায় নেই। কারণ তারা নিজেরাই সচেতন।

এক কর্মকর্তা বলেন, এরপর গ্যাভি থেকে যে ২০ শতাংশ পাব, তখন আমরা পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সী মানুষ, যাদের মধ্যে একাধিক রোগ আছে তাদের, বিচার বিভাগ, অন্যান্য গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, পার্বত্য অঞ্চল, প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীকে রেখেছি। সে দফায় পাবলিক ট্রান্সপোর্টের লোকজনকেও দেয়া হবে। এরা তৃতীয় ধাপে আছেন।

-জেডসি