ঢাকা, রবিবার ১৪, ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:৫৬:৪৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত জুলাইযোদ্ধাদের নিরাপত্তায় হতে পারে বিশেষ সেল সোনার দাম ভরিতে বাড়ল ৩৪৫৩ টাকা

নাগালের বাইরেই মুরগি ও গরুর মাংস

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:২১ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

গত কয়েকসপ্তাহ ধরেই বাজারে মুরগির দাম চড়া। মাঝে মধ্যে ১০ থেকে ১৫ টাকা ওঠানামা করছে। আর গরুর মাংসের দাম অস্থিতিশীল। তাই এখনো ক্রেতাদের নাগালের বাইরেই রয়েছে গরুর মাংস ও মুরগির দাম। 

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার নারিন্দা কাঁচাবাজার, রায় সাহেব বাজার ও নয়া বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭৫ টাকা থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহে ১৯০ টাকা বিক্রি হতো যা ১০ টাকা কমে এ সপ্তাহে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বেড়েছে সোনালী ও লেয়ার মুরগির দাম। সোনালি ৩৩০ টাকা, লেয়ার ৩০০ টাকা, পাকিস্তানি কক ৩৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে লেয়ার ২৮০ টাকা, সোনালী ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হতো। 

এছাড়া দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, কাটা মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। গরু ও খাসির মাংসের দাম গত কয়েকমাসের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে। 

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, কলিজাও মাংসের দামে বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে। গরুর ভ্যাপসা ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দর কষাকষি করলে ১০ থেকে ২০ টাকা কমান ব্যবসায়ীরা।

রায় সাহেব বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী সেলিম রেজা বলেন, মুরগির বাড়তি দাম অনেক দিন ধরে একই অবস্থায় আছে। দেখা যায় একসপ্তাহ ১০ টাকা কমে আবার পরের সপ্তাহে বেড়ে আগের মতো সমান হয়ে যায়। অন্যান্য মাংসের দাম বেশি হওয়ায় বাজারে মুরগির মাংসের চাহিদা কমেনি। এছাড়া বাজারে চাহিদার তুলনায় মুরগির সরবরাহ অনেক কম। যে কারণে দাম বাড়ছে। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সব জিনিসের দাম বেশি। মুরগির খাদ্যের দাম বেড়েছে। এছাড়া বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ সমস্যায় বাচ্চা ফুটানো সমস্যা হচ্ছে তাই খামার থেকেই উৎপাদন কমে গেছে। আর বাচ্চার দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারিরা মুরগির দাম বাড়িয়েছেন।

মুরগি কিনতে আসা সালাম শেখ বলেন, গরুর মাংসের যেই দাম তা তো আর কিনে খেতে পারি না। ব্রয়লার মুরগি খাবো তার দামও অনেক। ১২০ টাকার ব্রয়লার ২ থেকে ৩ মাস ধরে প্রায় ২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। গরুর মাংসের দাম যে সেই রমজানে বেড়েছে আর কমেনি। আর মাছের বাজারেও আগুন। তাই শাকসবজি খেয়েই দিন পার করছি। 

বেসরকারি চাকরিজীবী আবদুর রহমান বলেন, প্রতি সপ্তাহে তো গরুর মাংস খেতে পারি না। মাসে এক দুইবার কিনি গরুর মাংস। কয়েক মাস ধরে দাম কমেছেও না বাড়ছেও না। সিন্ডিকেট করে এ অবস্থা সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে ব্যবসায়ীরা যে যেভাবে পারছে জনগণের পকেট কাটছে। চাকরি করে যে বেতন পাই তা দিয়ে আর জীবন চলে না। সবকিছুর দাম বেড়েছে, বাড়েনি মানুষের আয়। বেঁচে থাকাই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে।