ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:৩৮:৪১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

নারী বিশ্বকাপ : মায়ের পর মেয়ে এই প্রথম

ক্রীড়া ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৪৯ এএম, ৩ অক্টোবর ২০২৫ শুক্রবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রড ল্যাথামের পর টম ল্যাথাম, কেভিন কারেনের পর স্যাম কারেন, ল্যান্স কেয়ার্নসের পর ক্রিস কেয়ার্নস—ছেলেদের ক্রিকেটে বাবার পর ছেলের বিশ্বকাপ খেলার নজির কম নেই। অস্ট্রেলিয়ার মার্শ পরিবারের অর্জন তো আরও বড়। জিওফ মার্শের পর বিশ্বকাপে খেলেছেন তাঁর দুই ছেলে শন ও মিচেল মার্শ।

তবে পুরুষ ক্রিকেটে একই পরিবারের দুই প্রজন্মের বিশ্বকাপ খেলার ঘটনা বেশ কয়েকটি থাকলেও নারী ক্রিকেট ব্যতিক্রম। মেয়েদের বিশ্বকাপের বয়স ৫০ পেরিয়ে গেলেও মায়ের পর মেয়ের বিশ্বকাপ খেলার ঘটনা এত দিন ছিলই না। অবশেষে ২০২৫ সালে এসে মা–মেয়ের দেখা পেল নারী বিশ্বকাপ। আর এই কীর্তিটি গড়েছেন আন–মারি ম্যাকডোনাল্ড ও কিম গার্থ।

মেয়ে গার্থের কথাই আগে বলা যাক। বুধবার নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছে গার্থের। ২৯ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে খুব একটা খারাপ করেননি। নয় নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৭ বলে করেছেন ৩৮ রান। আর বল হাতে ৮ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন।

ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে স্মরণীয় কিছু করতে না পারলেও মাঠে নেমেই নারী বিশ্বকাপে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন গার্থ। যে ইতিহাসে অংশ তাঁর মা ম্যাকডেনাল্ডও। ১৯৮৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত চতুর্থ নারী বিশ্বকাপে খেলেছিলেন ম্যাকডোনাল্ড।

ডানহাতি পেসার ম্যাকডোনাল্ড খেলেছিলেন আয়ারল্যান্ডের হয়ে। সেবার আইরিশদের দলটি অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড আর ইংল্যান্ডের কাছে হারলেও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুবার জিতেছিল।

১৯৯০ সালে ম্যাকডোনাল্ড বিয়ে করেন আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেটার জোনাথন গার্থকে। জোনাথন অবশ্য কখনো আয়ারল্যান্ড পুরুষ জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে পারেননি। জোনাথন ও ম্যাকডোনাল্ডের ঘরে জন্ম নেয় দুই ছেলে রব (১৯৯১) ও জেমস (২০০০) এবং এক মেয়ে কিম (১৯৯৬)। বাবা–মায়ের দেখাদেখি সন্তানরাও ক্রিকেটার হয়ে ওঠেন। যদিও জাতীয় পর্যায়ে যেতে পেরেছেন শুধু কিমই।

কিমের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় আয়ারল্যান্ডের হয়েই। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরুর পর আয়ারল্যান্ডের হয়ে ৩৪টি ওয়ানডে ও ৫১টি টি–টোয়েন্টি খেলেন। ২০১৯ সালের পর জন্মভূমির হয়ে আর খেলেননি কিম। চলে যান অস্ট্রেলিয়ায়।

২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে খেলা শুরু করেন কিম গার্থ। এরই মধ্যে ৪টি টেস্ট খেলেছেন। ছিলেন ২০২৩ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলেও। তবে আইসিসি বিশ্বকাপ বলতে যা বোঝানো হয়, সেই প্রতিযোগিতায় এবারই প্রথম মাঠে নেমে মায়ের স্মৃতি ফিরিয়ে দুজনই হয়ে উঠেছেন ইতিহাসের অংশ।