ঢাকা, শনিবার ২৭, এপ্রিল ২০২৪ ১৭:২২:০২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খিলগাঁওয়ে একইদিনে তিন শিশুর মৃত্যু শেরে বাংলার কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মাজারে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

নিত্যপণ্যের দাম চড়া, সবজির বাজার স্থিতিশীল

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:২২ পিএম, ২২ মার্চ ২০২৪ শুক্রবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

নিত্যপণ্যের বাজারে ক্রেতার কিছুটা স্বস্তি এলেও ভোগান্তি শেষ হয়নি। বাজারে সবজিসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। তবে এখনো চাল, ডাল, তেল, মসল, চিনিসহ আবশ্যক পণ্যগুলোর দাম আকাশ ছোঁয়া।


বিশ্ব বাজারের তেলের দাম কমলেও এখনো দেশের বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল (বোতল) বিক্রি হচ্ছে ১৬৩-১৬৫ টাকায়, যা সাত দিন আগে ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি লিটার পাম অয়েল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, যা আগে ১৩৫ টাকা ছিল। বড় দানার মসুর ডাল ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ১১০ টাকা ছিল। মাঝারি দানার মসুর ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, যা ১২৫ টাকা ছিল। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, যা সাত দিন আগে ৮০ টাকা ছিল। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি, যা আগে ১৬০ টাকা ছিল। আমদানিকরা আদা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়, যা সাত দিন আগে ২৫০ টাকা ছিল। প্রতিকেজি দারুচিনি ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ৫৮০ টাকা ছিল।

বিক্রেতারা জানান, বাজারে মান ও দামভেদে সাদা মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, যা রোজার আগে ৭০ টাকা ছিল। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি বেসন বিক্রি হচ্ছে ৭০-১০০ টাকা, যা আগে ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হতো। এছাড়া ইফতারে শরবত তৈরিতে ব্যবহৃত ইসবগুলের ভুসি, ট্যাং, রুহআফজা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ইসবগুলের ভুসি রোজার আগে ১৬০০ টাকা বিক্রি হলেও এখন ২১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি প্যাকেটজাত ট্যাং বিক্রি হয়েছে ৮৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৮০০ টাকা। বড় সাইজের রুহ-আফজা বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫৫০ টাকায়, যা আগে ৩৫০ টাকা ছিল। ছোট সাইজের রুহ-আফজা বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা, যা আগে ২০০ টাকা ছিল।


রোজার মাসে মাছ-মাংসের চাহিদা বেশি থাকায় সবজির বাজারে ভিড় কিছুটা কম। চাহিদা কমে যাওয়ায় দামে এর প্রভাব পড়েছে। ফলে কিছু কিছু কাঁচা পণ্যের দর কমতির দিকে।


তবে শসা, বেগুন ও পেঁয়াজের দরে বেশ ছন্দপতন রয়েছে। রোজার শুরুতে লম্বা বেগুনের কেজি ছিল ৭০ থেকে ৯০ টাকা। আজ রাজধানীর মহাখালী কাঁচা বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। শসার কেজি রোজার শুরুতে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। তবে আজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। কিছু দিন আগে লাউয়ের পিস কিনতে ভোক্তাকে খরচ করতে হয়েছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এখন মিলছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ঢ্যাঁড়স ও পটোল কেনা যাচ্ছে ৬০ টাকা দরে। নাগালে রয়েছে কাঁচামরিচও; কেজি মিলছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।


এদিকে মাংসের বাজার স্থির রয়েছে। রোজার শুরুতে ব্রয়লার মুরগির দর বেড়ে সর্বোচ্চ ২৩৫ টাকা ছুঁয়েছিল। তবে এখন কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২১৫ টাকা দরে। সোনালি জাতের মুরগির কেজি কিনতে খরচ করতে হবে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা। দেশি মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা। মুরগির সঙ্গে কমেছে ডিমের দামও। ফার্মের ডিমের ডজন কেনা যাচ্ছে ১২০ টাকা দরে। ১৫ থেকে ২০ দিন আগে প্রতি ডজন ডিমের দর ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। গরুর মাংসের কেজি পাওয়া যাচ্ছে বাজারভেদে ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা।


এবার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি লাল আপেল ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আগে ২৬০-২৭০ টাকা ছিল। কমলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি, যা আগে ২৮০-৩০০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি আনার বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা, যা আগে ৩১০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি বরই বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, যা আগে ৭০-৮০ টাকা ছিল। পেয়ারার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, যা আগে ৬০-৭০ টাকা ছিল।

গত এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতি কেজি চালের দাম ১-২ টাকা বেড়েছে। যেমন মাঝারি জাতের পাইজাম চাল কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


রাজধানীর মহাখালী, কারওয়ান বাজার, রামপুরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চিকন চাল (মিনিকেট) প্রতিকেজি ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা ব্রি-২৮ চাল ৫৬ থেকে ৬০ টাকা কেজি। নাজিরশাইল প্রতিকেজি মানভেদে ৭০ থেকে ৮৫ টাকা।