ঢাকা, সোমবার ২০, মে ২০২৪ ২৩:৫২:৪২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
লঘুচাপ ও বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়ার নতুন বার্তা রামপুরায় অটোরিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট সৌদি পৌঁছেছেন ৩০ হাজার ৮১০ হজযাত্রী বাংলা ভাষাকে রক্ষা করতে শহীদ হন কমলা ভিক্ষা করে দেশের মানুষ চলবে না: প্রধানমন্ত্রী জাতীয় এসএমই পুরস্কার পেলেন ৭ উদ্যোক্তা

পরিত্যক্ত স্থানে আন্তঃফসল চাষে সফলতা কৃষকদের

ফিচার ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৫৬ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০২২ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

সাধারণ জমির পাশাপাশি বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত স্থানে আন্তঃফসল চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন জয়পুরহাট জেলার  গ্রামীণ জনপদে বসবাস করা কৃষকরা।     

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা এক ইঞ্চি জায়গাও যেন পতিত না থাকে, সরকারের  পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গুলোও  এ ঘোষণা বাস্তবায়নে কাজ করছে। স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ’জাকস ফাউন্ডেশনের  পক্ষ থেকে সার, বীজসহ  আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল পাঁচবিবি উপজেলার কড়িয়া গ্রামের  সিরাজুল ইসলাম  বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত তিন শতাংশ জমিতে নানা জাতের আন্তঃফসল  চাষ করেছেন।

এরমধ্যে রয়েছে বেগুণের সঙ্গে মরিচ, মরিচের সঙ্গে তিল, ডাটা, লালশাক, কলমি,  ঢেঁড়স, পুঁইশাক ইত্যাদি। বাজারেও যেতে হয়না, অনেক সময় জমি থেকেই বিক্রি হয় ফসল গুলো। এতে সংসারের  জন্য সবজির চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন বলে জানান, সিরাজুল।

এবার শুধু কলমি শাক ও ডাটা  বিক্রি করে সংসারে ২ হাজার ৬৫০ টাকা বাড়তি আয় হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রতিবেশী আমেনা বেগম ও মাহমুদা বেগম জানান, আন্তঃফসল  চাষে সিরাজুল ইসলামের সফলতা দেখে আমরাও সবজি চাষ করছি। জাকস ফাউন্ডশনের নির্বাহী পরিচালক মো: নূরুল আমিন জানান, এক ইঞ্চি জায়গাও যেন পতিত না থাকে,  বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা  বাস্তবায়নে  বসত বাড়িতে সবজি প্রদশর্নীর  আওতায় এবং পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের  দিক নির্দেশনায় বাড়ির আশ-পাশে পতিত জমিতে সবজি চাষে গ্রামীণ পর্যায়ে নারীদের  সার, বীজসহ আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।  

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র জানান, ২০২১-২০২২ খরিপ মৌসুমে জেলায় ২ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে আন্তঃফসলের চাষ হয়েছে। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা  হয়েছে  ৭৩ হাজার ৬৮৭ মেট্রিক টন সবজিসহ অন্যান্য ফসল। বাজারে ভালো দাম পেয়ে এবার কৃষকরা খুশি বলে জানায় কৃষি বিভাগ।

আক্কেলপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন বলেন, আন্তঃফসল হিসেবে  আক্কেলপুর উপজেলায়  আলুর সঙ্গে মিষ্টি কুমড়া ৭০ হেক্টর, আলুর সঙ্গে ভূট্টা রয়েছে ২০ হেক্টরসহ অন্যান্য ফসলও রয়েছে।

পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফর রহমান জানান, আন্তঃফসল হিসেবে পাঁচবিবি উপজেলায় রয়েছে প্রায় ৫৫০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে রয়েছে আলুর সঙ্গে ভূট্টা , আলুর সঙ্গে মিষ্টি কুমড়া, বেগুণের সঙ্গে মরিচ আবার একই সঙ্গে লাল শাক, কলমি, পালং শাক, শিম, পেঁয়াজ।