ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ১৬:১৮:৩৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

পানি বিপদসীমার উপরে, আতঙ্কে তিস্তাপাড়ের মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:১২ পিএম, ২০ জুন ২০২০ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

গত কয়েক দিনের টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে করে কুড়িগ্রামে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত দুদিনে জেলার রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের দুটি গ্রামের ১৫-২০টি বাড়িঘরসহ আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নিরুপায় হয়ে নদী তীরবর্তী মানুষ তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে।

আজ শনিবার (২০ জুন) সকাল ৯টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদ সীমার ২০ সেন্টিমিটর উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারেজ দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তা পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। ব্যারাজ রক্ষার্থে ৪৪টি জলকপাট খুলে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।

জানা গেছে, গত ৩০দিন ধরে ভারি বর্ষণ আর উজানের ঢলের কারণে তিস্তা নদীর চর এলাকাগুলোতে লোকজন পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধিতে চরের কৃষকরা ভুট্টা নিয়ে বিপাকে আছেন। উজানের পানি ও ভারী বর্ষণের কারণে বন্যা ও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান ও গড্ডিমারীতে ৪ শতাধিক পরিবার পানি বন্দী হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানগণ জানিয়েছেন।

এলাকাবাসীর অভিযাগ, নির্বাচনের সময় এমপিরা নদী খনন এবং ভাঙন রোধে অনেক প্রতিশ্রুতি দিলেও সময়মতো তাদের দেখা যায় না। গত বছর কিছু জিও ব্যাগ ফেললেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

এ ব্যাপারে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাইজুল ইসলাম বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকার ভিটেমাটি হারাদের তালিকা করা হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।

হাতীবান্ধা উপজেলা সানিয়াজান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, আমার ইউনিয়নের ৫ ও ৬ ওয়ার্ডের লোকজন পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

গড্ডিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান জানান, গড্ডিমারীর ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের পরিবারগুলো নদীর পানি বৃদ্ধিতে প্রতিনিয়তেই দুর্ভোগে পড়েন। নতুন করে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)র দোয়ানী ডালিয়ার নির্বাহী প্রকোশীলী রবিউল ইসলাম জানান, বৃষ্টি আর উজানের ঢলের কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর এলাকার কিছু পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলেও জানান পাউবোর এই কর্মকর্তা।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু জাফর জানান, আজ সকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলায় প্রায় ১০ হাজার চরবাসী পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

-জেডসি