ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৮, এপ্রিল ২০২৪ ১৪:১৭:১৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই দেশ আরও উন্নত হতো টাইমের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা নান্দাইলে নারী শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা তীব্র গরমে জনজীবনে দুর্ভোগ, বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়া কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দী অবস্থায় সুচি কৃষকরাই অর্থনীতির মূল শক্তি: স্পিকার মধ্যপ্রাচ্যের দিকে নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বাংলাদেশকে ১২০০ কোটি ডলার দেবে এডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:১১ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ বুধবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন কান্ট্রি পার্টনারশিপ স্ট্র্যাটেজি (সিপিএস) চালু করেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। এর লক্ষ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা, কর্মসংস্থান, বেসরকারি খাতের উন্নয়ন বৃদ্ধি, সবুজ প্রবৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, মানুষের মূলধন বৃদ্ধি এবং সামাজিক সুরক্ষা শক্তিশালী করা।

সিপিএস এর আওতায় ২০২১-২০২৫ অর্থবছরে আগামী ৫ বছরে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। সিপিএস-এর মাধ্যমে করোনা সংকট থেকে দ্রুত আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। এই সময়ে বাংলাদেশকে ১০ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি। প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশী মুদ্রায় ৮৫ হাজার কোটি থেকে ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা। গত পাঁচ বছরে একই সময়ে বাংলাদেশকে ৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার দিয়েছিল এডিবি।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) এডিবি থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এডিবির দক্ষিণ এশিয়ার মহাপরিচালক কেনিচি ইয়োকোয়ামা বলেন, টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং যথাযথ পলিসি ব্যবস্থা বাংলাদেশকে উন্নয়নের ভালো ফলাফল অর্জনে সহায়তা করেছে। তবে দেশের শিল্প এবং রপ্তানি ভিত্তিতে বৈচিত্র্য প্রয়োজন। কৃষি পণ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফার্মাসিউটিক্যালসের মতো উৎপাদন এবং রপ্তানি সামগ্রীর বৈচিত্র্য, প্রতিযোগিতামূলক বৃদ্ধি এবং নতুন বাজারে প্রবেশে বাংলাদেশের অর্থনীতি গতি পেয়েছে। সিপিএস-করোনা সংকট থেকে উত্তোরণ, দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখবে এবং যথেষ্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

এডিবি বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের কার্যক্রম আরও প্রসারিত করবে এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে উচ্চ স্তরের সুসম্পর্ক অব্যাহত রাখবে। ব্যাংকিং খাতের উন্নতি, ব্যবসা করার সহজতা, ব্যবসার পরিবেশ এবং বিনিয়োগের পরিবেশ বেসরকারি খাতের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকে উন্নীত করতে সহায়তা করবে।

সিপিএস চুক্তির সাথে সামঞ্জস্য রেখে জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পানি, নদী এবং উপকূলীয় অঞ্চলের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো সরাসরি মোকাবেলা করার জন্য সহায়তা করে এডিবি। সিপিএস কর্মসূচির সম্প্রসারণের সময় জলবায়ু পরিবর্তনকে সংহত করার জন্য একটি সামগ্রিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে।

দারিদ্র্য কমানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। বৈষম্য ও দারিদ্র্য কমাতে সুনির্দিষ্ট কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির কার্যকর বাস্তবায়ন, অধিকতর ন্যায়সঙ্গত গ্রামীণ ও আঞ্চলিক উন্নয়ন, স্বল্পমূল্যের আবাসন এবং মৌলিক সেবায় বিনিয়োগ-দরিদ্রদের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্য ও শিক্ষা। আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশের লক্ষ্য দারিদ্র্যকে ২০ দশমিক ৫ থেকে ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ এবং চরম দারিদ্র্যকে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৪ শতাংশে কমিয়ে আনা।

নতুন এডিবি কৌশল তার অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার বাস্তবায়নকে সহযোগিতা করার জন্য সরকারের সাথে কাজ করবে। যার লক্ষ্য উচ্চ সম্পদ সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা, উৎপাদন ও রপ্তানির বৈচিত্র্য এবং টেকসই নগরায়ন তৈরি।