ঢাকা, রবিবার ১৪, ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০২:৫৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত জুলাইযোদ্ধাদের নিরাপত্তায় হতে পারে বিশেষ সেল সোনার দাম ভরিতে বাড়ল ৩৪৫৩ টাকা

বাজারে শীতের সবজির আমদানি, দামও চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:২৪ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২২ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

শীত আসতে আরও দুই মাস বাকি। তবে এর মধ্যেই বাজারে আসতে শুরু করেছে নানা ধরনের শীতের সবজি। রাজধানীর প্রতিটি বাজারেই চোখে পড়ছে ডালা ভরে রাখা মুলা, শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি ও গাজর। এসব আগাম শীতকালীন সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
ক্রেতারা বাড়তি দাম নেওয়ার অভিযোগ করলেও বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় শীতের সবজি একটু বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, তবে দু-এক সপ্তাহের মধ্যে এই দাম কমে যাবে।
এদিকে বাজারে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে মাছ ও ডিমের দাম। গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, বঙ্গবাজার এবং রামপুরা কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজারে সবজি বিক্রেতা শামসুল ইসলামের দোকানে শিম, শালগম ও নতুন আলু প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা এবং মাঝারি আকারের প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে গতকাল। তাঁর দোকানে বেগুন, গাজর, মুলা ও বরবটির কেজি চাওয়া হয় মানভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কাঁকরোল, চিচিঙ্গা, শসা, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়স ও পটোলের দামও কম নয়। এসব সবজি প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আড়াই শ গ্রাম কাঁচা মরিচের দাম নেওয়া হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
বেশি দাম প্রসঙ্গে শামসুল ইসলাম বলেন, শীত যত বাড়বে, শীতের সবজির সরবরাহ তত বাড়তে থাকবে। তখন দাম কমবে।
এদিকে কয়েক দিনের ব্যবধানে বাজারে আবার বেড়েছে ডিমের দাম। রাজধানীর বঙ্গবাজারে প্রতি ডজন ডিম ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। এ বাজারের ডিম ব্যবসায়ী কাউসার বলেন, কিছুদিন আগে ডিমের ডজন ১৬০ টাকা হয়েছিল। দাম বেশি হওয়ার কারণে সে সময় ডিমের চাহিদা কমে যায়। এ কারণে ডিমের দাম ডজন ১২০ টাকায় নেমে আসে। তবে এখন আবার ডিমের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়ছে।

হঠাৎ বেড়েছে মাছের দামও। গতকাল রামপুরা কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে চাপিলা মাছ। এর কেজিও দেড় শ টাকার নিচে নয়। ছোট আকারের রুই মাছের কেজি ৩২০ টাকা, যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়। পাবদা মাছের দাম সর্বনিম্ন ৪৫০ থেকে শুরু করে আকারভেদে ৬০০ টাকা কেজি। বেলে মাছ ৭৫০ টাকা কেজি। ট্যাংরা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া চিংড়ি ৪০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া, পাঙাশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। কই মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।
মাছবিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, মাছের একেক সময় একেক দাম, সরবরাহ বেশি থাকলে দাম কমের দিকে থাকে। এ ছাড়া এখন ইলিশ ধরা কিংবা বিক্রি করা নিষিদ্ধ থাকায় অন্য মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে।
বাজারে সবজিসহ মাছ ও ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। কারওয়ান বাজারে আসা ক্রেতা নুরুন নাহার খানম বলেন, দিন দিন বাজারে সবকিছুর দাম বেড়েই চলছে। এমন চলতে থাকলে কয়েক দিন পর না খেয়ে থাকতে হবে। এ সময় তিনি সরকারের কাছে বাজার তদারকি বাড়ানোর দাবি জানান।

বাজারে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে পণ্য পরিবহন ও সংরক্ষণে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি বলেন, আমাদের কৃষকেরা যে কাঁচা পণ্য উৎপাদন করেন, সেগুলোর সংরক্ষণের ব্যবস্থা গড়ে তোলা উচিত। কিন্তু সেটা আমাদের পরিবহনের ক্ষেত্রেও হয়নি, বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রেও হয়নি। কারণ, আমাদের নিত্যপণ্যগুলোর হাতবদল বেশি হয়, লাভের বেশি অংশই নিয়ে নেন মধ্যস্বত্বভোগীরা। ৭৮০-চজ