ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, এপ্রিল ২০২৪ ৪:৪৬:২৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের কমল স্বর্ণের দাম মক্কা ও মদিনায় তুমুল বৃষ্টির শঙ্কা খালেদার গ্যাটকো মামলায় চার্জগঠনের শুনানি পেছাল কুড়িগ্রামে তাপদাহ: বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে, সবজির দামও চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:১৯ পিএম, ১২ জুন ২০২১ শনিবার

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। সবিজর দামও বেশ চড়া। করোনা পরিস্থিতিতে সদ্য ঘোষিত বাজেটে মুরগি ও মাছের খাবার বা উপকরণ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব ভোগ্যপণ্যের দাম কিছুটা কমার প্রত্যাশা ছিল ক্রেতাদের। কিন্তু বাজেট ঘোষণার পর পরই উল্টো দাম বেড়েছে আরেক দফা।

রাজধানীর বাজারগুলোয় বর্তমানে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছিল ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা দাম বেড়েছে। হিসাব মিলছে না পেঁয়াজ আর তেল-বেগুনেও। পাশাপাশি ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। সব মিলিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম এখন কিছুটা বাড়তি জানিয়ে কারওয়ানবাজারের জনপ্রিয় পোলট্রি হাউসের কর্ণধার আমির-উল-ইসলাম বলেন, ‘সাধারণত অন্যান্য বাজারের তুলনায় এ বাজারে মুরগির দাম কম হয়ে থাকে। তারপরও আজ ব্রয়লার বিক্রি করছি ১৩০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহের তুলনায় যা কেজিতে ১০ টাকা বেশি।’ 

আমির আরও বলেন, ‘সাধারণত গরমের সময় মুরগির আমদানি বেশি থাকে। কিন্তু বৃষ্টি-বাদলের জন্য কয়েক দিন ধরে তা কমেছে। তা ছাড়া ঢাকার বাইরে থেকেও মুরগি কম আসছে। সে জন্যই দাম কিছুটা চড়া এখন।’
 
মালিবাগ বাজারের মুরগি বিক্রেতা সোহেল গাজী বলেন, ‘অন্যান্য মুরগির দাম খুব একটা না বাড়লেও তিন-চার দিনের ব্যবধানে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে গেছে ব্রয়লারের দাম। গত সপ্তাহের শুরুর দিকে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করেছি ১২৫ থেকে ১৩০ কেজি। এখন তা ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ ছাড়া সোনালি অর্থাৎ পাকিস্তানি কক ২২০ থেকে ২৩০ টাকা এবং লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি দরে।’

এদিকে সবজির বাজারেও কমছে না দাম। গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও বেগুন, করলা, ঢেঁড়স, পটোল, ঝিঙে, পেঁপে ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। চিচিঙ্গা ও ধুন্দলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। পাকা টমেটোর দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। বরবটি ৬০ থেকে ৭০ ও গাঁজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কাঁচামরিচের কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। কাঁচকলার হালি ৪০ টাকা এবং কচুরলতির কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

রাজধানীতে সবজি সরবরাহকারী পাইকারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রিয়াদ এন্টারপ্রাইজের বলরাম চন্দ্র জানান, বাজারে শীতের সবজি ফুরিয়েছে আরও আগেই, পাশাপাশি আরও অনেক সবজির মৌসুম শেষের দিকে। তার ওপর আবহাওয়া খারাপ থাকলে রাজধানীতে সবজি কম আসে। ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমলেও সবজির ক্ষতি হয়। সব মিলিয়ে স্থানীয় হাটেও সবজি সরবরাহ কমে যায়। সার্বিকভাবে এসব কারণেই বাজারে সবজির দাম চড়া রয়েছে। শিগগিরই দাম কমার সম্ভাবনা নেই। তবে বৃষ্টি-বাদল কমলে কিছুটা পড়তে পারে।

অল্পদিনের ব্যবধানে হঠাৎ লাফিয়ে বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের ঝাঁজ চলতি সপ্তাহে কিছুটা কমেছে। রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ করেই বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গিয়েছিল, যে কারণে দাম বেড়ে যায়। ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এক লাফে ৬০ টাকায় গিয়ে ওঠে। তবে এখন সরবরাহ বাড়ায় দামও কিছুটা কমের দিকে।