মুদ্রণ সংকটে বছর শুরুতে পাঠ্যবই দেয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা
জাবেদ চৌধুরী | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০২:২৬ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০২০ সোমবার
ছবি: সংগৃহীত
বছরের শুরুতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যের বই বিতরণের বিষয়টিকে সরকারের একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হয়।তবে করোনার কারণে এবার বই উৎসব হচ্ছে না। তাই সরকার চাচ্ছে যেকোনো উপায়ে প্রতি বছরের মতো বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে। কিন্তু হঠাৎ রহস্যজনকভাবে কাগজের দাম বৃদ্ধি, নিম্নমানের কাগজ দিয়ে ছাড়পত্র নেয়ার চেষ্টা এবং ইন্সপেকশন এজেন্সিকে সহযোগিতা না করার কারণে এবার বই ছাপার কাজের গতি শ্লথ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বই ছাপা নিয়ে গভীর সঙ্কটে পড়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ফলে গত ১০ বছরের ধারাবাহিকতায় ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে যে বিনামূল্যের বই তুলে দেয়া হতো তার ছন্দপতনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সাল থেকে সরকার বছরের প্রথম দিন তথা ১ জানুয়ারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের (প্রথম-দশম) শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যের বই তুলে দিয়ে আসছে। এ দিনটিকে সরকার পাঠ্যপুস্তক উৎসব বা বই উৎসব হিসেবেই উদযাপন করে আসছে। করোনার কারণে এবার বই উৎসব হচ্ছে না। তবে ভিন্ন উপায়ে শিক্ষার্থীদের হাতে এই বই তুলে দিয়ে গত ১০ বছরের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে চায় সরকার। কিন্তু নানামুখী সঙ্কটে এনসিটিবির সময়মতো বই ছাপা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় গত ১০ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বইয়ের কভারের ভেতরের অংশে জাতীয় ব্যক্তিত্বদের ছবি সংযুক্ত ও মানসম্মত বই দেয়ার জন্য সরকারের সর্বোচ্চ মহলের নির্দেশনা রয়েছে। সে জন্য বইয়ের মান ঠিক রাখতে চলতি বছর ‘বাস্টিং ফ্যাক্টর’ (বইয়ের স্থায়িত্ব) ১৪ থেকে ১৬ করা হয়েছে। এতে বছরের মাঝামাঝি সময় বইয়ে ভাঁজ কিংবা ছিঁড়ে যাবে না। জিএসএম মাধ্যমিকে ৬০ শতাংশ এবং প্রাথমিক ৮০ ঠিক রাখতে তদারকি পদ্ধতিসহ বেশ কিছু নীতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যান্য বছর পরিদর্শন প্রতিষ্ঠান কাগজ ও ছাপা হওয়া বই দৈবচয়ন পদ্ধতিতে যাচাই করে কিন্তু এবার পরিদর্শন টিম কাগজের প্রতিটি রোল থেকে স্যাম্পল বই সংগ্রহ করবে। এ ছাড়া প্রতিটি প্রেসে একজন করে লোক নিয়োগ দেয়া, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি রাখা, কাগজের জিএসএমের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ প্লাস মাইনাস যত সম্ভব এড়িয়ে নির্ধারিত মান ঠিক রাখা ইত্যাদি। এটা করতে পারলে চলতি বছর নিম্নমানের কোনো কাগজে বই ছাপার সুযোগ নেই বলে মনে করেন কর্মকর্তারা। এটা নিশ্চিত করতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে দু’টি পরিদর্শন প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু দু-একটি মুদ্রণকারী শুরু থেকেই নিম্নমানের কাগজ দিয়ে বই ছাপানোর চেষ্টা করছে। এনসিটিবি ও এজেন্সি কঠোর মনিটরিংয়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এজেন্সিকে নানা ধরনের হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এতে সার্বিক বইয়ের মান রক্ষায় এনসিটিবির পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান যত শক্তিশালী হোক না কেন, কাউকে কোনো ছাড় না দেয়ার জন্য মনিটরিং টিম ও এজেন্সিকে বলা হয়েছে।
ইনডিপেনডেন্ট এজেন্সির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিযোগটি ফাইলে উঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এদিকে, মুদ্রণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোনো কারণ ছাড়াই পেপার মিলগুলো দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী তারা কাগজ দিচ্ছে না। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো বই তুলে দিতে এ বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ দরকার।
মুদ্রণ শিল্প সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিপণন সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, এ সঙ্কটের পিছনে দায়ী পেপার মিলগুলো। তারা চুুক্তি অনুযায়ী কাগজ দিচ্ছে না। এ ছাড়া বড় পেপার মিলগুলো কাগজ উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। সঙ্কট নিরসনে এনবিআর চেয়ারম্যান আশ্বাস দিয়েছেন, শিগগিরই এনসিটিবির সাথে বৈঠক করব। সরকারের হস্তক্ষেপ ছাড়া এ সঙ্কট কাটানো সম্ভব না। এ ব্যাপারে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, কাগজ নিয়ে আমাদের তেমন কিছু করা না থাকার পরও কাগজের সঙ্কট কাটাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
আগামী (২০২১ সাল) শিক্ষাবর্ষের জন্য মোট সাড়ে ৩৪ কোটি বই ছাপানো হবে। এর মধ্যে মাধ্যমিকের বই ২৪ কোটি ৩৩ লাখ ৮৪ হাজার প্রাথমিক স্তরে ১০ কোটি ৫৪ লাখ, যার মধ্যে এখন পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরের বই ছাপানো হয়েছে প্রায় ৯ কোটি। যার মধ্যে পিডিআই (প্রি ইন্সপেকশন অব ডেলিভারি) পেয়েছে ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৭৩ হাজার কপি। এ স্তরে সর্বমোট কাগজ লাগবে ৪০ হাজার মেট্রিন টন। এর মধ্যে আরও ছাড়পত্র পেয়েছে ১৭ হাজার মেট্রিক টন। নিম্নমানের কাগজ হওয়ায় বাতিল হয়েছে প্রায় তিন শ’ মেট্রিক টন। অন্য দিকে প্রাথমিক স্তরে বই ছাপা হয়েছে প্রায় ৬ কোটি যার মধ্যে মাত্র অর্ধেক উপজেলায় পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখনই এ কাজের গতি না বাড়াতে পারলে ১ জানুয়ারি অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেয়া সম্ভব হবে না। কারণ নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে আর মাত্র ২৩ দিন বাকি। অন্যান্য বছর এ সময় প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ বই ছাপার কাজ শেষ হয়ে যায়।
-জেডসি
- মিরপুর চিড়িয়াখানার খাঁচা থেকে বেরিয়ে গেল সিংহ
- খালেদা জিয়া জন্য জার্মানি থেকে আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
- ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২০০
- পিঠা খেতে ঢাকা ছাড়লেন পরীমণি
- এআই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করলেন রোনালদো
- কনার নতুন ছবি ঘিরে বিয়ের গুঞ্জন
- নির্বাচন সামনে রেখে ঢাকার ৫০ থানার ওসি বদলি
- ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট
- ইউএনও হলেন লাক্স সুন্দরী সোহানিয়া
- পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে যোগ দিলেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার
- বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে
- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত
- বিশৃঙ্খলায় ডুবছে গ্রোকিপিডিয়া
- লিভার ভালো রাখতে যে ৩ খাবার খাবেন
- আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল
- পুতিনকে জড়িয়ে ধরে স্বাগত জানালেন মোদি
- খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা
- নাসরিনের অধিনায়ক সানজিদা, সাবিনা-মাসুরারা অন্য ক্যাম্পে
- বিয়ে নিয়ে প্রথম মুখ খুললেন রাশমিকা
- খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায়
- হেলিকপ্টারে বিমানবন্দর যাবেন খালেদা
- বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে
- আজ মধ্যরাতে লন্ডনে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে
- লিভার ভালো রাখতে যে ৩ খাবার খাবেন
- ‘পরিবেশ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার’
- পিঠা খেতে ঢাকা ছাড়লেন পরীমণি
- আগামী নির্বাচন নিয়ে জাতি গর্ব করবে : প্রধান উপদেষ্টা
- খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাতে সম্মতি কাতারের
- তলবের ১০ মিনিটেই হাজির জেডআই খান পান্না, চাইলেন নিঃশর্ত ক্ষমা
- ইউএনও হলেন লাক্স সুন্দরী সোহানিয়া


