ঢাকা, বুধবার ২৪, এপ্রিল ২০২৪ ৭:৩০:০৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘পদ্মশ্রী’ গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা কাতার-বাংলাদেশ ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই কয়েক ঘণ্টায় ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল মাকে অভিভাবকের স্বীকৃতি দিয়ে নীতিমালা করতে হাইকোর্টের রুল আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি

যত্ন নিন সম্পর্কের

আহমাদ স্বাধীন | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:২৭ পিএম, ৯ জুন ২০২১ বুধবার

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

এই পৃথিবীতে আপনি একা না। আপনার একটা দেশ আছে, শহর আছে, সমাজ আছে এবং আছে পরিবার। জন্মসূত্রে আপনি পেয়ে গেছেন মা বাবা, ভাই বোনসহ একটা একান্নবর্তী পরিবারের নানা আত্মীয়তার সম্পর্কের মানুষ। 
এছাড়াও আপনাকে পেশাগত বা ব্যক্তিগত অবস্থানে স্বাভাবিকভাবে টিকে থাকতে হলে দরকার হয় আরো কিছু সম্পর্কের। যা না চাইলেও তৈরি হয়ে যায়। 
আর যারা বন্ধু আড্ডাপ্রিয় তাদের তো সম্পর্কের অন্ত নাই। এই যে প্রয়োজন, অল্প প্রয়োজন অথবা অপ্রয়োজনে তৈরি হওয়া এতো এতো সম্পর্ক, 
এই প্রতিটি সম্পর্কের কিন্তু মূল্য আছে। 
আছে যার যার অবস্থান ভেদে সময়ের চাহিদা ও নানাদিকের চাহিদা। আপনি হয়তো খুব বেশি কিছু করতে পারবেন না। তবে সম্পর্কের নূন্যতম অধিকার ও সম্মানটুকু আদায় করা আপনার কর্তব্য। 
অথচ এই বিষয়টাকে আমরা অনেকেই উদাসীন। 
মা বাবাকে আমরা প্রয়োজনের সময় সম্মানের সর্বোচ্চ আসনে রাখলেও একসময় ভীষণভাবে অবহেলা করা সন্তানদেরকেও দেখা যায় অনেক। 
অথচ পৃথিবীর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ও অলঙ্ঘনীয় ভালোবাসার সম্পর্কের দাবিদার মা বাবা। 
যদিও কেউ কেউ সন্তানের অধিকার পালন করতে কিছুটা ব্যর্থ হয়, কোন কোন মা বাবা উদাসীনতার সাথে এড়িয়ে যায় কিছু দায়িত্ব। তবুও মা বাবা আজীবন সবচে বেশি সম্মান পাওয়ার দাবী রাখে। এখানে কোন কম্প্রোমাইজ নাই। 
এরপর ভাই বোনদের প্রয়োজনীয় সম্মান স্নেহ ও ভালোবাসা দেয়ার ব্যপারটাও মাথায় থাকে না অনেকের। অথচ জীবন গঠনে তাদের অবদান অনেক বেশী। এবং শেষ পর্যন্ত তারাই সবচে আপন। 
কারন রক্তের সম্পর্কের থেকে বড় আর কিছু হয় না।
এ ছাড়াও মামা, চাচা, খালু, সহ আত্মীয়তার এই পারিবারিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন হয় একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া। প্রয়োজন হয় নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা। প্রয়োজন হয় নিয়মিত  দেখা সাক্ষাত সহ বিপদ আপদ বা সুখ দুঃখের সঙ্গী হওয়া। কিন্তু ভেবে বলেন তো, আমরা কজন এই ব্যপারে ভাবি? খুব কম। আর ভাবলেও নিজেদের স্বার্থটা আগে থাকে। 
বন্ধু বান্ধবের সম্পর্ক চলে আসে এর পরের তালিকায়। 
বন্ধু বান্ধব এমন একটা সম্পর্ক, যার কাছে কোন গোপন থাকে না। আড়াল থাকে না। থাকে শুধু নিজের  ভেতর বাহিরে যা আছে তার সবটা ভাগ করে নেবার অধিকার। থাকে ভালোবাসা,খুনসুটি, তুমুল আড্ডা, 
ছোটখাটো বিষয় নিয়ে তুমুল ঝগড়া।
অকারণ মন খারাপের ঘটনা। থাকে অনেক অদ্ভুত সুন্দর সম্পর্কের গল্প। আর থাকে একজন অপরজনের জন্য কম্প্রোমাইজ ও সেক্রিফাইজ করার মানসিকতা। 
কিন্তু বন্ধু যদি এইসব বিষয়গুলো না ভাবে, যদি একজন অন্যজনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়। যদি বুঝতে না চায় বন্ধুর বলতে না পারা কথার মানে। যদি একজন অন্য জনকে বুঝে না বুঝে অপমান করতে থাকে খেলাচ্ছলে, তাহলে সেই বন্ধুত্ব স্থায়িত্ব পায় না। 
তারপর থাকছে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক। যে সম্পর্কের কাছে সব সম্পর্ক ম্লান। একটা জীবন একসাথে কাটিয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি ও প্রস্তুতি নিয়ে শুরু হয় এই সম্পর্ক। একে অপরের প্রতিটা বিষয় বস্তু ভাগ করে নিতে হয়। সুখ দুঃখের সময়গুলো আনন্দ ও সাহসের সাথে পার করতে হয়। এই সম্পর্কটা যতটা সহজ, ততটাই কঠিন। একে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন হয় অনেক কিছুর। অনেক উপকরণ মিলেই তৈরি এই সম্পর্কের ভীত। সেখানে অত্যন্ত দরকারী উপকরণ হচ্ছে বিশ্বাস ও আস্থা। 
অর্থবিত্তের অভাব থাকতেই পারে। প্রয়োজনের অনেক কিছুর কমতি থাকাটাও স্বাভাবিক। তবে বিশ্বাসের ঘাটতি থাকলে সেটা হয় এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার সবচে বেশি খারাপ দিক। একে অপরের প্রতি বিশ্বস্ততার একশো ভাগ রাখতে না পারলে শুরু হয় সম্পর্কের টানাপোড়েন। 
সময়ের চাহিদাটাও পূরণ করা দরকার। জীবনের প্রয়োজনে ব্যস্ততা থাকে। এর মধ্যে থেকেই দুজন দুজনকে সময় দেয়া জরুরী। আর দরকার হচ্ছে বোঝাপড়া। এইখানে সবার কমবেশি ভুল থাকে। 
অনেকে তো নিজেকে বুঝতে দিতেও চায় না। ফলে দাম্পত্য কলহ হয় নিত্যসঙ্গী। 
সবথেকে বেশি দরকার হয় স্যাক্রিফাইজ ম্যন্টালিটির। 
তবে এটা দু পক্ষ থেকে থাকা দরকার। 
দীর্ঘদিন এক পক্ষের ছাড় দেয়ার মানসিকতা থাকলে একসময় তা বিস্ফোরক হতে পারে। 
সন্দেহবাদিতা হচ্ছে এই সম্পর্ক ফাটল ধরানোর আর একটা দিক। যা অনেক দাম্পত্যর মাঝেই দেখা যায়। 
এটা একটা মানসিক রোগ। যার আরোগ্য দরকার। 
এ ছাড়াও প্রতিটা সম্পর্কের স্থায়িত্বর জন্য অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল মনোভাব থাকতেই হবে। আপনি হয়তো খেয়ালী স্বভাবের। নিজের রাগ ও জেদ মাত্রাতিরিক্ত। এই স্বভাবের জন্য কিছু সম্পর্কের মানুষের প্রতি অশ্রদ্ধা করছেন। সেটা তারা বুঝেও আপনাকে সহ্য করছে। কিন্তু তা কতদিন? 
একসময় তার জমতে থাকা রাগের স্রোত তৈরি হলে তাকে আর আপনার পক্ষে পাবেন না। হারিয়ে যাবে সে। তাই নিজের অবস্থান বুঝে প্রতিটা সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া জরুরী।