ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০২, মে ২০২৪ ৪:০২:১৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
মহান মে দিবসে মেহনতি মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা মদিনায় ভারি বৃষ্টিতে বন্যা, রেড অ্যালার্ট জারি দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরা শুরু ভর্তি পরীক্ষায় ব্যর্থ, পদ্মায় ঝাঁপ দিয়ে তরুণীর আত্মহত্যা মহান মে দিবস আজ ক্যারিয়ার সেরা র‍্যাংকিংয়ে জ্যোতি চুয়াডাঙ্গায় আজ ৪৩.৭ ডিগ্রি, ২৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইলেন বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:১১ এএম, ৯ এপ্রিল ২০২০ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

প্রাণভিক্ষার জন্য কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব শহীদুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, আমরা আবেদন পেয়েছি। সেটা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে বুধবার দুপুরে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এম হেলাল উদ্দিন চৌধুরী মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন।

উল্লেখ্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ গত ২৫ বছর ধরে ভারতে পালিয়ে ছিলেন। করোনাভাইরাস আতঙ্কে সেখান থেকে গত ২৬ মার্চ ময়মনসিংহের সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন তিনি।

দেশে ফেরার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত ৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। এরপর তাকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

বুধবার বেলা দেড়টার দিকে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ হেলাল চৌধুরী বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার এ আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। এর আগে বিচারক আসামি আবদুল মাজেদের বক্তব্যও শোনেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানার শুনানির পর আদালত আসামির বক্তব্য শোনেন। এ সময় আসামি ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ আদালতের কাছে বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন।

তিনি ফারুক রশীদের নেতৃত্বাধীন ট্যাংকসহ যে বাহিনী বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আক্রমণ করেছিল তাতে সৈনিক হিসেবে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছিলেন। ফারুক রশীদের যে শপথ ছিলো বঙ্গবন্ধুকে খুন করার, সেই শপথের সৈনিক ছিলেন তিনি। আদালতের সামনে আবদুল মাজিদ বলেছেন, পুরষ্কার হিসেবেই তাকে পরবর্তীতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি হয়েছিল।

এরআগে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ারা জারি করেছেন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

লাল সালু কাপড়ে মোড়ানো মৃত্যু পরোয়ানার নথিটিও আদালত থেকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে। এবার কারাবিধি অনুযায়ী রায় কার্যকর করবে কারা কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার সুযোগই ছিলো এই আসামির। আর সেটাই তিনি করলেন।


-জেডসি