ঢাকা, শনিবার ২০, ডিসেম্বর ২০২৫ ৩:২৮:৩৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করেছেন তারেক রহমান আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান ডিএমপি কমিশনারের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আবারো আগুন-ভাঙচুর প্রথম আলো-ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ভাঙচুর-আগুন

হলি আর্টিজানে হামলায় ৭ আসামির মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৪৬ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার

রাজধানীর গুলশানের আলোচিত হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় সাত আসামীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান নামে এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুর ১২টা ১৬ মিনিটে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে দুপুর ১২টায় মামলার রায় পড়া শুরু করেন বিচারপতি।

সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে প্রিজনভ্যানে কারাগার থেকে আসামিদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এসময় প্রিজনভ্যান থেকে নেমে আঙুল উঁচিয়ে হাসিমুখে আদালতের ভেতর প্রবেশ করে আট আসামি। এরমধ্যে একজনের পায়ে সমস্যা থাকায় সে ক্রাচে ভর করে আদালতে প্রবেশ করেন।

রায়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-আসলাম হোসেন সরদার ওরফে মোহন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ। হামলাকারীদেরকে প্রশিক্ষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি মো. হাদিসুর রহমান ওরফে সাগর ওরফে সাদ বিন আবু ওয়াক্কাস ওরফে আবু আল বাঙালি ওরফে আমজাদ ওরফে তৌফিক।

নব্য জেএমবির প্রশিক্ষক ও অর্থ লেনদেনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাকিবুল হাসান রিগ্যান ওরফে রাইফউল ইসলাম ওরফে রাফি ওরফে রিপন ওরফে হাসান।

জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী ওরফে সুভাষ ওরফে শান্ত ওরফে টাইগার ওরফে আদিল ওরফে জাহিদ। হামলার পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ, অস্ত্র সংগ্রহ, হত্যাকাণ্ডে সক্রিয় সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে।

হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান ওরফে হাসান ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ ওরফে মুসাফির ওরফে জয় ওরফে নাসরুল্লাহ; মো. শফিকুল ইসলাম খালেদ ওরফে খালিদ ও মো. মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন।

২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজানের ওই হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২৩ জন নিহত হয়েছিলেন। ওই হামলার পর ৪ জুলাই রাতে গুলশান থানার এসআই রিপন কুমার দাস অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা করেন। এরপর ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই আটজন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির।

চার্জশিটে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’ নিহত পাঁচ হামলাকারী রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম পায়েল নিহত হওয়ায় তাদের নাম চার্জশিটে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।

এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে র‌্যাব-পুলিশের অভিযানে তামিম আহমেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, সারোয়ান জাহান মানিক, তানভীর কাদেরী, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট, রায়হান কবির ওরফে তারেক, মেজর (অব) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান নিহত হওয়ায় তাদের নামও চার্জশিটে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।

একই বছর ২৬ নভেম্বর আদালত ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন। ওই বছর ৩ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছর ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ৪৬ কার্যদিবসে ট্রাইব্যুনাল চার্জশিটের ২১১ সাক্ষীর মধ্যে ১১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্যসম্পন্ন হয়।

এর পর চলতি বছর ৩০ অক্টোবর আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি হয়। সেখানে সব আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে কেউ মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করেন।

গত ৬ নভেম্বর থেকে দুই কার্যদিবসে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২৭ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য হয়। চার্জগঠন থেকে যুক্তিতর্ক পর্যন্ত মোট ৫২ কার্যদিবসে মামলার বিচার সম্পন্ন হয়।