ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, মার্চ ২০২৪ ১৬:৪১:৩৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু গাজায় নিহত বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০ অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঈদ কেনাকাটায় ক্রেতা বাড়ছে ব্র্যান্ড শপে বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার

৪ দিন পর খুলেছে ব্যাংক, বীমা ও শেয়ারবাজার, গ্রাহক উপস্থিতি কম

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:১২ পিএম, ৫ জুলাই ২০২১ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

টানা চারদিন বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার খুলেছে ব্যাংক, বীমা ও শেয়ারবাজার। তবে সরকারঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে লেনদেন চলছে সীমিত পরিসরে।

এদিকে ব্যাংকে খুললেও গ্রাহকদের উপস্থিতি অপেক্ষাকৃত কম। তবে নিয়মিত লেনদেনের সঙ্গে এলসি খোলা, নিষ্পত্তিসহ সব কার্যক্রমই চলছে। গ্রাহকদের মধ্যে টাকা উত্তোলনের চেয়ে জমা দেয়ার প্রবণতা বেশি বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকটি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকরা।

অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার মহাব্যবস্থাপক মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, কঠোর লকডাউনের পঞ্চম দিন চললেও ব্যাংকের প্রথম কার্যদিবস আজ। ব্যাংকে গ্রাহক উপস্থিতি স্বাভাবিকের মতোই। বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেখা গেছে গ্রাহকদের উত্তোলনের চেয়ে জমা বেশি।

সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, গত কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর সাধারণত গ্রাহক বেশি হওয়ার কথা থাকলেও গ্রাহক উপস্থিতি তুলনামূলক কম। তবে সব কাউন্টারেই কম-বেশি গ্রাহক রয়েছে।

এসবিএসি ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার ব্যবস্থাপক অপারেশন রেজানুল হক জানান, আমাদের এ শাখায় সাধারণ গ্রাহকের চেয়ে রপ্তানিকারক গ্রাহকের উপস্থিতি বেশি। চারদিন ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের এলসি খোলা, নিষ্পত্তি এবং চেক জমার চাপ পড়েছে।

এদিকে, এনআরবিসি ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখাতেও গ্রাহকের তেমন চাপ নেই। অন্যদিনের মতই লেনদেন চলছে এমনটাই জানিয়েছেন ব্যাংকটির কর্মকর্তারা।

করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এই বিধিনিষেধের মধ্যে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশ দিয়ে গত বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তবে ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়।

তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবারের সঙ্গে রোববার ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ রেখে সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চার দিন ব্যাংক খোলার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আর ব্যাংকের লেনদেনের সময়সীমা কমিয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত করা হয়। সরকারের বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংক খোলার এই নির্দেশনা আসলেও ব্যাংক হলিডের কারণে বৃহস্পতিবার ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ ছিল। এতে টানা চারদিন বন্ধ থাকে ব্যাংক।

গত ৩০ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংক খোলার নির্দেশনা দেয়ার পরপরই পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) শেয়ারবাজারে লেনদেন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়।

ব্যাংকের লেনদেনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সপ্তাহের চারদিন (সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার) শেয়ারবাজারের কার্যদিবস নির্ধারণ করা হয়। আর লেনদেনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

অন্যদিকে বিমা অফিসগুলোতেও কার্যক্রম চলছে। বিমা অফিসগুলো খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। তবে নির্ধারিত এ সময়ে প্রধান কার্যালয়সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শাখা খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে।

রবিবার এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছে বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। সেই সঙ্গে বীমা কর্মীদের দাফতরিক কাজে অফিসের গাড়িতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে চিঠি দিয়েছে আইডিআরএ।


-জেডসি