ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ১০:০৭:৫৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপ আজ শুরু জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই দেশ আরও উন্নত হতো টাইমের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা নান্দাইলে নারী শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা তীব্র গরমে জনজীবনে দুর্ভোগ, বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়া কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দী অবস্থায় সুচি কৃষকরাই অর্থনীতির মূল শক্তি: স্পিকার

৭ শিশুসহ ১০ আফগানকে হত্যায় ক্ষমা চাইল যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৫:২৮ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ শনিবার

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মার্কিন ড্রোন হামলায় ১০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক ভুল’ আখ্যায়িত করে মার্কিন সামরিক বাহিনী বলছে, এ ঘটনায় তারা ক্ষমাপ্রার্থী।

গত মাসে ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে সাতটি শিশু ছিল। এর আগে গত ২৯ আগস্ট পেন্টাগন জানিয়েছে, কাবুল বিমানবন্দরের আসন্ন হুমকি জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। তখন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিদেশি সেনাপ্রত্যাহারে শেষ পর্যায়ের কাজ চলছিল।-খবর রয়টার্সের

বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার খবর আসলেও ওই হামলাকে ‘ন্যায়নিষ্ঠ’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন মার্কিন জেনারেল ফ্রাংক ম্যাকাঞ্জি। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান মেরিন কোর্পস জেনারেল ম্যাকাঞ্জি বলেন, তখন বিমানবন্দরে মার্কিন বাহিনীর ওপর আসন্ন একটি হামলা নিবৃত্ত করার ক্ষেত্রে তিনি আত্মবিশ্বাসী।

এই জেনারেল বলেন, এখন আমাদের তদন্ত থেকে আসা সিদ্ধান্ত বলছে, ওই হামলা ছিল একটি ‘মর্মান্তিক ভুল’। ওই হামলায় নিহতরা আইএস-খোরাসানের স্থানীয় সদস্য হওয়া সম্পূর্ণ অসম্ভব।

আফগানিস্তানের বাইরের একটি ঘাঁটি থেকে ওই ড্রোন হামলা চালানো হয়েছিল। এভাবে বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় ভবিষ্যতে মার্কিন সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত মাসে আফগান থেকে মার্কিন সেনাপ্রত্যাহার হওয়ার পর দেশটিতে গোয়েন্দা কার্যক্রমও বর্তমানে প্রায় বন্ধ রয়েছে।

কাবুল বিমানবন্দর থেকে মার্কিন সেনা ও তাদের আফগান দোসরদের সরিয়ে আনার ক্ষেত্রে মারাত্মক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল, যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সবচেয়ে বড় সংকট হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, ড্রোন হামলায় নিহত আহমাদি পুষ্টি ও শিক্ষাবিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। এখন আমরা জানতে পারলাম, তার সঙ্গে আইএসকের কোনো সম্পর্ক নেই। সেদিনকার তার তৎপরতা ছিল নির্দোষ এবং আমরা যে আসন্ন হামলার মুখোমুখি ছিলাম, তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিল না।

তিনি বলেন, আমরা ক্ষমা চাচ্ছি। এই ভয়ংকর ভুল থেকে ভবিষ্যতে আমরা শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করব।

বিশ্বজুড়ে মার্কিন অভিযানে বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে দেশটির সামরিক বাহিনী। যদিও এভাবে নিরীহ লোকজনকে হত্যার ঘটনায় প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ পেন্টাগনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ক্ষমা চাওয়ার ঘটনা খুবই বিরল।

কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন হামলার পরপরেই খবর এসেছিল যে, তাতে নির্দোষ লোকজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলের ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ভবনের উঠানে একটি গাড়ির ধ্বংসস্তূপ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।

তখন আফগান সরকারের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছিলেন, ওই হামলায় সাতজন বেসামরিক নাগিরক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তালেবানও তদন্ত করছে।