ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, ডিসেম্বর ২০২৫ ৯:৩১:৫৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘সরকারকে অবশ্যই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে’ দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভিসা সেবা বন্ধ ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘না রাখতে’ দেওয়ার হুমকি শুভেন্দুর ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা

আগাম নির্বাচন দেয়ার মত পরিস্থিতি হয়নি : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০৭:৫৩ পিএম, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭ শুক্রবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগাম নির্বাচন দেয়ার মত পরিস্থিতি হয়নি। নির্বাচনে অংশ নেয়া না নেয়া দলগুলোর নিজস্ব ব্যাপার। এক্ষেত্রে সরকারের কিছু করার নেই।

 

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নত্তর পর্বে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। কম্বোডিয়া সফর সম্পর্কে বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ভালো সমর্থন পাচ্ছি। কম্বোডিয়ার প্রেসিডেন্টকে আহ্বান জানিয়েছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন-আশিয়ানে এ বিষয়ে কথা বলবেন। মিয়ানমারকে তারা চাপ দিচ্ছেন। কেউ কেউ প্রকাশ্যে না বললেও চাপ দেওয়া হচ্ছে। সবাই চায় রোহিঙ্গারা তাদের নিজের দেশে ফিরে যাক। আমরাও তাই প্রত্যাশা করি।

 

তিনি বলেন, প্রতিবেশি দেশ হিসেবে আমি চাই তাদের সঙ্গে প্রতিবেশিভাব থাকুক। মানবিক কারণে আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। তাদের অবশ্যই ফেরত নিতে হবে। 

 

বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করে দেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, উনি কি ক্ষমা করেছেন, না চেয়েছেন-এ ক্ষমার বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তার উচিত দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া। কিবরিয়াসহ অনেককে হত্যা করা হয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আমি বেঁচে গিয়েছি, এ জন্যই কি তিনি আমাকে ক্ষমা করেছেন?

 

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে মামলা তা আমাদের সরকার দেয়নি। বরং আমার বিরুদ্ধে এক ডজন মামলা দিয়েছে। আর যারা মামলা দিয়েছে সেই মঈন উদ্দিন, ফখরুদ্দিন তাদের নিজেদের লোক তা আপনারা জানেন।

 

আসন্ন নির্বাচনে একাধিক প্রার্থিতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শতফুল ফুটতে দিন, আওয়ামী লীগ একটা বড় রাজনৈতিক দল। এটা তাদের রাজনৈতিক অধিকার। সময় মতো আমরা ভালো ফুলটিই বেছে নেবো। নির্বাচনী হাওয়া বয়ে যাওয়া ভালো বিষয়। গণতান্ত্রিক বিষয়টাই এতে ফুটে উঠেছে।

 

মাঠ পর্যায় থেকে প্রার্থীদের বিষয়ে জরিপ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের কাছে কার কেমন গ্রহণযোগ্যতা আছে তা আমাদের খেয়াল রাখতে হয়। তবে যার কোনো দুর্বলতা দেখি, তাকে সতর্ক করি। একটা কথা মনে রাখতে হবে-দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। এটা অব্যাহত রাখলেই মানুষই আপনাকে বেছে নেবে। তবে কেউ রেড জোনে নেই। মানুষই ভেবে দেখবে তারা আওয়ামী লীগকে চায় কি না।

 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, কোন দল নির্বাচন করবে কোন দল নির্বাচন করবে না তা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। এখানে আমাদের কি করার আছে। গণতান্ত্রিক একটি দেশে যে দলগুলো গণতন্ত্র চর্চা করে সেই সব দলের নির্বাচনে আসা কর্তব্য। তবে কে নির্বাচনে আসবে আর কে নির্বাচনে আসবে না সে ব্যাপারে সরকারের কিছু করণীয় নেই।

 

সংবাদ সম্মেলন মঞ্চে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এ ছাড়া সেখানে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, সরকারের মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।