ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৯:০০:০৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস আজ

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:১৭ এএম, ১৮ মে ২০২৩ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস আজ ১৮ মে বৃহস্পতিবার। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘পাওয়ার অব মিউজিয়াম’। বরাবরের মতো আজও দিনটিতে জাদুঘরের তাৎপর্য তুলে ধরা হবে— যাতে ছাত্র, শিক্ষক, গবেষক ও পণ্ডিত ব্যক্তিদের গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হয় এবং নাগরিকরা তার আপন ঐতিহ্য সম্পর্কে ভাবতে শেখেন।

ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিয়ামসের আহ্বানে ১৯৭৭ সালে প্রথম বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়। সেই থেকে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিয়ামস (আইসিওএম)। এর সদস্য হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মোট ১৮০টি দেশের ২৮ হাজার জাদুঘর যুক্ত রয়েছে।

জানা গেছে, বাংলার গভর্নর লর্ড কারমাইকেল জনগণের চাহিদা শুনে একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করার কথা ভাবেন। কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ১৯১১ এর বঙ্গভঙ্গ, ১৯১২ সালের দিকে তিনি দেশের কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে সাক্ষাৎ করেন, যারা বেশ কিছু পুরনো সামগ্রীর প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন। প্রদর্শনীটি দেখে লর্ড কারমাইকেল মুগ্ধ হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঢাকায় একটি জাদুঘর তৈরি করবেন। তিনি ২ হাজার রুপি দান করেন জাদুঘরটির কাজ শুরু করার জন্য। ১৯১৩ সালে জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করতে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন এম বনহ্যাম কারটার এবং স্যার নিকোলাস ডড বেটসন বেল।

পৃথিবীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যতো ইতিহাস জমা হচ্ছে তারই প্রতিচ্ছবি হলো জাদুঘর। জাদুঘরের ইংরেজি মিউজিয়াম শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ মিউজয়ন থেকে, যার অর্থ কাব্যাদির অধিষ্ঠাত্রী দেবীর মন্দির। বাংলায় জাদুঘর কথাটির অর্থ হলো, যে গৃহে আদ্ভুত পদার্থসমূহ সংরক্ষিত আছে এবং যা দেখে মন্ত্রমুগ্ধ হতে হয়।

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর (Bangladesh National Museum) দেশের সর্ব বৃহৎ জাদুঘর। যেটি রাজধানী ঢাকার বুকে উচু হয়ে দাড়িয়ে আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনের সাথেই গড়ে উঠা এই জাদুঘরটির যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৩ সালে। এখানে অবস্থিত গ্যালারিতে লোকশিল্প, ঐতিহ্যবাহী পোশাক, অস্ত্র, মুদ্রা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্যশৈলী তুলে ধরার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয়েছে।এছাড়াও এখানে গবেষণা এবং শিক্ষামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দর্শনার্থী এবং গবেষকদের মধ্যে একইভাবে সাংস্কৃতিক সচেতনতা এবং বোঝাপড়ার প্রচারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

১৯১৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের একটি রুমে জাদুঘর হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়া এই জাদুঘরটি বাংলার তৎকালীন গভর্নর লর্ড কারমাইকেল প্রতিষ্ঠা করেন। যেটি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৮৩ সালে নতুন আঙ্গিকে দেশের অন্যতম এবং জাতীয় জাদুঘর এর স্বীকৃতি লাভ করে।