ঢাকা, সোমবার ২২, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৫১:৩৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নিরাপত্তা, অস্ত্রের লাইসেন্স চেয়ে আবেদন ১৫ রাজনীতিবিদের ‘ভোটের গাড়ি’র প্রচার শুরু আজ আগামী বাজেটের রূপরেখা দিয়ে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার গণভোট নিয়ে নানা শঙ্কা পশ্চিম তীরে নতুন ১৯টি বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিল ইসরায়েল

আন্দোলনের মুখে ইবি প্রক্টরের পদত্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:২০ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের একাংশের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নবনিযুক্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুব রহমান। রোববার রাত ১০টার দিকে পদত্যাগ করেন তিনি।

এর আগে প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে গত শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ করতে থাকে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের একাংশ। দুপুর দেড়টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক আটকে আন্দালন করেন তারা।

শনিবারই প্রক্টর পরিবর্তনের জন্য এক দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন তারা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস সময় শেষ হলেও প্রক্টরকে পরিবর্তন করেনি প্রশাসন। আন্দোলনকারীদের কাছে সাত দিনের সময় চায় কর্তৃপক্ষ।

ইবি সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান প্রক্টর হিসেবে যোগদান করেন। তার দাবিতে দুপুর ১টার দিকে মিছিল নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারীর কার্যালয়ে যায় ছাত্রলীগ।

সংগঠনের বিদ্রোহী নেতাকর্মীদের দাবি, ২০১৪ সালে প্রক্টোরের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ড. মাহবুব পুলিশকে ছাত্রলীগের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। শিক্ষক বাণিজ্যের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তিনি। নিয়োগ বাণিজ্যের একাধিক অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ এনে তার পদত্যাগ দাবি জানান তারা।

এ সময় ছাত্রলীগ নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমরা অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানকে প্রক্টর পদে না দেওয়ার অনুরোধ করেছিলাম। আমাদের অনুরোধ না রেখে আপনারা তাঁকে নিয়োগ দিয়েছেন। গতকাল (শনিবার) আপনাদেরকে প্রক্টর পরিবর্তনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। এবার সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করব।’

পরে ক্যাম্পাসের ফটকে তালা লাগিয়ে অবরোধ করে পদত্যাগ দাবি করে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহনকারী (শিডিউল গাড়ি) দুপুর ২টার গাড়ি ক্যাম্পাসে আটকা পড়ে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বিকেলে ৪টার দিকে ফটকের তালা খুলে দিলে ক্যাম্পাস থেকে গাড়িগুলো ছেড়ে যায়। পরে বিদ্রোহীরা প্রশাসন ভবরনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। বিদ্রোহীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।

এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ১৫ জনের একটি প্যানেল বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করে একই দাবি জানায়। এ বিষয়ে শাপলা ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূইয়া বলেন, ‘শাপলার সাবেক কমিটির একটি সিদ্ধান্ত ছিল, যেসব শিক্ষক পাঁচ বছর প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদেরকে আবারও দায়িত্ব না দেওয়া। এছাড়া বর্তমান প্রক্টর (ড. মাহবুব) বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত। তাই প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত রিভিউ করার জন্য বলা হয়েছে।’

-জেডসি