ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:১০:২৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

‘আমার সোনার বাংলা’ গাওয়া কংগ্রেস নেতার পাশে মহুয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৩২ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে বিতর্কে ‍মুখে ভারতের আসামের সিনিয়র কংগ্রেস নেতা বিধুভূষণ দাস। আর সেই বিতর্কে এবার ওই কংগ্রেস নেতার পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তার দাবি, ‘আমার সোনার বাংলা গানটি সব বাঙালিদের জন্য এক আবেগ’। 

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে এক অনুষ্ঠান শুরু করায় বিজেপির তোপের মুখে পড়েছেন কংগ্রেস নেতা বিধুভূষণ। এই অবস্থায় বাঙালি সংস্কৃতির প্রসঙ্গ টেনে এনে বিজেপিকে পালটা একহাত নিলেন মহুয়া।

সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মহুয়া লিখেছেন, ‘‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি লিখেছিলেন ১৯০৫ সালে ব্রিটিশদের বঙ্গভঙ্গ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে। পরে গানটির প্রথম ১০ লাইন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল ১৯৭১ সালে। সব বাঙালির কাছে আমার সোনার বাংলা গানটি একটি আবেগ। কোনো গেরুয়া চাড্ডি বা তাদের টাকা পাওয়া ট্রোল মিডিয়া এই বিষয়টি বুঝবে না।’

উল্লেখ্য, আসামের বরাক উপত্যকার অন্যতম জনপ্রিয় বাঙালি নেতা হলেন বিধুভূষণ দাস। গত সোমবার শ্রীভূমি জেলার ইন্দিরা ভবনে কংগ্রেস সেবা দলের বৈঠকের সময় তিনি ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি গেয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

উল্লেখ্য, বিধুভূষণ দাস ভাঙ্গা (শ্রীভূমি) এর বাসিন্দা এবং সেবা দলের জেলা ইউনিটের প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সুর করা ‘আমার সোনার বাংলা‘ গানটি দিয়ে তিনি তার ভাষণ শুরু করেছিলেন বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, আসামের বরাক উপত্যকা অঞ্চলে বাংলাভাষীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। ভাষা এবং সাংস্কৃতিক পরিচয় এখানে সংবেদনশীল বিষয়। এদিকে সম্প্রতিককালে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের পুশব্যাকের ঘটনাও আসামে রাজনৈতিক অঙ্গনের অন্যতম ইস্যু। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস নেতার এমন কাণ্ডে স্বভাবতই উত্তপ্ত আসামের রাজনীতি।

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়। রাজ্যের মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা কৃষ্ণেন্দু পাল এই বিষয়ে বলেন, ‘আমি খবর পেয়েছি যে একজন কংগ্রেস নেতা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন। কংগ্রেসে সবকিছুই সম্ভব। তারা জানে না কখন এবং কী গাইতে হবে। ভিডিওটি দেখার পর পুলিশের কাছে তদন্তের দাবি জানাব। দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করব।’

অন্যদিকে এই বিতর্ককে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করেছে কংগ্রেস। করিমগঞ্জ (শ্রীভূমি) জেলা কংগ্রেস কমিটির মিডিয়া বিভাগের সভাপতি শাহাদাত আহমদ চৌধুরী এই ঘটনায় বিধুভূষণ দাসের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘‘বিধুভূষণ দাস বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গেয়েননি, রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়েছেন। নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’। ভাষণ শুরু করার আগে দাস বলেছিলেন যে তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীত দিয়ে শুরু করবেন। তিনি একজন শ্রদ্ধেয় নেতা, তিনি প্রতি স্বাধীনতা দিবসে ইন্দিরা ভবনে ভারতীয় ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা উত্তোলন করেন। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে করা এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’’