ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:১৭:৫১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

আরও ২ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৩৬ এএম, ১৭ অক্টোবর ২০২৫ শুক্রবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ইনবার হাইমান এবং মুহাম্মদ এল-আতরাশ নামে আরও দুইজন জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলকে ফেরত দিয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা রেড ক্রসের মাধ্যমে গত বুধবার দু’জনের মরদেহ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষঅ বাহিনী (আইডিএফ)-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রাতে মরদেহ দু’টি হস্তান্তরের পর সেগুলো ইনবার এবং মুহম্মদের কি না— সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে মরদেহ দু’টি তেল আবিবের আবু কবির ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে পরীক্ষার পর এ দু’টি মরদেহের পরিচয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হয় ইসরায়েল।

গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী ২৭ বছর বয়সী ইনবার হাইমান ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফার বাসিন্দা ছিলেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার সীমান্তবর্তী ইসরায়েলের রেইম শহরে আয়োজিত নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যালে ইসরায়েলি যোদ্ধাদের হামলায় নিহত হয়েছিলেন তিনি। তার মরদেহ নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা।

আর ৩৯ বছর বয়স্ক মুহম্মদ এল আতরাশ ইসরায়েলি সেনাবহিনীর গাজা ডিভিশনের নর্দার্ন ব্রিগেডের একজন সেনাসদস্য ও ট্র্যাকার ছিলেন। ২০২৩ সালে ইসরায়েলের নাহাল ওজ এলাকায় হামাস যোদ্ধদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধের সময় নিহত হন তিনি।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে এসেছিল হামাসের যোদ্ধারা। এই জিম্মিদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত হামাসের কব্জায় ছিল ৪৮ জন জিম্মি। হামাস জানিয়েছিল, এই ৪৮ জনের মধ্যে ২০ জন জীবিত আছে, বাকি ২৮ জন মারা গেছে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত নতুন যে পরিকল্পনা প্রস্তাব আকারে হাজির করেছিলেন ট্রাম্প— ইসরায়েল ও গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস তাতে সম্মতি জানানোর পর ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায়। প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় হামাসকে ট্রাম্প শর্ত দিয়েছিলেন যে গোষ্ঠীটিকে অবশ্যই জীবিত ২০ ইসরায়েলি জিম্মি এবং মৃত ২৮ জন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করতে হবে।

যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিন ১৩ অক্টোবর সোমাবার নিজেদের কব্জায় থাকা জীবিত ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মির সবাইকে এবং চার জন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করে হামাস। পরের দিন ১৪ অক্টোবর রাতে আরও চার জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর গাজার স্বাধীনতাকামী এ সশস্ত্র গোষ্ঠী।

তারপর বৃহস্পতিবার রাতে এই দু’জনের মৃতদেহ হস্তান্তর করল হামাস।