ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৪:৩১:১১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

ইসরায়েলি হামলা চলছেই, যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা চায় হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫৯ পিএম, ৪ জুলাই ২০২৫ শুক্রবার

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান ভয়াবহ যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন করে যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একদিকে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা তীব্র করছে ,অন্যদিকে হামাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কিছু নিশ্চয়তা (‘গ্যারান্টি) চাচ্ছে। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদিও ‘গাজার মানুষের নিরাপত্তা’ চান বলে দাবি করেছেন, তবুও সমালোচকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মিলিত নীতিই আসলে যুদ্ধের বিস্তার ঘটাচ্ছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামী সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এই বৈঠকে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

এদিকে হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা চাইছে এমন একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি, যার মাধ্যমে যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি নিশ্চিত হবে। হামাস মনে করছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব যদি কেবল অস্থায়ী বিরতি হয়, তবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

এরই মধ্যে ইসরায়েল গাজার বিভিন্ন অংশে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, শুধুমাত্র ওই দিনেই ইসরায়েলি হামলায় ৭৩ জন নিহত হয়েছেন। 

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, গাজায় যেসব ইসরায়েলি এখনো হামাসের হাতে বন্দি রয়েছে, তাদের সবাইকে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বক্তব্যের আড়ালে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার নীতিই স্পষ্ট।

আন্তর্জাতিক মহলেও নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাবেক পররাষ্ট্রনীতি প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো গাজায় শত শত না খাওয়া ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। 

তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষ্ক্রিয়তাও কঠোরভাবে সমালোচনা করেন। বোরেলের বক্তব্যে বোঝা যায়, পশ্চিমা বিশ্বের দ্বিমুখী আচরণই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ৫৭,১৩০ মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ১,৩৪,৫৯২ জন আহত। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। 

অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের চালানো হামলায় ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত হন এবং দুই শতাধিক ব্যক্তিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। 

তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা