ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, ডিসেম্বর ২০২৫ ৩:৩৬:০৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘সরকারকে অবশ্যই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে’ দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভিসা সেবা বন্ধ ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘না রাখতে’ দেওয়ার হুমকি শুভেন্দুর ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা

ঈদে মসলার বাজার চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ১২:৫১ পিএম, ১৫ জুন ২০১৮ শুক্রবার

ঈদের আগে রাজধানীর বিভিন্ন নিত্যপণ্যের বাজারে সেমাই, প্যাকেটজাত দুধ, পোলাও চাল ও মসলার দাম বেড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এসব পণ্যের বেচা-বিক্রিও চলছে জমজমাট।

 

ঈদের দিনে নানা ধরনের সুস্বাদু খাবার খেতে ভোগ্যপণ্যের দোকানগুলোতে বাড়ছে ভীড়। বিশেষ করে সেমাই, লাচ্ছা সেমাইয়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি দেখা গেল।

 

ঈদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সব ধরণের মসলার দাম। বাজারে বেড়েছে এলাচ ও জিরার দাম। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেল, সেমাই, লাচ্ছা সেমাইয়ের দাম সামান্য বাড়লেও বেশি বেড়েছে বেশ কিছু মসলার দাম।

 

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, ভাল মানের খোলা সেমাই ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি, প্যাকেট সেমাই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২০০ গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। খোলা লাচ্ছা সেমাই কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা, প্যাকেট লাচ্ছা সেমাই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২০০ গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।

 

এ ছাড়া মিল্ক ভিটা, আড়ংসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধরনের তরল দুধও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এক লিটারের দুধ ৬৫, আধা লিটার ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও বেশিরভাগ দোকানে প্রতি লিটার ৮০ টাকায় ও আধা লিটার ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে খিলগাঁও রেলগেটের কনফেকশনারী ব্যবসায়ী সাঈদ বলেন,দুধ শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমরাও কিনেছি বেশি দামে। তাই বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করছি। পোলাউয়ের চাল খোলা, প্যাকেটজাত প্রতি কেজি মানভেদে ১০০ থেকে শুরু করে ১৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

 

এদিকে বেড়েছে বিভিন্ন মসলার দাম। এলাচের দাম বেড়েছে ১০০ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৬৫০ টাকা কেজি। একইভাবে ইরানি জিরা এখন কেজি প্রতি বিক্রি করছে ৪২০ টাকা, গত সপ্তাহে দাম ছিল ৩৯০ টাকা কেজি। তবে ইন্ডিয়ান জিরার দাম ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

এছাড়া লবঙ্গ (লং) ১১৫০ টাকা থেকে ১১৮০ কেজি, কালো জিরা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা প্রতি কেজি, কিসমিস মানভেদে ৩৪০ থেকে ৩৭০ টাকা, দারুচিনি কেজি প্রতি ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকা, কাচা বাদাম ৯০ থেকে ১১০ টাকা প্রতি কেজি, চিনি প্রতি কেজি ৬২ থেকে ৬৮ টাকা, ছোলা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

 

শান্তিনগর বাজারের বাজারের মসলা ব্যবসায়ী রবিউল মোল্লা বলেন, এলাচ ও জিরার দাম বেড়েছে। প্রতিবারই ঈদের আগে দাম বাড়ে। করার কিছুই নাই।

 

মার্কেটে মসলা কিনছিলেন জামিল। তিনি বলেন, ঈদ এলেই মসলার দাম বাড়ে, এটাই স্বভাবিক। কি করব, কিনতেই হচ্ছে।

 

সবজি বাজার অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে ঈদের কারণে শসা বেড়ে ৭০-৮০ টাকা হয়েছে। ঈদ বাজারে মাছের চাহিদা কম থাকায় মাছের বাজার স্থিতিশীল আছে । ঈদকে সামনে রেখে বেড়েছে মাংসের দামও। অনেক বিক্রেতাই গরুর মাংস বিক্রি করছেন ৫০০ থেকে ৫২০ টাকায়। রমজানের শুরু থেকে দেশি ও ব্রয়লার মুরগি চড়া দামে বিক্রি হলেও সেই দাম কমেনি। আজ আবার দাম বেড়ে প্রতি কেজি ১৬৫-১৭০ টাকা হয়েছে। পাকিস্তানী মুরগি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা ও প্রতিটি এক কেজি ওজনের দেশি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকায়।