ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:৫১:২৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, থামানো গেছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ আগারগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারীসহ দগ্ধ ৬ প্রবাসীদের নিবন্ধন ছাড়াল এক লাখ ৯৩ হাজার

কুল চাষে ভাগ্যবদল

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৪৬ পিএম, ৩ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

নড়াইলে মো. রাকিবুল ইসলাম শখের বশে করেছেন কুলের বাগান। লিজ নেওয়া প্রায় পাঁচ একর জমিতে রোপণ করেছেন ১৫ শতাধিক কুলের চারা। কাশ্মীরি, থাই, বলসুন্দরী ও সিডলেস কুলের এ বাগান দেখতে প্রায় নিয়মিত লোকজন ভীড় করছেন। আলোচিত এ কুলের বাগানটি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামে।

কৃষক মো. জহর শেখের বাড়ি লোহাগড়া উপজেলার এড়েন্দা এলাকায়। তার ছেলে মো. রাকিবুল ইসলাম (২৫) সম্প্রতি যশোর ক্যান্টলমেন্ট কলেজ থেকে স্নাত্তক শেষ করেছেন। তিনি গত বছর শখের বশে কাশ্মীরি কুল, থাই, সিডলেস ও বলসুন্দরী জাতের পাঁচ শতাধিক চারা মেহেরপুর থেকে এনে রোপণ করেন। ফলন ও লাভ ভালো হওয়ায় এ বছরও চাষ করেন কুলের।

রাকিবুল ইসলাম বলেন, গতবছর আমি যশোর আত্নীয় বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে কুল বাগান দেখি। তখনই কুল চাষে আমার আগ্রহ বাড়ে। প্রথমে আমি তিন বিঘা জমিতে পাঁচশতাধিক বলসুন্দরী, কাশ্মীরি, থাই ও সিডলেস জাতের কুলের চারা রোপণ করি, ভয়ে ছিলাম কী হয়। তবে ভালো ফলন হওয়ায় এ বছর ১৫ শতাধিক চারা লাগিয়েছি। আমার খরচ হয়েছে ১২ লাখ টাকা। আশা করছি খরচ বাদে প্রায় ৭/৮ লাখ টাকা লাভ হবে।
উপজেলার অন্য বেকার যুবকরা এ ধরনের কুল বাগান করে নিজেদের ভাগ্য বদলাবেন এমনটি প্রত্যাশা রাকিবুলের।

বলসুন্দরী কাশ্মিরী, থাই, নারিকেল জাতের কুল ছাড়াও বাগানে সিডলেস কুলসহ ৫ প্রকার কুল চাষ করেছেন। এসব কুল খেতে মিষ্টি, সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল হওয়ায় বাজারে চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। তার এ সাফল্যে ইতোমধ্যেই এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এলাকার অনেক যুবক কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

স্থানীয়দের কয়েকজন জানান, এই বাগান দেখে তারা অভিভূত। তাদের জমিতেও এই ধরনের কুল বাগান করবেন বলে জানান। এই কুল বাগানের কথা শুনে দেখতে এসেছেন তারা। আগামী বছর তারাও এখান থেকে কুলের চারা ও পরামর্শ নিয়ে কুলের চাষ করবেন বলে জানান।

লোহাগড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা আক্তার বলেন, লোহাগড়া উপজেলায় কাশ্মীরি কুলসহ বিভিন্ন জাতের কুলের আবাদ হচ্ছে। আকারে বড় ও সুস্বাদু কাশ্মীরি কুলের বেশ চাহিদা রয়েছে। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই কুল রোপণ ও চাষের জন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।