ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ০:৪৪:৫৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

গাড়ির কাঁচ মুছে ৩৩০০ টাকা দাবি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৫:৪১ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২৫ রবিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে এক নারী গাড়ির কাঁচ মুছে মালিকের কাছে ২০ পাউন্ড দাবি করেছেন, যা প্রায় বাংলাদেশি ৩৩০০ টাকা। ঘটনাটির ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনলাইনে তাকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে শনাক্ত করা হয়, ভিডিওটি ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা।

ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারী গাড়ির পাশে গিয়ে নক করেন। এরপর তিনি গাড়ির মালিককে বলেন, ‘স্যার, ২০ পাউন্ড প্লিজ, আমি আপনার কাঁচ পরিষ্কার করেছি।’ এতে বিস্মিত গাড়ির মালিক পাল্টা জিজ্ঞেস করেন, ‘কিসের জন্য?’ উত্তরে নারী বলেন, ‘আমি আপনার গাড়ির কাঁচ মুছেছি।’ তখন হতবাক হয়ে গাড়ির মালিক বলেন, ‘আপনি তো শুধু একবার মুছলেন। আমি বুঝতে পারছি না, ২০ পাউন্ড?’

নারী তখন ব্যাখ্যা দেন, ‘হ্যাঁ, আমি বলতে চাই এটি জীবনযাপনের খরচ।’ এতে আরও হতভম্ব হয়ে পড়েন গাড়ির মালিক, তিনি আবার বলেন, ‘জীবনযাপনের খরচ মানে কী? আপনি পাগল।’ 

ভিডিওটি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে বিষয়টিকে হাস্যকর বলেছেন, আবার কেউ সমালোচনা করেছেন। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওই আচরণে কেউ ভিক্ষা দেবে না, হাস্যকর।’ আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘ভিক্ষা চাওয়ার ভঙ্গিটাই খুব অদ্ভুত।’ 

তবে অনেকেই ভিডিওর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘এটা ভুয়া ভিডিও। যুক্তরাজ্যে কোনো ভারতীয় কাঁচ মুছে টাকা চাইবে না।’ আরেকজন দাবি করেছেন, ‘সে আসলে পাকিস্তানি মেয়ে, ভারতীয় সেজেছে।’

আরও অনেকে বলেছেন, ভিডিওটি সাজানো। একজন মন্তব্য করেন, ‘এটা স্পষ্টতই সাজানো নাটক, শুধু প্রচারের জন্য বানানো হয়েছে।’ অন্য একজন জানান, একই নারী ও গাড়িচালককে আগেও অন্য ভিডিওতে একসঙ্গে দেখা গেছে, যেখানে তিনি সাইকেল থেকে পড়ে যাওয়ার ভান করেছিলেন।

ভিডিওটি সত্য নাকি সাজানো-এ নিয়ে বিতর্ক এখনো চলছে। কেউ বলছেন, এটি বিদেশে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের বাস্তব অবস্থা। আবার অনেকে দাবি করছেন, এটি শুধুই মনোযোগ কাড়ার কৌশল।