ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৭:৪৩:৩৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

গোপালগঞ্জে কাঁঠালের বাম্পার ফলন

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৪১ পিএম, ৬ জুলাই ২০২৩ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

 গোপালগঞ্জে কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। কাঁঠাল থেকে কৃষকরা ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা আয়ের আশা করেছেন। এ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাঁঠাল ফলে মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলায়। এছাড়া গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলায় অল্প-বিস্তর কাঁঠালের উৎপাদিত হয়।  গোপালগঞ্জ জেলায় বাড়ির আঙ্গিনা ও রাস্তারপাশে সাধারণত কাঁঠালের আবাদ হয়। এ জেলায় কাঁঠালের কোন বাগান নেই। বৈশাখ মাসের শেষ থেকে জেলার কাঁঠাল পাকতে শুরু করেছে।  আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এ জেলায় কাঁঠাল পাওয়া যাবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আঃ কাদের সরদার বলেন, এ জেলার ৫ উপজেলায় কমপক্ষে ৬০ হাজার কাঁঠাল গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে গড়ে ২০টি কাঁঠাল ধরেছে। সে হিসেবে এ জেলায় আনুমানিক ১২ লাখ কাঁঠাল উৎপদিত হয়েছে। প্রতিটি কাঁঠাল গড়ে ছোট বড় দিয়ে গাছ থেকে ৪০ টাকা  টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁঠাল বিক্রি করে জেলার কৃষকরা ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা আয় করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।  কাঁঠাল ক্রয় ও চালান ব্যবসার সাথে জড়িতরা আরো অন্তত ২৫ লাখ টাকা  আয় করবেন । কাঁঠাল পরিবহন ও লোড-আনলোড করে পরিবহন এবং শ্রমিকরা ভ ভালো টাকা পাচ্ছেন।  খুচরা ব্যবসায়ীরা  এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলায় কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানান ওই কৃষি কর্মকর্তা। এখন জেলায় কাঁঠালের বাণিজ্য জমজমাট।
কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল গ্রামের রেজা আহমেদ বলেন, আমরা ১০টি গাছে অন্তত ৫০০ কাঁঠাল হয়েছে। আমি ৪০০ কাঁঠাল ৫০ টাকা দরে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। ১০০ কাঁঠাল নিজেরা খাব ও আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে বিতরণ করব। কাঁঠাল উৎপাদনে কোন খাচর বা পরিচর্যা নেই। তাই বিক্রির পুরো টাকাই লাভ।

কোটালীপাড়া  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায় বলেন, গ্রীস্মের রসালো ফল কাঁঠাল। কম দামের এ ফলটি পুষ্টি গুণে ভরপুর। এটি আমাদের জাতীয় ফল। পাঁকা কাঁঠাল অনেকেরই পছন্দের খাবর। কাঁঠাল খেয়ে সব শ্রেণি পেশার মানুষ পুষ্টি পান। কাঁঠালের বিচি সবজি হিসেবে  খাওয়া যায়। কাঁচা কাঁঠালের এঁচর অনেকের কাছেই প্রিয়। তাই কাঁঠালের ভক্ষণযোগ্য অংশই বেশি। কাঁঠালের তেমন কিছুই ফেলনা নয়।

গোপালগঞ্জ শহরের ব্যবসায়ী জাফর হোসেন বলেন, কাঁঠালের সময় ৩ মাস কাঁঠালের ব্যবসা করি। আগে যশোরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে কাঁঠাল  গোপালগঞ্জে আসত। সেই কাঁঠাল বিক্রি করতাম। এখন গোপালগঞ্জেও প্রচুর কাঁঠাল উৎপাদিত হয়। এসব কাঁঠাল গোপালগঞ্জেই বিক্রি হয়। এছাড়া বাইরের জেলা থেকেও কাঁঠাল আসছে। কাঁঠাল ভেদে প্রতিটি কাঁঠাল বিক্রি করে ২০ থেকে ৫০ টাকা লাভ করছি। এখন কাঁঠালের ভারা মৌসুম চলছে। বাজারে কাঁঠালের আমদানীও প্রচুর। বেচা-কোনাও ব্যপক। কাঁঠাল বিক্রি করে প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারছি।