ঢাকা, শনিবার ২৭, জুলাই ২০২৪ ১৬:৪৭:১২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও সেতু ভবন পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী দেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করতেই এই তাণ্ডব: প্রধানমন্ত্রী মোবাইল ইন্টারনেট কখন চালু হচ্ছে, জানাল বিটিআরসি পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহিংসতায় আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী ৬ দিন পর ঢাকা-বরিশাল রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু আজও বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি মান্দিসা মায়া

ঠাকুরগাঁওয়ের নীলগাইটি বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৩৬ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০২৩ শনিবার

ঠাকুরগাঁওয়ে ধরা পড়া বিলুপ্তপ্রায় নীলগাই

ঠাকুরগাঁওয়ে ধরা পড়া বিলুপ্তপ্রায় নীলগাই

ঠাকুরগাঁওয়ে ধরা পড়া বিলুপ্তপ্রায় নীলগাইটিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা গেছে, সেখানে প্রাণীটিকে কোয়ারেন্টিনে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আজ শনিবার নীলগাইটিকে সাফারি পার্কে আনা হয়। এর আগে গত সোমবার বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্ত এলাকা পাড়িয়া ইউনিয়নের ফকিরভিটা গ্রামে নীলগাইটি ধরা পড়ে। 

স্থানীয় মানুষের ধারণা, ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে নীলগাইটি প্রথমে শালডাঙ্গা গ্রামে অবস্থান করে। এরপর গ্রামবাসীর তাড়া খেয়ে এটি পাড়িয়া ইউনিয়নের ফকিরভিটা গ্রামের দিকে চলে যায়। পরে গ্রামবাসী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা সেটিকে উদ্ধার করেন।

নীলগাইটিকে উদ্ধারের পর সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বনবিভাগ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অস্থায়ীভাবে সেটিকে দিনাজপুরের রামসাগর চিড়িয়াখানায় রাখে। এরপর বন বিভাগ প্রাণীটিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হস্তান্তর করে।

সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার পার্কের প্রশিক্ষিত একটি দল দিনাজপুরে পাঠানো হয়। ওই দলের সদস্যরা প্রাণীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে সাফারি পার্কে নিয়ে আসার বিষয়ে মত দেয়। পরে বিশেষ পরিবহনের মাধ্যমে নীলগাইটিকে নিয়ে আসা হয়।

পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, স্ত্রী নীলগাইটিকে উদ্ধারের সময় শরীরের বিভিন্ন অংশে ছোটখাটো আঘাত লেগেছে। এতে তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা দুর্বল। রামসাগর চিড়িয়াখানায় অবস্থানকালীন প্রাণীটি বেশ ভীতসন্ত্রস্ত ছিল। তবে আজ ভোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আনা হলে এটি উৎফুল্লভাবেই বন্য প্রাণী কোয়ারেন্টিনে প্রবেশ করে। সেখানে ঘোরাফেরাও করেছে।

পার্ক কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, যে কোনো বন্য প্রাণী পার্কে আনা হলে তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য কমপক্ষে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এখানে রেখে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর প্রয়োজন হলে কোয়ারেন্টিন সময় বৃদ্ধি করা হয়। পর্যবেক্ষণ শেষ হলে কোয়ারেন্টিন থেকে প্রাণীগুলো নির্দিষ্ট বেষ্টনীতে রাখা হয়।

নীলগাই বিরল প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় একটি বন্য প্রাণী। একসময় বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নওগাঁ, জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন জেলায় এই নীলগাইয়ের দেখা পাওয়া যেত। ‘গাই’ হিসেবে পরিচিত হলেও নীলগাই গরুশ্রেণির নয়; বরং এটি এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ হরিণজাতীয় প্রাণী। নীলগাইয়ের গড় আয়ু সাধারণত ২১ বছর।

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের (ঢাকা) বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমীন আক্তার বলেন, এর আগে সাফারি পার্কে নীলগাই বেশ কয়েকবার বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। নতুন আনা নীলগাইটিসহ এখন এই দলের সদস্যসংখ্যা ৯। এগুলোর মধ্যে সাতটি পুরুষ ও দুটি স্ত্রী। এদের থেকে আরও বাচ্চা পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি। নতুন আসা নীলগাইটিকে কোয়ারেন্টিন পর্যায় শেষ হলে অন্য বেষ্টনীতে রাখা হবে।