ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৩:১৬:৩৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরায়েলের গুলিতে চোখ হারাল শিশু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৪৫ পিএম, ৪ আগস্ট ২০২৫ সোমবার

গুলিবিদ্ধ ১৫ বছর বয়সি আবদুল রহমান আবু জাজার ।

গুলিবিদ্ধ ১৫ বছর বয়সি আবদুল রহমান আবু জাজার ।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ১৫ বছরের এক কিশোর শুধুমাত্র ত্রাণ আনতে গিয়ে চোখে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে আহত হয় সে।

ঘটনাটি ঘটে গাজার আল-মুনতাজাহ পার্কের কাছে অবস্থিত একটি ত্রাণ সরবরাহ কেন্দ্রে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল-সমর্থিত সংস্থা জিএইচএফ ত্রাণ বিতরণ করছিল। 

দিবাগত রাত আনুমানিক দুইটার দিকে ১৫ বছর বয়সি আবদুল রহমান আবু জাজার নামের ওই কিশোর পরিবারের জন্য খাবারের সন্ধানে সেখানে যায়। তখনই ইসরায়েলি সেনারা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় একটি গুলি গিয়ে লাগে তার বাঁ চোখে।

এর কারণ ছিল—গাজায় চলমান যুদ্ধ ও অবরোধে প্রচণ্ড খাদ্যাভাব। শিশুটি জানায়, তার ভাইবোনদের খাওয়ার মতো কিছুই ছিল না, তাই সে প্রথমবারের মতো সাহস করে ত্রাণ নিতে যায়। কিন্তু সেখানেই ঘটে তার জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ মুহূর্ত।

আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা জাজার জানায়, পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগেছিল ভিড় ঠেলে ত্রাণকেন্দ্রে পৌঁছাতে। সে বলে, আমরা দৌড়াচ্ছিলাম, তখন হঠাৎ করে গুলি শুরু হয়।

জাজার আরও জানায়, আমি আরও তিনজনের সঙ্গে ছিলাম, তিনজনই গুলিবিদ্ধ হয়।

গুলি লাগার পর কিশোরটি এমন এক অনুভব করে, যেন শরীরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে। সে বলে, তারপর আমি মাটিতে পড়ে যাই, জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফেরার পর লোকজন আমাকে বলে, আমি গুলিবিদ্ধ হয়েছি।

এখানেই থেমে থাকেনি সেই বিভীষিকা। সে জানায়, একবার গুলি লাগার পরও ইসরায়েলি সেনারা আমাদের দিকেই গুলি ছুড়ে যাচ্ছিল। আমি তখন শুধু ভাবছিলাম, এই বুঝি সব শেষ। আমি ভয় পেয়েছিলাম, আর তখন থেকেই শুধু দোয়া পড়ছিলাম। 

চিকিৎসকরা জানান, তার বাঁ চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকা জাজার আশায় বুক বেঁধে বলেছে, আশা করি, আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসবে।

চিকিৎসকেরা আরও জানান, ইসরায়েলি বোমা বর্ষণে ইতিমধ্যেই বহু মানুষ আহত হয়েছে এবং ক্ষুধার্ত শিশু-কিশোরদের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। অবরুদ্ধ গাজা শহরের মানুষেরা চরম অপুষ্টি ও অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। ত্রাণ পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে ইসরায়েলি অবরোধ ও গোলাগুলির কারণে। শিশুদের মতো নিরপরাধ মানুষও আজ আর নিরাপদ নয়। 

তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা