ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৯:৩১:৩৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ওষুধ থেকে হচ্ছে মারাত্মক সমস্যা

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৩০ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

পিরিয়ড চলাকালীন মেয়েদের বহু সমস্যার মুখে পড়তে হয়। মাসের ওই কটা দিন হরমোনের ওঠানামার জন্য মেজাজেও নানারকম ওঠাপড়া লেগেই থাকে। এ ছাড়া এই সময়ে অনেকের পেটে ও কোমরে অসহ্য ব্যথা, ক্লান্তি এ সবের শিকার হন। পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে অনেকেই মুঠো মুঠো পেইন কিলার খান। কিন্তু চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলছেন, পিরিয়ড বা অন্য কোনও ব্যথা কমাতে যেসব পেইন কিলার আমরা খাই তার কয়েকটি সাঙ্ঘাতিক ক্ষতিকর। নানারকম সাইড এফেক্টস আছে।

ইন্ডিয়ান ফার্মাসিউটিকাল কমিশন (আইপিসি) সতর্ক করে জানিয়েছে, পিরিয়ডের ব্যথা, গায়ে হাত-পায়ে ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতে যেসব পেইন কিলার বা ব্যথানাশক ওষুধ বাজারে বিক্রি হয় সেগুলো শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এইসব ওষুধ থেকে ড্রাগ রিয়্যাকশন ইউসিনোফিলিয়া অ্যান্ড সিস্টেমিক সিম্পটম (DRESS) সিনড্রোম হচ্ছে অনেকের।

কী এই অসুখ?
আইপিসি জানাচ্ছে, পেইন কিলারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মারাত্মক রকম অ্যালার্জি হচ্ছে। জ্বর, ত্বকে জ্বালাপোড়া ঘা, লসিকা গ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়া, হেপাটাইটিস, পেরিকার্ডিটিস, নিউমোনাইটিস, এমনকী শরীরের নানা অঙ্গের ক্ষতি হচ্ছে।

গত ৩০ নভেম্বর আইপিসি পেইন কিলারের সাইড এফেক্টস নিয়ে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে। বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডাক্তারদের বলা হয় যে পেইন কিলার যারা খেয়েছেন বা খাচ্ছেন তাদের শরীরে কী প্রভাব পড়ছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট জমা করতে। চিকিৎসক ও বিভিন্ন ক্লিনিক, হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই আইপিসি জানিয়েছে, পেইন কিলার থেকে ওই ধরনের অ্যালার্জির সিনড্রোম দেখা যাচ্ছে।

কী কী ওষুধে ক্ষতি বেশি?
আইপিসির রিপোর্ট বলছে, মেফানামিক অ্যাসিড নামে পেইন কিলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। এই ওষুধ নানা ধরনের ব্র্যান্ড নামে বিক্রি হয় যেমন—মেফটাল, মেফকাইন্ড, মেফাস্ট, আইবুক্লিন পি ইত্যাদি। এইসব ওষুধ যারা খান তাদের সাবধান করা হয়েছে। শরীরে কোনও রকম সাইড এফেক্ট দেখা দিলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।

এনসেড (NSAID)বা নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গোত্রের ওষুধ একদিকে যেমন দ্রুত শরীরের প্রদাহ বা ইনফ্ল্যামেশন কমাতে পারে, তেমনিই এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও অনেক আছে। ডাইক্লোফেনাক, অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রোক্সেন ইত্যাদি এনসেড গোত্রের ওষুধের মধ্যে পড়ে। প্যারাসিটামলও ব্যথা কমাতে পারে তবে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এনসেড ওষুধগুলোর মতো নয়।

ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই মারাত্মক। বিশষজ্ঞরা বলছেন, প্রাপ্তবয়স্করা নানা রোগ বা শারীরিক কোনও জটিলতার জন্য এমন কিছু ওষুধ খান যার ‘অ্যাডভার্স সাইট এফেক্টস‘-এ শরীরে ডিহাইড্রেশন তৈরি হয়।  শরীরে জল ও খনিজ লবনের মাত্রা কমে যায়। হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে, হার্ট ফেলিওর হতে পারে। আলসার থাকলে এই ধরনের ওষুধ না খাওয়াই ভাল। হৃদযন্ত্রে সমস্যা যাদের রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ব্যথার ওষুধ বেশ বিপজ্জনক।