ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৩৩:৩২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে উন্নতি হয়েছে মানুষের জীবনমান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০৬ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

মুজিববর্ষ উপলক্ষে জেলার ৭ উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার জমিসহ ঘর পেয়ে বদলে গেছে প্রায় ৩ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জীবনমান।
এক সময়ের ভূমিহীন ও গৃহহীন এসব পরিবারকে এখন আর অন্যের ঘরে বা ভাসমান অবস্থায় থাকতে হয়না। মাথা গোঁজার নিশ্চিত আপন স্থায়ী ঠিকানা পেয়ে খুশি এসব ঘরের কয়েক হাজার বাসিন্দা। সামাজিক মর্যাদা পেয়ে এখন ঘুরে দাঁড়াবার স্বপ্ন দেখছেন তারা। এদিকে সরকারিভাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের গড়ে তোলা হচ্ছে দক্ষ জনশক্তিতে। দেয়া হচ্ছে ঋণ সহায়তা।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রাজস্ব শাখা জানায়, মুজিববর্ষ উপলক্ষে জেলায় প্রথম পর্যায়ে ৫২০টি ঘর, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৭১টি ও তৃতীয় ধাপে ২০২২টি ঘরসহ মোট ২৯১৩ টি ঘর জমির দলিলসহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া মুজিববর্ষের চতুর্থ পর্যায়ে আরো ১০৮১টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যার নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আর জেলায় মোট ৪৯৮৭টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার রয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকের জন্য সরকারি ঘর প্রদান করা হবে।
দুই শতক জমির উপর নির্মিত সেমি পাকা প্রত্যেক ঘরে বিশুদ্ধ, পানি, বিদ্যুৎ, বারান্দা, রান্না ঘরসহ সব ধরণের সুবিধা রয়েছে।
সদর উপজেলার তেতুলিয়া নদী তীরবর্তী ভেদুরিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জেলে হাসমত আলী বেশ কয়েক বছর আগে নদী ভাঙনের শিকার হয়ে অন্যের জমিতে পরিবারের ৬ সদস্য নিয়ে ভাঙ্গা ঘরে দিন কাটাতেন। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের সেমি পাঁকা ঘরে রয়েছেন শান্তিতে। তিনি বলেন, আগে শীত-বর্ষায় অনেক কষ্ট হতো। এখন আর সেই কষ্ট নেই। সবাইকে নিয়ে সূখে রয়েছেন তিনি। দিনমজুর লোকমান হোসেন বলেন, একসময় নদীর পাড়ে অস্থায়ী ঘরে থাকতেন। তাদের নিজস্ব পরিচয় বলতে কিছু ছিলোনা। এখন আর সেই দুখের দিন নেই। প্রধানমন্ত্রী ঘরে নতুন করে পরিচয় পেয়েছেন সমাজে। তাই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
বিধবা শেফালি আক্তার তিন সন্তান নিয়ে ভাইয়ের ঘরে আশ্রিত ছিলেন। ঝি’এর কাজ করে সংসার চালাতেন। এখন প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘরে তার মর্যাদা বেড়েছে। সন্তানদের নিয়ে বর্তমানে ভালো আছেন। জমানো টাকায় সেলাই মেশিন কিনে কাজ করছেন। দুই ছেলে স্কুলে যাচ্ছে।
রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল হক চৌধুরী  জানান, তার ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের চর মনসা গ্রামে মুজিববর্ষের জমিসহ ঘর পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ। এসব ঘরে অসহায় মানুষগুলো নির্বিঘেœ ও নিশ্চিন্তে বসবাস করছে। তাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সব ধরণের সুজোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তামিম আল ইয়ামীন কে জানান, ‘একজন মানুষ ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবেনা, প্রধানমন্ত্রীর এই অঙ্গিকারকে সামনে রেখে জেলাকে ভূমিহীন মুক্ত করার কাজ চলছে। তাই প্রত্যেক ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। প্রায় ৩ হাজার পরিবারকে কবুলিয়ত সম্পাদন ও নামজারী সম্পন্ন করে দেয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি পরিবার নিজস্ব ঘর ও জমির মালিকানা খতিয়ান বুঝে পেয়েছেন। সমাজসেবা বিভাগ, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর তাদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ও ঋণ সহায়তা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, জেলায় প্রায় ৫ হাজার ভূমিহীন পরিবার চিহিৃত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৪ হাজার ঘরের বরাদ্দ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এসব ঘরে সাধারণ মানুষ সূখে বসবাস করছে। তাদের সন্তানরা এখন স্কুলে যাচ্ছে। তাই ঘর পেয়ে মানুষের জীবন মানের অনেক উন্নতি হয়েছে। তারা এখন আরো স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টায় আছেন। আগামী অর্থবছরের মধ্যে জেলায় আর কোন ভূমিহীন পরিবার থাকবেনা বলে আশা প্রকাশ করে তিনি।